মতামত
আরও - বিশ্ব
শাহবাগের বয়ান কি ফিরে আসছে?
দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়েছে জনগণের ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এমন অভূতপূর্ব ঐক্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে খুব কমই দেখা গেছে। মাত্র পাঁচ মাস আগের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আমরা দেখছি রাজনৈতিক বিশ্বাস, ধর্মীয় পরিচয়, পেশাগত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক পরিচয় ভুলে সবাই রাজপথে নেমে এসেছিলেন। বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক আন্দোলনে এতসংখ্যক নারীর উপস্থিতিও আগে কখনো দেখা যায়নি।ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজপথে আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মাদরাসাছাত্রদের একসঙ্গে মিছিলে অংশ নিতে। শাড়ি কিংবা স্কার্টপরা নারীদের সঙ্গে হিজাব-বোরকা পরা নারীদের মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেছে।এ জাতীয় ঐক্য তৈরির এক মাসের কম সময়ের মধ্যে প্রাণ দিতে হয়েছে ১৫০০ মানুষকে। অন্ধ কিংবা পঙ্গু হয়েছে ২০ হাজারের বেশি মানুষ। এই ঐক্য ফ্যাসিস্ট ও তার প্রধান দোসরদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। কিন্তু ১৮ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামো পুরোটাই রয়ে গেছে। হাসিনার পতন ও পলায়নের পর রাজনৈতিক দলগুলোর ভোটকেন্দ্রিক ক্ষমতার রাজনীতির প্রতিযোগিতার ফলে পাঁচ মাসের মাথায় আবার বিভক্তি ও বিভাজনের রাজনীতি ফিরে আসার আলামত দেখা যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের স্যুট ও খালেদা জিয়ার ভোট
যখন কোনো স্বৈরাচারের পতন হয়, তখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির বিজয় হয়। আর যখন কোনো ষড়যন্ত্র হয়, তখন বিএনপির পরাজয় হয়। নব্বইয়ের গণ আন্দোলন আর ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্র সেটাই প্রমাণ করে। সুতরাং জুলাই বিপ্লবের পর বর্তমান সময়ে বিএনপিকে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সেই সঙ্গে চোখ-কান খোলা রেখে হতে হবে সাবধান। একানব্বইয়ের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের
স্পর্শকাতর কিছু পলিসি নিয়ে হাজির হচ্ছেন ডনাল্ড ট্রাম্প
এবারে ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই ঘোষণা করেছেন, গালফ অব মেক্সিকোর নাম হবে ‘গালফ অব আমেরিকা’। উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে উঁচু পাহাড় ডেনালির নাম রাখবেন ‘ম্যাককিনলি’। ২০১৫ সালে বারাক ওবামা পাহাড়টির নাম পরিবর্তন করেছিলেন। ট্রাম্প আগের নামে ফিরে যাবেন। আমাদের দেশে ক্ষমতার পালাবদল হলে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় মামলা থেকে রেহাই পায় অ
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট কেন প্রয়োজন?
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা বলতে এমন একটি সিস্টেমকে বোঝানো হয় যেখানে আইনসভা বা সংসদ
‘সহজাত পদ’ ও ‘উপসচিব’ কোটা : সমতাতেই হতে পারে বৈষম্যের সমাধান
আমার প্রথম বিশ্লেষণের বিষয় ছিল- বিশেষ বিসিএস এবং বিসিএসের মাধ্যমে টেকনিক্যাল ক্যাডারে
মিডিয়াতে অপপ্রচার ও আমাদের দায়িত্ব
আগেকার দিনে চিঠি বা দূত পাঠিয়ে সংবাদের আদান প্রদান হতো। আল্লাহর রাসূল (সা) মাঝে মধ্যে পাহাড়ের উপরে উঠে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রদান করতেন যাতে করে দুরবর্তী লোকেরাও তাঁর কথা শুনতে পায় এবং তাঁকে দেখতে পান। রাসূলে কারীম (সা) মাঝে মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাটিতে লাঠি দ্বারা চিত্র অংকন করে সাহাবায়ে কেরামকে বুঝাতেন। কালপরিক্রমায় প্রিন্টেড ও ইলেক্ট্রনিক এই দুই ধরনের মিডিয়ার সাথে আমরা পরিচতি হই। বর্তমানে
কনফিউজড! পুরো জাতি কনফিউজড!
বহু আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে একটি কাহিনি শুনিয়েছিলাম। ২০১৯ সালের কোনো এক সময়ে তাঁর সঙ্গে আমার সুদীর্ঘ আলোচনা হয়, যা শেষ অবধি ব্যক্তিগত আড্ডা বা খোশগল্পে পরিণত হয়। ২০১৮ সালের রাতের ভোটের পর বিএনপি ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়ে। আর আওয়ামী লীগ সেই সুযোগ নিয়ে যে পাল্টা আক্রমণ, অপপ্রচার, মামলা, হামলা দিয়ে এমন এক ভীতিকর অবস্থা তৈরি করে, যার কারণে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূলের সবাই কনফিউজ হয়ে পড়ে।
জিয়াউর রহমানের যে নীতির কারণে বিএনপি টিকে গেল
গত শতকের সত্তর বা আশির দশক। মার্কিন-সোভিয়েত লড়াই তুঙ্গে। বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশকে
হামাস জিম্মিদের তালিকা না দিলে যুদ্ধবিরতি নয়
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার আগমুহূর্তে হঠাৎ বেঁকে বসলো ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, হামাসের পক্ষ থেকে জিম্মি