Image description
সরজমিন নারায়ণগঞ্জ-৩

শিল্প নগরী সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন। এখানে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। তার মনোনয়ন প্রাপ্তিতে নির্বাচনী এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের একটি পক্ষ হতাশ। কারণ মান্নানের বিরুদ্ধে আছে এন্তার অভিযোগ। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সোনারগাঁ জুড়ে মান্নান অনুসারীরা চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটপাট, মারধর, সন্ত্রাস, নৈরাজ্যে জড়িয়েছেন। যার কারণে দলের নেতাকর্মীরা অনেকে ক্ষুব্ধ। আছেন ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায়। মান্নান মনোনয়ন পাওয়ার পর বঞ্চিত মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এলাকায় নিজেদের মতো সভা সমাবেশ করছেন।

সরজমিন গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একসময় মান্নান একেবারেই সাধারণ অবস্থায় ছিলেন। কারখানায় কাজ করে সংসার চলতো। প্রথমে একটি শিল্প গ্রুপের সঙ্গে তার সখ্যতা হয়। পরে ওই কোম্পানির হয়ে সোনারগাঁ প্রতাপের চর, ঝাউচরে শত শত বিঘা জমি দখলে নেমে পড়েন। রাতারাতি ভাগ্য বদলে যায়। অল্প সময়ে বনে যান জমি ব্যবসায়ী। পরে ধীরে ধীরে নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী গড়ে তোলেন। এই বাহিনীর মাধ্যমে দখল বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। জমি কেনাবেচা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হন। নিজের আধিপত্য ধরে রাখতে নাম লেখান রাজনীতিতে। বিএনপি’র সদস্য থেকে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতিও হন। পরবর্তীতে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে নিজস্ব সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। সখ্যতা রেখে চলেন আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গেও। ফলে বিএনপি নেতা হয়েও গত দেড় যুগে বাধাহীনভাবে ব্যবসা চালিয়ে গেছেন মান্নান। কিন্তু ৫ই আগস্টের পর তিনি অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন। সীমাহীন দখলবাজি চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেন। 

নারায়ণগঞ্জ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় মান্নান: শামীম ওসমান জমানার পর পুরো নারায়ণগঞ্জ নিয়ন্ত্রণহারা হয়ে পড়ে। তখনই নারায়ণগঞ্জের একক আধিপত্য নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন মান্নান। দুই উপজেলা ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল, মহিলা দল, যুব মহিলা দল, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের ৮০ শতাংশ নেতাকর্মীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের দলে ভেড়ান। কেউ কেউ আবার মনোনয়ন পাওয়ার পর স্বেচ্ছায় তার সঙ্গে মিলেছেন। এতে একক আধিপত্য দেখাতে শুরু করেছেন মান্নান। দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যবহার করে একের পর এক অনিয়ম, অপকর্মে জড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। শিল্প নগরী ও ইকোনমিক জোনের সকল লুটপাট, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, ওয়েস্টেজ বাণিজ্য, পরিবহন চাঁদাবাজি, ফুটপাথ, বাস-ট্রাক সিএনজি অটোস্ট্যান্ড, নৌ-চাঁদাবাজি, বালুমহাল, নদী ভরাট, সরকারি প্রতিষ্ঠান, হাট বাজার একক নিয়ন্ত্রণ করছেন মান্নান বাহিনী। এ কাজ প্রায় দেড় বছর ধরেই চলছে। এতে মাসে শত শত অবৈধ কোটি টাকা মান্নানের পকেটে ঢুকছে। দিন দিন মান্নানের দখলবাজি ও চাঁদাবাজিতে অসহায় হয়ে পড়েছে ওই এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। মান্নানের দখলবাজিতে ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। তবুও বেপরোয়া থেকে গেছেন এই বিএনপি নেতা। মান্নানের আধিপত্যের মূল সেনাপতি তার ছেলে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম সজীব। বর্তমানে সজীবের নিয়ন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জ জেলা, মহানগর, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সজীব সভা-সমাবেশ ডাকলেই হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হন।

মোটরসাইকেল শোডাউন বের হয়। ছেলের বিশাল বড় বাহিনী থাকায় সোনারগাঁয়ের মান্নানের সামনে কেউ দাঁড়াতে পারছে না। আবার নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে মান্নানকে প্রতিষ্ঠিত করতে ঢাকার একটি শিল্প গ্রুপ টাকা ঢালছে এমন কথাও চাউর আছে। 
 

অনুসারীদের চাঁদাবাজি: মান্নান ও তার অনুসারীরা দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি ও দখলবিরোধী প্রচারণা, লিফলেট বিতরণ করেন। কিন্তু সন্ধ্যার পরে তারাই ফুটপাথে চাঁদা তুলতে নেমে পড়েন। শুধু ফুটপাথ নয় মোগরাপাড়া ও চিটাগাং রোড এলাকায় বাস, সিএনজি, ট্রাক, পিকআপ, অটোস্ট্যান্ডে নিয়মিত চাঁদা তোলা হয়। সরজমিন দেখা গেছে, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ডের আধা কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশে প্রায় ৭ শতাধিক ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট বসানো হয়েছে। প্রতিদিন দোকানপ্রতি ৩৫০ টাকা চাঁদা তোলা হয়। আগে যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রনি এই ফুটপাথ নিয়ন্ত্রণ করতেন। এখন করেন মান্নানের সহযোগী বিএনপি নেতা আতাউর রহমান। এ ছাড়া মহাসড়কের দুই পাশে শত শত বাস কাউন্টার আছে। এসব কাউন্টার থেকে কাউন্টারপ্রতি দৈনিক ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। টাকা দিতে হয় চলাচল করা যানবাহনকেও। গাড়ি দাঁড় করিয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা চাঁদা তোলা হয়। এ ছাড়া সিএনজিস্ট্যান্ডে সিএনজিপ্রতি ৫০ ও অটোরিকশা ভিড়লেই ২০ টাকা চাঁদা নেয়া হয়। বাদ যায় না  ট্রাক ও পিকআপ স্ট্যান্ডও। সেখান থেকে গাড়িপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা চাঁদা নেয়া হয়। মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে সড়ক ও জনপদের প্রায় ৪ একর জমি আছে। ওই জমি দখল করে দেড় শতাধিক দোকান বসানো হয়েছে। সেখানে দোকানপ্রতি মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া তোলা হচ্ছে। আগে এই দোকানগুলোর ভাড়া তুলতো সাবেক এমপি’র লোকজন। এখন তাদের সঙ্গে মান্নানের লোকজন মিলে ভাগবাটোয়ারা করে ভাড়া তুলছেন। স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুধুমাত্র মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকেই দৈনিক ১০ লাখ টাকা চাঁদা তোলা হয়। এই টাকার সিংহভাগ চলে যায় মান্নানের কাছে। চাঁদাবাজি করতে গেলে গত ২৯শে সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনী আতাউরকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। 

দখল লুটপাটের অভিযোগ: সরকার পতনের পর মান্নানের সমর্থকেরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দখলসহ নানা অপকর্ম শুরু করেন। এর নেতৃত্ব দেন মান্নানের ছেলে সজীব। ৫ই আগস্ট থেকে ৩০শে আগস্ট পর্যন্ত শত শত ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জায়গা জমি দখল ও ভাঙচুর করা হয়। মান্নানের  লোকজনের ভয়ে এলাকার ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এই সময়ে সোনারগাঁও একটি ভয়ের নগরীতে পরিণত হয়। মান্নানের লোকজন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ রনির টিপুরদী এলাকার একটি কারখানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। ইলিয়াসদী এলাকায় আনোয়ার আলী মেম্বার, কাজিমউদ্দিন, মাসুদুর রহমান ও মোশারফের ৫টি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া সোনারগাঁ পৌরসভার হাতকোপা গ্রামের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম মোল্লার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট, মুন্সিরাইল বাজারে জাপা নেতা মুজিবুর রহমানের দোকানপাটে ভাঙচুর ও দখল করা হয়। পিরোজপুর ইউনিয়নের প্রতাপের চর এলাকায় মিন্টু মিয়ার বাড়ি ও আষাঢ়য়ারচর  গ্রামে আব্দুল হালিম ও মেহেদী হাসানকে কুপিয়ে আহত করা হয়। বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল ও তার ভাই আমিনুল ইসলামের বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। নুনেরটেক এলাকায় ইউপি সদস্য ওসমান গণিসহ ১৬ ব্যক্তির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর গ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সালাউদ্দিন মাসুমের বাড়ি, পঞ্চমীঘাট বাজারে আওয়ামী লীগের সমর্থক আইয়ুব আলী ও তার ভাই মামুন ভূঁইয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে পিকআপভ্যানে করে মালপত্র লুট করে নেয়া হয়। সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল ইসলামের দু’টি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়। জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় পল্লী চিকিৎসক বসুর দোকান ভাঙচুরসহ কলতাপাড়া গ্রামের হাবিবুল্লাহর দুটি গরু লুট করে নিয়ে জবাই করে অনুষ্ঠান করা হয়। ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের বশিরগাঁও বাড়ি, মহজমপুর এলাকায় দুলাল ভূঁইয়ার অফিস ও বাড়ি, জামপুর গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য সুজনের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। একই এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা হরমুজ আলীর দুই ছেলে রনি ও মোহাম্মদ আলীকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পাকুন্ডা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা শাদত আলীসহ ১৭টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে মান্নানের লোকজন। তালতলা বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ হোসেনের দোকান, যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলামের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমানের চরলালের বাড়ি, অলিপুরা বাজারে তাকবিরের ওষুধের দোকান ভাঙচুর ও লুট করা হয়। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থক ইমনের বাড়ি ও চৌরাপাড়া গ্রামে আতাউরের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী এলাকায় কৃষক লীগের আহ্বায়ক করিম আহমেদের খামার বাড়িতে হামলা করে লুটপাট করা হয়। 

ওদিকে নারায়ণগঞ্জ মেঘনা নদীতে সেতুর সোনারগাঁও অংশের টোল প্লাজা দখল করে অন্তত ৫ দিন টোল আদায় করার অভিযোগ উঠেছে মান্নানের ছেলে সজীব ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দুপুরে টোল প্লাজার কর্মকর্তারা পালিয়ে গেলে টোল বুথের নিয়ন্ত্রণ নেন মান্নানের লোকজন। এতে ৫ই আগস্ট দুপুর থেকে ১১ই আগস্ট সকাল পর্যন্ত সেতুর মেঘনা অংশের টোকেন ছাড়াই টোল আদায় করা হয়। টোল প্লাজার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকা নারায়ণগঞ্জ সওজের অফিসে গিয়ে আগস্ট মাসের টোল আদায়ের পরিসংখ্যান যাচাই করা হলে সেখানে ২৫ দিনের তথ্য পাওয়া গেলেও কিন্তু ৫ই আগস্ট থেকে ১১ই আগস্ট পর্যন্ত টোলের কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি। ওই অংশটি টোল আদায় হয়নি দেখানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টোল প্লাজায় কাজ করা এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, গত ৫ই আগস্ট পরিস্থিতি খারাপ হলে আমরা টোল প্লাজা ফেলে জীবন বাঁচাতে সরে যাই। এরপর ঘণ্টাখানেক টোল আদায় ছাড়াই গাড়ি যাতায়াত করে। কিন্তু বিকাল থেকে যুবদল নেতা সজীবের লোকজন এসে টোল প্লাজায় বসেছে বলে শুনেছি। এরপর থেকে ৫ দিন তারাই টোল আদায় করেন। দুই অংশে প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি টাকার মতো টোল আদায় হয়। 

যা বলছেন মান্নান: নিজের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের বিষয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নান মানবজমিনকে বলেন, আমি কি ফকিন্নির ছেলে? আমি কোনো চাঁদাবাজি, দখলবাজি করতে যাবো। এটা একদম মিথ্যা এবং অপপ্রচার। সোনারগাঁয়ে যত কারখানা আছে, মালিকরাই বলতে পারবেন সেখানের উপরি মালামাল কারা নেয়। আমার লোকজন এসব কাজের মধ্যে নেই। আগে আওয়ামী লীগ খেয়েছে, তারা পালিয়ে যাওয়ার পরে ওসবতো পড়ে থাকবে না, সেটা কেউ না কেউ নিবে। মালিকরা এগুলো ফালাবে কোথায়?  তিনি বলেন, জমি দখলের অভিযোগ সত্য না। আমি মমতাজ বেগমের জমি দখল করিনি, ওটা আমার জমি। বরং তিনিই এতো বছর দখল করে রেখেছিলেন। আমার কাগজপত্র আছে। আদালতের রায় আছে। আমি আমার জমি বুঝে নিয়েছি। টোল প্লাজার টাকা তোলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মান্নান বলেন, আমার ছেলে টোলের টাকা তুলতে যাবে কেন?  এটা কেউ বলতে পারবে না। এটা মিথ্যাচার। বরং টোল প্লাজার জমি আমার বাপ-দাদার। তাদের টোল তারাই তুলেছে। আমার ছেলে ৫ই আগস্টের পর থেকে দীর্ঘদিন ঢাকায় ছিল। তিনি বলেন, আমি আমার যোগ্যতায় মনোনয়ন পেয়েছি, এখানে কারও হাত নেই। আর আমার দলের জন্য যে ত্যাগ সোনারগাঁয়ে আর কারও নাই। দল এজন্যই আমাকে বিবেচনা করেছে। মোগরাপাড়ায়ও চাঁদাবাজি হয় না। আতাউর আমার লোক ঠিক আছে। কিন্তু তার সব কাজের দায় আমার না। আর সোনারগাঁয়ে ৫ই আগস্টের পরে কোনো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ হয়েছে- এমন কথা কেউ বলতে পারবে না। আমি আমার নেতাকর্মীদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছি কারও বাড়িঘর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করা যাবে না। এমন কিছু ঘটেনিও।