দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভূমিকম্পের ডেঞ্জার জোন হচ্ছে ‘ডাউকি ফল্ট’। যেটির অবস্থান ভারতের মেঘালয়, আসাম ও বাংলাদেশের সিলেটে। সম্প্রতি এই ফল্টের চারপাশ কেঁপে উঠছে। গতকাল ভোররাতে ডাউকি ফল্টও কেঁপেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডাউকি ফল্ট কেঁপে উঠলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে বাংলাদেশ ও ভারতের ওই অঞ্চলে। প্রায় একশ’ বছর আগে বড় ধরনের ভূমিকম্পে সিলেট পরিণত হয়েছিল ধ্বংসস্তূপে। ডাউকি ফল্ট থেকে ঢাকার দূরত্ব বেশি নয়। সম্প্রতি সময়ে ঢাকার আশপাশে ভূকম্পন হচ্ছে। একইসঙ্গে গতকাল ভারত ও ভুটানে ভূমিকম্প হয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য বলছে- ভারত, বাংলাদেশ ও ভুটানে আট ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি ভূমিকম্প রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ কম্পনটি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মণিপুর রাজ্যে এবং মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভুটানে ৩ মাত্রার এবং রাত সাড়ে ৩টায় সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তে আরও একটি ভূমিকম্প রেকর্ড হওয়া তথ্য আন্তর্জাতিক সূত্রে উঠে আসে। গোয়াইনঘাট সীমান্তেই ডাউকি ফল্টের অবস্থান। ফলে এ ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে ভিন্ন কথা। তারা স্থানীয়ভাবে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার কোনো প্রমাণ পায়নি।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানিয়েছেন, সিলেটে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার মতো কোনো ঘটনা তাদের যন্ত্রে রেকর্ড হয়নি। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় মণিপুরে ৩ দশমিক ৫ মাত্রার কম্পন ভারতের সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রকাশ করেছে, তবে এর প্রভাব সিলেট অঞ্চলে অনুভূত হয়নি। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিলেটে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার দাবি করছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার লিখছেন রাতে দু’বার এবং সকালে একবার কম্পন অনুভূত হয়েছে। কিন্তু সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে, স্থানীয় পর্যবেক্ষণ যন্ত্রে এ ধরনের কোনো সিগন্যাল পাওয়া যায়নি এবং মণিপুর অঞ্চলের কম্পনের প্রভাবও সিলেটে পড়েনি। ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সূত্র জানিয়েছে, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিলেটে ৩ দশমিক ৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প রেকর্ড হয়েছে, যার উৎপত্তিস্থল ছিল গোয়াইনঘাট সীমান্ত এলাকায়। এ সম্পর্কেও সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।