Image description

চীন ২০১০ সালে ছিল বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ সমরাস্ত্র আমদানিকারক দেশ। আর ২০২৫ সালে চীন বিশ্বে দ্বিতীয় সমরাস্ত্র প্রস্তুতকারক দেশ। মাত্র দেড় যুগের মাথায় সামরিক ক্ষেত্রে চীনের বিস্ময়কর এ অগ্রগতি কল্পকথার ড্রাগন নামক প্রাণীর বাস্তবে ফিরে আসার চাইতেও আশ্চর্যজনক। অর্থনীতি ও সামরিক উভয় ক্ষেত্রে চীনের রাতারাতি উত্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এখন রাশিয়ার বদলে চীন।

 

যুদ্ধবিমান, রণতরি, মিসাইল সিস্টেম, মহাকাশ প্রযুক্তি, ড্রোন—প্রতিটি ক্ষেত্রে চীনের আকস্মিক উত্থানে রীতিমতো শঙ্কিত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ অনেক দেশ। যেখানে মাত্র ১৫ বছর আগেও চীন তার অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমরাস্ত্র আমদানি করত, সেখানে আজ তারা দুই ধরনের নিজস্ব তৈরি ফিফ্‌থ জেনারেশন স্টেলথ ফাইটারের মালিক। এর নাম চেংদু জে-২০ ও শেনায়াং এফ-৩১। সারা বিশ্বের সমরাঙ্গনে এখন আলোচিত চীনের ফোর পয়েন্ট ফাইভ জেনারেশন ফাইটার জেট চেংদু জে-১০ সি, এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম, শক্তিশালী রাডার ও জ্যামিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি। চীনের রয়েছে নিজস্ব তৈরি কৌশলগত বা দূরপাল্লার বোমারু বিমান জিয়ান এইচ-৬ ।

 

কেবল তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের রহস্যজনক আর সবচেয়ে ব্যয়বহুল দূরপাল্লার বোমারু বিমান বি-২ স্পিরিটকে টেক্কা দিতে চীন বর্তমানে তৈরি করছে জিয়ান এইচ-২০ নামক স্টেলথ বোমারু বিমান। তাদের রয়েছে নিজস্ব তৈরি ১২টি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন, নিজস্ব তৈরি বিমানবাহী রণতরি ও এশিয়ার সবচেয়ে বড় গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার। চীনের ডিএফ-৪১ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাঁচটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইলের একটি । ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির। চীন বর্তমানে বিশ্বে একমাত্র দেশ যাদের রয়েছে সম্পূর্ণ নিজস্ব মালিকানাধীন মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং । রয়েছে অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল এবং অপ্রতিরোধ্য হাইপারসনিক মিসাইল ডিএফ-১৭। চীনের রয়েছে ফ্র্যাকশনাল অরবিটাল বম্বার্ডমেন্ট সিস্টেমস। ২০২১ সালে এ মিসাইলের পরীক্ষায় হতভম্ব হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র, কারণ এ মিসাইল পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থান করতে সক্ষম। আর কক্ষপথ থেকে ছুটে আসা হাইপারসনিক মিসাইল প্রতিহত করা একপ্রকার অসম্ভব।

সামরিক ক্ষেত্রে চীনের মতো রাতারাতি অগ্রগতি অর্জন করেছে আরেকটি দেশ, তুরস্ক। মাত্র ১৫ বছরের মাথায় তুরস্কও অস্ত্র আমদানিকারক দেশ থেকে পরিণত হয়েছে সমরাস্ত্র রপ্তানিকারক দেশে। তুরস্ক ২০২৪ সালে আকাশে উড়িয়েছে নিজস্ব তৈরি ফিফ্‌থ জেনারেশন স্টেলথ ফাইটার জেট ‘কান’। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার পর তুরস্ক এখন বিশ্বের চতুর্থ দেশ যারা ফিফ্‌থ জেনারেশন স্টেলথ ফাইটার জেট নির্মাণে সক্ষম। এখানেই শেষ নয়, তুরস্ক নিজেরাই তৈরি করছে এ বিমানের ইঞ্জিন। তুরস্ক নেভি বর্তমানে বিশ্বের দশম শক্তিশালী নৌশক্তি। বিমানবাহী রণতরি, সাবমেরিন, গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, করভেট—সবই নির্মাণে সক্ষম দেশটি। তুরস্কের রয়েছে নিজস্ব তৈরি মেইন ব্যাটল ট্যাংকসহ কয়েক ধরনের শক্তিশালী আরমার্ড ভিহিক্যাল। দেশটির নিজস্ব তৈরি সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যালিস্টিক মিসাইলের নাম আতমাজা ও টাইফুন। টাইফুনের পাল্লা ৮০০ কিলোমিটার।

ড্রোন শক্তিতে বর্তমানে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পরই তুরস্কের স্থান। গোটা বিশ্বের সমরাঙ্গনে আজ আলোচিত সমরাস্ত্র হলো তুরস্কের বায়রাকতার টিবি-২, আকসানগার, আকিঞ্চি, আঙ্কাসহ বিভিন্ন ধরনের শক্তিশালী ড্রোন সিস্টেম। তুরস্কের বায়রাকতার আকিঞ্চি ড্রোন ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে এবং টানা ২৫ ঘণ্টার বেশি অপারেশন পরিচালনায় সক্ষম।

২০২৪ সালে তুরস্ক রেকর্ড সাত বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র রপ্তানি করেছে। সমরাস্ত্র রপ্তানিতে তুরস্কের অবস্থান বিশ্বে ১১তম। তুরস্কে রয়েছে ৫০টির অধিক আন্তর্জাতিক মানের সমরাস্ত্র প্রতিষ্ঠান, যারা বিশ্বের ১৭৮টি দেশে ন্যাটো মানের অস্ত্র বিক্রি করে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আজ ৫৪ বছর। কিন্তু আজ পর্যন্ত এদেশে উৎক্ষেপিত হয়নি নিজস্ব কোনো মিসাইল। আকাশে ওড়েনি নিজস্ব কোনো যুদ্ধবিমান। নেই কোনো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। নিজস্ব মিসাইল, যুদ্ধবিমানসহ আধুনিক সমরাস্ত্র থাকা তো দূরের কথা, বিদেশ থেকেও সংগ্রহ করতে দেওয়া হয়নি শক্তিশালী কোনো সমরাস্ত্র। মিগ-২৯ নামক যে যুদ্ধবিমান এবং চীনা যে দুটি সাবমেরিন রয়েছে, তাও যাতে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে ব্যবহার করতে না পারে, সে আয়োজনও করা হয়েছে বিগত সময়ে। ভারতের মতো দেশের যেকোনো আগ্রাসনের কাছে বাংলাদেশ আজ সম্পূর্ণ অসহায় ও অরক্ষিত একটি দেশ। সম্পূর্ণ অরক্ষিত দেশের আকাশ। সমরাস্ত্রশিল্প আর সমরাস্ত্রের দিক দিয়ে বাংলাদেশের আজকের যে করুণ চিত্র তাতে এটি স্পষ্ট যে, পরিকল্পিতভাবে দেশকে সম্পূর্ণ দেউলিয়া অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কাছে সামান্য যেসব সমরাস্ত্র রয়েছে, তার সবই মূলত বিদেশ থেকে আমদানি করা। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা এবং ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি হলো বাংলাদেশের সমরাস্ত্র শিল্প। বাংলাদেশের এ দুটি সমরাস্ত্র কারখানায় এখন সামান্য যে কয়টি ক্ষুদ্রাস্ত্র তৈরি হয়, তার তালিকা দেখলে কোনো সন্দেহ থাকে না যে, গভীর এক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠান দুটিকে পঙ্গু করে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশের নিজস্ব তৈরি সমরাস্ত্র বলতে যা আছে তা হলো—লাইট মেশিন গান, ৬০ এমএম ইনফ্যান্ট্রি মর্টার, অরুণিমা বলীয়ানসহ কিছু সামরিক ট্রাক, ইউটিলিটি ভিহিক্যাল, কামান, গোলাবারুদ, যন্ত্রাংশ ও কয়েকটি অ্যামফিবিয়াস ওয়ারফেয়ার শিপ। বিদেশি লাইসেন্স নিয়ে বাংলাদেশ তৈরি করে অ্যাসল্ট রাইফেল, লাইট মেশিন গান ও হ্যান্ড গ্রেনেড। বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে তৈরি ‘দুর্জয়’ নামক মেইন ব্যাটল ট্যাংক চীনা টাইপ ৫৯ ট্যাংকের আধুনিক ভারশন । এই হলো ৫৪ বছর বয়সি আর ১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশের সমরাস্ত্রশিল্পের চিত্র।

বর্তমানে বাংলাদেশের কাছে বিদেশ থেকে সংগ্রহ করা যেসব সমরাস্ত্র রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো তুরস্কের টিআরজি-৩০০, বায়রাকতার টিবি-৩, রাশিয়ার মিগ-২৯, চীনের চেংদু এফ-৭। এ ছাড়া রয়েছে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সাতটি গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট, চীনের তৈরি দুটি সাবমেরিন এবং চীনের তৈরি মেইন ব্যাটল ট্যাংক।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাবিত বাজেটের পরিমাণ প্রায় ৬৫ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে সামরিক খাতের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ।

২০২৫ সালে পাকিস্তানের মোট বাজেটের পরিমাণ ৬২ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে সামরিক খাতে বরাদ্দ ৯ বিলিয়ন ডলার। দেশটির মোট বাজেট বাংলাদেশের তুলনায় কম, কিন্তু সামরিক বাজেট বাংলাদেশের তিনগুণ।

২০২৫ সালে তুরস্কের মোট বাজেট ৪২০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে সামরিক বাজেট ২৪ বিলিয়ন ডলার।

২০১২ সালের পর থেকে পরবর্তী ১০ বছরে ঢাকাকেন্দ্রিক যানজট নিরসনের জন্য ব্যয় করা হয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলার। কোনো কোনো প্রকল্পে অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার। অথচ দেশটির সামরিক খাতে বার্ষিক বরাদ্দ মাত্র ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। একটি দেশে যানজট নিরসনসহ বিভিন্ন খাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অনেক মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, কিন্তু দেশটির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সমরাস্ত্র ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য নেই এ ধরনের কোনো প্রকল্প।

সমরাস্ত্র খাতে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থের কোনো অভাব ছিল না, অভাব ছিল দেশপ্রেমের। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল ভারতের গভীর ষড়যন্ত্র। কেন বাংলাদেশের সমরাস্ত্র খাতকে এমন দেউলিয়া করে রাখা হয়েছে, তার প্রমাণ রয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাম্প্রতিক একটি বক্তব্যে। জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বই ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

যেহেতু বাংলাদেশের অবস্থান ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সাতটি রাজ্যের নিরাপত্তার জন্য হুমকি, তাই ভারত সবসময় চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ সামরিক দিক দিয়ে যেন কখনোই একটি শক্তিশালী দেশে হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। কেবল সামরিক নয়, বরং ভারত চেয়েছে সব দিক দিয়েই বাংলাদেশকে একটি দুর্বল ও অস্থিতিশীল দেশ হিসেবে রাখতে। বাংলাদেশকে একটি সম্পূর্ণ অনুগত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য ভারত দীর্ঘ মেয়াদে গভীর ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে গোয়েন্দা সংস্থা র’য়ের মাধ্যমে। ভারতের এই চাওয়া এবং ষড়যন্ত্রের বাস্তব রূপ এদেশের মানুষ দেখেছে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ভারতের একান্ত অনুগত মাফিয়া শাসক শেখ হাসিনার পতন পর্যন্ত।

বাংলাদেশে প্রতিভার কোনো অভাব ছিল না কখনোই । সম্প্রতি এদেশের স্বল্প শিক্ষিত তরুণ যুবকরা আকাশে বিমান পর্যন্ত উড়িয়েছে। এদেশে প্রতি বছর লাখ লাখ মেধাবী তরুণ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বের হয়। কিন্তু এদেশে মেধার বিকাশ ও চর্চা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নেই কোনো রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। ফলে বাংলাদেশের তরুণ মেধাবীরা আজ জড়িত বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমরাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, মাইক্রোসফট ও অ্যাপলের মতো বিশ্বখ্যাত অনেক প্রতিষ্ঠানে । বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান হলো ফিফ্‌থ জেনারেশন স্টেলথ ফাইটার এফ-৩৫। যুক্তরাষ্ট্রের এই যুদ্ধবিমান তৈরির সঙ্গে সরাসরি জড়িত বাংলাদেশের তরুণ প্রকৌশলী অসীম রহমান। অথচ বাংলাদেশে যদি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিশ্ব মানের উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান থাকত, তাহলে অসীম রহমানের মতো অনেক মেধাবী এত দিন আমাদের জন্য তৈরি করতে পারত শক্তিশালী মিসাইল, রকেট, যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ইঞ্জিন, স্যাটেলাইটসহ আরো অনেক কিছু।

চীন ও পাকিস্তান অতীতে বাংলাদেশের কাছে শক্তিশালী যুদ্ধবিমানসহ আধুনিক সমরাস্ত্র বিক্রির অনেক প্রস্তাব দিয়েছে; কিন্তু ভারতকে খুশি করতে প্রতিবারই তা বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং কৌশলগত কারণে বর্তমানে চীন, পাকিস্তান ও তুরস্ক বাংলাদেশকে সমরাস্ত্র খাতে সহায়তার জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। এ সুযোগ গ্রহণে এখন বাংলাদেশের দরকার সমস্ত ভয়ভীতি আর হুমকি উপেক্ষা করে বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত গ্রহণ। ১৩ জুন ইরানে ইসরাইলের আগ্রাসনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, উপযুক্ত সামরিক শক্তি ছাড়া একটি জাতির অস্তিত্বই বিপন্ন। তাই অস্তিত্ব রক্ষায় এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সমরাস্ত্র শিল্পে দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ নিজের পায়ে দাঁড়ানোর।

লেখক : সহকারী সম্পাদক, আমার দেশ

মেহেদী হাসান