Image description
শাহীদ কামরুল
 

উইলিয়াম শেকসপিয়ারের ট্র্যাজেডি ‘জুলিয়াস সিজার’ নাটকে দেখা যায়, রোমের রাজনীতিতে এক বিশাল সংকটের সময় কিছু সেনেটর মনে করেন—সিজার যেন একচ্ছত্র ক্ষমতায় বসে না পড়ে, সে জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্রুটাস বিশ্বাস করতেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সিজারকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু তিনি ও তার সহচররা বুঝতে পারেননি, জনগণ এখনো সিজারকে ভালোবাসে এবং প্রস্তুত নয় পরিবর্তনের জন্য। ফলে সিজারের মৃত্যু-পরবর্তী সময়ে রোমে নেমে আসে গৃহযুদ্ধ, বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত। এই নাটকটি আমাদের শিক্ষা দেয়—রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত যদি সময় ও জনমতের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হয়, তবে তা গণতন্ত্রকে রক্ষা না করে ধ্বংসের দিকেই নিয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, যদি প্রস্তুতি ছাড়া এবং সব পক্ষের সম্মতি ছাড়া নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তার ফল শেকসপিয়ারের রোমের মতোই হতে পারে—জনগণের বিভক্তি, অস্থিরতা এবং গণতন্ত্রের বিপর্যয়।

নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু। এটি শুধু শাসক নির্ধারণের পদ্ধতি নয়, বরং জনগণের মতপ্রকাশ ও রাষ্ট্রের প্রতি আস্থা পুনর্নির্মাণের একটি প্রক্রিয়া। তবে প্রশ্ন দেখা দেয়, একটি রাষ্ট্র বিপর্যয়ের মুখে থাকলে, যেমন রাজনৈতিক অস্থিরতা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি বা প্রশাসনিক কাঠামোর সংস্কার—সেই সময়ে নির্বাচন কতটা কার্যকর এবং গ্রহণযোগ্য হতে পারে? বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক সহিংসতা ও সামাজিক অস্থিরতার পটভূমিতে এখন নির্বাচন হওয়া উচিত কি না, বিষয়টি বিভিন্ন মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লব-২০২৪-এর পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা, প্রশাসনিক স্থবিরতা মিলিয়ে একটি জটিল ও অনিশ্চিত প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় নির্বাচন আয়োজনের জন্য যথাযথ পরিবেশ এবং প্রস্তুতি কি আদৌ রয়েছে? আমি মনে করি, নির্বাচন একটি মাত্র দিনের কর্মসূচি নয়; এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, যার জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা, অবাধ প্রচারণার সুযোগ এবং সর্বোপরি জনসাধারণের নিরাপত্তা ও মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন।

রাজনৈতিক তত্ত্ব অনুযায়ী, জন লক গণতন্ত্রের ভিত্তি হিসেবে জনগণের সম্মতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তার ‘সামাজিক চুক্তি’ তত্ত্ব অনুযায়ী, একটি সরকার তার শাসনের বৈধতা পায় জনগণের সম্মতির মাধ্যমে, যা নির্বাচনের মধ্য দিয়েই প্রতিফলিত হয়। তবে তিনি এটিও বলেন, যদি রাষ্ট্র তার নাগরিকদের মৌলিক নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তবে সেই সরকার বৈধতা হারায়। অন্যদিকে, স্যামুয়েল হানটিংটন তার পলিটিক্যাল অর্ডার ইন চেঞ্জিং সোসাইটিস (Political Order in Changing Societies) গ্রন্থে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগত স্থিতিশীলতা ছাড়া গণতন্ত্র কার্যকর হয় না।’ তার মতে, একটি রাষ্ট্রে যদি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল থাকে এবং সামাজিক অস্থিরতা বেড়ে যায়, তাহলে নির্বাচন গণতন্ত্রকে মজবুত করার পরিবর্তে আরো বিপর্যয় তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বিশ্লেষণ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, কারণ এখনকার পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার অভাব, প্রশাসনিক পক্ষপাতের অভিযোগ এবং সামাজিক অনিশ্চয়তা নির্বাচনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

নির্বাচনের জন্য যে ধরনের অবকাঠামোগত ও রাজনৈতিক প্রস্তুতি প্রয়োজন, তা কি বাংলাদেশে বর্তমানে বিদ্যমান? নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, প্রশাসনের স্বচ্ছতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। জন জে. মার্শালের মতে, কোনো নির্বাচন তখনই বৈধতা পায়, যখন জনগণ বিশ্বাস করে এটি তাদের ইচ্ছার সঠিক প্রতিফলন। যদি ভোটাররা মনে করেন, নির্বাচন একটি নির্ধারিত খেলা বা প্রহসন, তাহলে তা শুধুই এক দিনের অনুশাসন থেকে যাবে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক ঘূর্ণিঝড় এখনো চলমান। এ পরিস্থিতিতে একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা মানবিক, রাজনৈতিক এবং নৈতিকভাবে কতটা সংগতিপূর্ণ? মানুষের নিরাপত্তা, জীবনমান ও বিকাশের সুযোগ আগে, পরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। পাঠক, ভোটাধিকার শুধু তখনই অর্থবহ, যখন মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হয়।

বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে যে অবকাঠামোগত ও মানবিক প্রস্তুতির প্রয়োজন, তা এখনো অনেকখানিই অসমাপ্ত। নির্বাচন আয়োজন মানে শুধুই ব্যালট বক্স রাখা নয়; এটি একটি সমগ্র জাতির অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া। আদতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেতে হলে একটি দেশের প্রয়োজন প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন, রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা। বাংলাদেশে এই তিনটি শর্ত কতটা পূরণ হচ্ছে, তা নিয়ে এখনই গভীর প্রশ্ন উঠেছে।

একটি যুক্তি আছে, যদি এখন নির্বাচন না হয়, তাহলে কি এক অগণতান্ত্রিক সরকার চালিয়ে যাওয়া উচিত? এই প্রশ্নে উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের তাকাতে হবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ধারণার দিকে। গুনার মিরডাল সফট স্টেটস ধারণায় বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোয় রাষ্ট্রকাঠামো এমন দুর্বল, সংকটকালীন সময়ে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া স্থগিত না করলে আরো বড় বিপর্যয় তৈরি হয়।

যারা নির্বাচন নির্বাচন করছেন, তাদের বলি নির্বাচনের পর কি হবে ভেবেছেন? যা কিছু দেশে এখন ঘটছে, এসবই হলো নির্বাচন-পরবর্তী বাংলাদেশ কেমন হবে তার ট্রেলার মাত্র। কিন্তু এভাবে অভ্যুত্থানে প্রাণ দেওয়া ছেলেমেয়েদের কোরবানি বৃথা যেতে দিতে পারি না। তাই নির্বাচনের আগে অবশ্যই সব দলকে এক টেবিলে এনে আগামীর রাজনীতি কেমন হবে, সেই বিষয়ে একটা সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে।

আমি মনে করি, সব দলকে একমত হতে হবে, তাদের দলের অঙ্গসংগঠন হিসেবে কোনো ছাত্র, যুব, স্বেচ্ছাসেবক থাকবে না। এইটুকু করতে পারলে দেশে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করি। এসব সংগঠনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের ছাত্র ও যুবদের নষ্ট করে, এদের দিয়েই দলের সব অপকর্ম করায় ক্ষমতায় যেতে, কিংবা ক্ষমতা থেকে নামাতে। ছাত্ররা করবে ছাত্ররাজনীতি, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, ক্রীড়া সংগঠন ইত্যাদি এবং এসবের মাধ্যমেই তারা সত্যিকারের সুনাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠবে এবং নেতৃত্ব ও নেতৃত্বের হাকিকত শিখবে।

তাদের যারা ক্যাডার বানিয়ে ভবিষ্যৎ তাবাহ করে দিচ্ছে, তাদের ক্ষমা করা উচিত না। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ছাত্র ও যুব টাইপের সংগঠনগুলো বন্ধ করে দেয়, তাহলেই দেশের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এবং আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া, খেলাধুলা ও সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থেকে সত্যিকারের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েকে দিয়ে বড়রা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে এদের দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি কিংবা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামাতে ক্যাডার হিসেবে ব্যবহার করে। এটি আর করতে দেওয়া যায় না। দেশে এমন রাজনীতি শুরু করতে হবে, যেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন হবে, কিন্তু দলের ডানার ভেতরে ঢুকবে না এবং লুটেরাদের কায়েমি ইনটেরেস্টকে দায়েমি করতে এস্তেমাল হবে না। ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি করলে একচোখা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, এরা রাজনৈতিকভাবে অন্ধ হয়ে যায়, কখনোই পুরো আকাশ দেখতে পারে না। যেই বয়সে সহপাঠীরা বন্ধু হওয়ার কথা, সেই বয়সে রাজনীতির অপসংস্কৃতির ছোবলে আচ্ছন্ন হওয়ার কারণে শত্রু হয়ে যায় আর সেই শত্রুতার কারণে নৃশংসভাবে মেরে ফেলতেও কার্পণ্য করে না। মোটাদাগে এই মুহূর্তে নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর সমাধান দেবে না; বরং ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে ঝাঁপ দেওয়ার মতো হালত ফায়দা হওয়ার পসিবিলিটি আছে, যদি কনসেনসাস না হয়। দেখছেন না একদল যুবদলকর্মী তাদেরই এক কর্মীকে নৃশংসভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে মেরে ফেলে, কী ভয়াবহ বীভৎসতা, গা শিউরে ওঠে, তার চেয়েও মিলিয়ন ডলারের সাওয়াল হলো ঢাকার মতো একটা বোটলনেক শহরের রাজপথে বুকে আর মাথার ওপর পাথর ফেলে মেরে ফেলল যুবদলের লোকরা! মারার পর আবার লাশের ওপর নৃত্য করল? যা আমাদের ইয়াদ করিয়ে দেয় লগি-বৈঠা নিয়ে মানুষ মেরে লাশের ওপর নৃত্য করার কথা, পার্থক্য শুধু লগি-বৈঠার জায়গায় ইটপাথর ছাড়া বৈ কি। আদতে এদের শিক্ষা কোনোকালেই হবে না। ৯০-এ হয়নি, ২০০৭-এ হয়নি, এবারও হবে বলে মনে হয় না। বস্তুত আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো পহেলা মরতবা ছাত্র ও যুবকদের নষ্ট করে, তারপর ছাত্র ও যুবকরা দলকে নষ্ট করে।

যাইহোক, বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাদের বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং দমন করতে না পারার বেশ কিছু কারণ রয়েছে।

বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় দল হওয়া সত্ত্বেও জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে পারেনি, নেতৃত্বে ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতৃত্ব ও ছাত্রশিবির। তবে দলীয় ব্যানারের বাইরে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা জুলাই বিপ্লবে ছাত্রদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অংশগ্রহণ করেছে। আদতে মনসুম বিপ্লবটি হয়েছে ছাত্রদের নেতৃত্বে, কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে নয়, বরং সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ছাত্রদের নেতৃত্ব মেনে নিয়েই আন্দোলনে শরিক হয়েছেন। আর এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে বিভিন্ন অঞ্চলের কিছু সচেতন নাগরিক এবং সাহসী নাগরিক মিছিল বের করেছেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন। যেহেতু বিএনপির নেতৃত্বে এ আন্দোলন হয়নি, সংগত কারণে জুলাই বিপ্লবের পর বিএনপির রাজনীতি খানিকটা ব্যাকফুটে হয়ে গিয়েছিল, যার কারণে বিএনপি আঞ্চলিক আধিপত্য কায়েম ও প্রভাব বিস্তার করার জন্য তাদের নেতাকর্মীকে বেপরোয়াভাবে ছেড়ে দিয়েছে। তা ছাড়া যেহেতু নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন আর্থিক অসচ্ছলতার মধ্যে ছিলেন, তাই তাদেরও দলে ধরে রাখার জন্য এ ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বলে গুমান করি । আরেকটা বড় সমস্যা হলো—বিএনপির কমিটি বাণিজ্য, যেহেতু এসব কমিটির নেতারা অর্থ বিনিয়োগ করে পদ কিনেছেন, তাই তারা সংগত কারণেই চাঁদাবাজি, দখলদারি ও বিভিন্ন উপায়ে তাদের লগ্নি করা টাকাটা উশুল করবে, এরপর তারা প্রফিটের দিকে যাবে, এটা হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। এ জন্য চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হলে অবশ্যই কমিটি বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং বিএনপির দলের স্বার্থে, আগামীর রাজনীতির স্বার্থে, ত্যাগী, সৎ এবং পড়াশোনা জানা কর্মীদের নেতৃত্বের সামনে নিয়ে আসতে হবে, তাহলেই শুধু এ সমস্যা থেকে বিএনপি স্যালভেশন পেতে পারে। কারণ বিএনপিকে দেশের জন্য এবং গণতন্ত্রের জন্য দরকার। পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশ এখন একটি জটিল দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে আছে। একদিকে, বিএনপির সকাল-বিকাল নির্বাচনের জিকির, অন্যদিকে বাস্তবতা বলছে—এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে বিতর্কিত নির্বাচন হতে পারে এবং দেশ ঢের বেশি অস্থিতিশীল হতে পারে। বাংলাদেশে এখন নির্বাচন হওয়া উচিত কি না, তা নির্ভর করে জাতীয় ঐকমত্য, বাস্তব প্রস্তুতি এবং সর্বোপরি জনগণের নিরাপত্তার ওপর। তড়িঘড়ি করলে আত্মঘাতী কিছু হয়ে যেতে পারে, আবার অনির্দিষ্টকাল পিছিয়ে দিলে তৈরি হতে পারে শূন্যতা ও দানবীয় বিভক্তি। তাই এখন দরকার দূরদৃষ্টি, সমঝোতা ও প্রজ্ঞা—যার মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থিতিশীল পথ তৈরি করা সম্ভব।

 

লেখক : সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, গবেষক ফ্রাই ইউনিভার্সিটি বার্লিন, জার্মানি