Image description
৩০ ঘণ্টার মধ্যে ৪ বার ভূমিকম্প, কেন্দ্রস্থল রাজধানীর আশপাশ, *রাজধানীর পুরান ঢাকার অধিকাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ :রাজউক চেয়ারম্যান *রাজধানীর কোন ভবনগুলো কোড মেনে নির্মিত হয়েছে, কোনগুলো মেরামত দরকার, আর কোনগুলো বিপজ্জনক এখনই স্পষ্ট করা জরুরি :প্রফেসর ড. মেহেদি আহমেদ আনসারী *পুরোনো ভবনগুলোর ৯০ ভাগই বিল্ডিং কোড মেনে হয়নি, ৬ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হলে মহাবিপর্যয় ঘটে *দুর্যোগ মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা একেবারেই অপ্রতুল

ছোট ছোট ভূকম্পন আরও বড় ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা। সে হিসাবে বাংলাদেশ বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে সেটা এখন স্পষ্ট হচ্ছে। পর পর দু’দিন ভূমিকম্প হওয়া আরও বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকা ভূমিকম্পের রেড জোনে আছে। কারণ, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে ঢাকার আশপাশে।

গত ২১ নভেম্বর যে ৫দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সারাদেশ, তার উৎপত্তিস্থল ঢাকার অদূরে নরসিংদীতে। ভূমিকম্পের এই ঝাঁকুনি স্মরণকালের সর্বোচ্চ ছিল। ওই ভূমিকম্পের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই গতকাল সকালে ঢাকার অদূরে নরসিংদীর পলাশ এলাকায় মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। এরপর সন্ধ্যায় আবার কিছুক্ষণের মধ্যে ২বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর প্রথমটি ৩ দশমিক ৭ মাত্রা এবং সামান্য সময় পরে ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প ছিল। এর উৎপত্তিস্থল রাজধানীর গুলশানের বাড্ডা এলাকায়। এর আগে যে সব ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে তাদের উৎপত্তিস্থল সবই ছিল বাংলাদেশের বাইরে প্রতিবেশী কোন দেশে। তবে এবারই বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল অর্থাৎ রাজধানীর আশপাশে ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল। এটা রাজধানীর জন্য বড় বিপদ সংকেত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড.মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেন, ৩০ ঘণ্টার মধ্যে কয়েকবার ভূমিকম্প এটা বড় ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা। বাংলাদেশ তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেকের বেশি ভবন মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে লাখ মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।

গত ২১ নভেম্বরের ৫দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের একটা ঝাঁকুনি ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শত শত আহত হয়েছে। কেউবা দ্রুত ঘর থেকে বের হতে গিয়ে পায়ের চাপে পিষ্ট হয়ে, কেউবা ভবন থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন। অনেক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে, বেশ কিছু ভবন হেলে পড়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন জ্বলেছে, মাঠের মাটি দুভাগ হয়ে গেছে, ঘরের জিনিসপত্র তাক থেকে পড়ে ভেঙেছে। সামান্য এই ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে যদি এমন হয় তাহলে আরও বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির তৈরী হবে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা ৬ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হলে বেশির ভাগ ভবনই ভেঙে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এতে এখানে এক বীভৎস অবস্থার সৃষ্টি হবে। রাজধানীর গ্যাস, পানি এবং পয়ঃপ্রণালির যে সিস্টেম, এগুলোর যে অবস্থা, এগুলোকে সরাতেও পারবে না। এগুলোর গন্ধে কেউ থাকতে পারবে না। এ ছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার যে দুরাবস্থা তাতে এসব সহজে পরিষ্কার করাও যাবে না। সব মিলিয়ে রাজধানী ঢাকা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। যদি ৬ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হয় তাহলে মহাবিপর্যয় হবে ঢাকায় এবং দেশের অনেক জায়গায়। ভূমিকম্পে ভবন ধসে তো মানুষ মারা যাবেই, প্রধান বিপদ আসবে আগুন থেকে। গ্যাস লাইন ফেটে সারা শহরের এখানে ওখানে আগুন জ্বলে উঠবে। গত ২০ অক্টোবর রাজধানীর বিমানবন্দরের কার্গো গুদামে আগুন লেগেছিল। এই আগুন নেভাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেও ফায়ার সার্ভিস ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় কিছুই রক্ষা করতে পারেনি। আমাদের দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কত দুর্বল এ থেকে সহজেই বুঝা যায়। বিমান বন্দরের মতো কেপিআই এলাকায় আগুন লাগলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যালার্ম বেজে ওঠার কথা, সিসিটিভিতে ধোঁয়া দেখে শুরুতেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানির ধারা বর্ষিত হওয়ার কথা এবং ঘটনাস্থলেই ফায়ার ব্রিগেড থাকার কথা। কিন্তু এসব কিছুই দেখা যায়নি। সেই সংরক্ষিত এলাকার আগুন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সামলাতে পারেনি।

এখন যদি রাজধানীতে ১ হাজার ভবনও ভেঙে পড়ে, রাস্তাঘাটে বিদ্যুতের খুঁটি ভাঙা ইট কংক্রিট পড়ে রাস্তাকে অচল করে রেখেছে, এর মধ্যে গ্যাস লাইন ফেটে অনন্ত ৫০টি স্থানে একসঙ্গে আগুন জ্বলছে, তাহলে অবস্থাটা কী হবে। এর আগে গত ২০২৩ সালের ৭ মার্চ ঢাকার সিদ্দিক বাজারে একটি ভবনে গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময়ও দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের প্রস্তুতি, সরঞ্জাম, রসদ, যন্ত্রপাতি কত অপর্যাপ্ত তাও স্পষ্ট বুঝা গেছে। একটা রানা প্লাজা ধসের সময় সর্বশক্তি নিয়োগ করেও তেমন কিছুই উদ্ধার করা যায়নি। একটা সিদ্দিকবাজারের সময় মন্ত্রণালয় কতটা অসহায় তা দেখা গেছে, এক বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে কতটা বেগ পেতে হয়েছিল তাও এখনো সবার কাছে স্পষ্ট। এ অবস্থায় ভূমিকম্পে যদি শত শত ভবন ভেঙে পড়ে তাহলে কী মহাবিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে তা অনুমান করাও কঠিন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান বলেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি খুবই অপ্রতুল।

দুর্যোগ ব্যবস্থা মন্ত্রণালয় নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ক্রয়ের জন্য গত ২০০৬ সালে ১ হাজার ৭৫৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এটি ২০২৩ সালে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ২২০ কোটির টাকার কিছু যন্ত্রপাতি কেনা ছাড়া প্রকল্পের আর কোন অগ্রগতি হয়নি। আর ফায়ার সার্ভিসের এসব যন্ত্রপাতিও নিম্নমানের এবং এই ক্রয় প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে সর্Ÿোচ্চ আদালতে এ নিয়ে একটি রায়ও দেওয়া হয়েছে। এর রায়ের আলোকেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

যেসব এলাকায় গভীর ভূচ্যুতি থাকে, সেখানে দুইশ-আড়াইশ বছর পরপর মাঝারি বা বড় ভূমিকম্প আসতে পারে। সেই সময়চক্রের ভেতর ঢুকে গেছে বাংলাদেশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র গত ৪৮৫ বছরের ভূমিকম্প তালিকাভুক্ত করে দেখিয়েছে– ঢাকা ও আশপাশে ঐতিহাসিকভাবে মাত্র ছয়টি ভূমিকম্প হলেও গত ১২ বছরে সংখ্যাটা দশে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রস্থলও বদলে গেছে। আগে সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বেশি ছিল। এখন মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, দোহার ও নরসিংদীর দিকে সরে এসেছে।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, এখানকার ভূগর্ভে বার্মা প্লেটের নিচে ইন্ডিয়ান প্লেট চাপা পড়ে শক্তি জমছে, যা কখন মুক্তি পাবে, তা কেউ জানে না। তবে হিসাব বলছে, ঝুঁকির দিকটা সামনের দিকে আরও বাড়ছে, কমছে না।

১৮৬৯ থেকে ১৯৩০ এই ৬১ বছরের মধ্যে এ অঞ্চলে পাঁচটি বড় ভূমিকম্প হয়, যার সবই রিখটার স্কেলে ৭-এর ওপরে। এরপর দীর্ঘ নীরবতা। অনেক বিশেষজ্ঞ এটাকেই বিপজ্জনক লক্ষণ হিসেবে দেখেন। যেন বড় একটি চাপ জমে আছে, বের হওয়ার পথ খুঁজছে। ২০২৪ থেকে রেকর্ড হওয়া ৬০টি ভূমিকম্পে দেখা গেছে, ৩১টি ছিল ৩-৪ মাত্রার মধ্যে। তিনটি ছিল ৪ মাত্রার ওপরে। বাংলাদেশের বাইরে নেপাল, ভুটান, ভারত, চীনেও একই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে, যা দেখায় পুরো অঞ্চলই এখন অস্থির বৈশ্বিক ভূতাত্ত্বিক চাপের ভেতর আছে। সমস্যা হলো, এ ধরনের সতর্কতা অনেক বছর ধরে শোনা গেলেও বাস্তব উদ্যোগ গতি পায় না। ঢাকার ছয় লাখ ভবনের দুই-তৃতীয়াংশ নিয়ম মানে না। নতুন ভবনেও একই অবস্থা। বিল্ডিং কোড কার্যকর করার কথা বারবার বলা হলেও বাস্তবে এটি প্রায় অকার্যকর। জরুরি প্রস্তুতির বিষয়ও বেশ নড়বড়ে। ঘূর্ণিঝড় গবেষণা কেন্দ্রে যন্ত্রপাতি থাকলেও ব্যবহার হয় না। উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ২০১৫ সালে অনুমোদন পেয়েছে, কাজ এখনও পুরো হয়নি। জনবল নেই, ‘মোবিলাইজেশন’ নেই, অনুশীলন নেই। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা তৈরি করে ৩ হাজার ২০০ ভবন চিহ্নিত হয়েছে। এরপর কিছুই এগোয়নি। চিঠি চালাচালি ছাড়া সিদ্ধান্ত হয় না। এদিকে শহরের কোটি মানুষ জানেই না তারা কতটা অনিরাপদ ভবনে থাকছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, আসলে এই দেশে ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় সমন্বিত জাতীয় নীতিই নেই। বিচ্ছিন্ন কিছু কাজ চলছে। কিন্তু একটি স্পষ্ট নীতিপত্র ছাড়া ভবন নির্মাণ থেকে নগর পরিকল্পনা কোনো কিছুই কাক্সিক্ষত পথে যাচ্ছে না।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ১৩টি অঞ্চলকে ভূমিকম্প-ঝুঁকিপূর্ণ বলছে। বিশেষ করে সিলেটের জৈন্তাপুর এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা সবচেয়ে ঝুঁকিতে। সেগুলো ঢাকার শত কিলোমিটার দূরে হলেও ৭-৮ মাত্রার কম্পন ঢাকাকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাই ঢাকা শহরের বিষয়টা আরও সংকটজনক। এখানে প্রায় ২১ লাখ ভবন আছে। এর মধ্যে ছয় লাখ ছয়তলার বেশি। গত ২১ নভেম্বর মাত্র ২০ সেকেন্ডের কম্পনে যেসব ভবন নড়ে উঠেছে বা ফাটল ধরেছে, সেগুলো ভবনের মান সম্পর্কে অনেক কিছু বলে। বিল্ডিং কোড মানা হয়নি, সেটাই স্পষ্ট।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড.মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেন, ঢাকার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে যদি ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয় তাহলে শহরের প্রায় ৩৫ শতাংশ ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে। আর এতে এক থেকে তিন লাখ মানুষ হতাহত হতে পারে। তিনি বলেন, রাজধানীর সব ভবন পরীক্ষা করে তিন শ্রেণিতে ভাগ করতে হবে, অনেক দেশেই এটা করা হয়েছে। ‘সবুজ’ মানে ঝুঁকিমুক্ত, ‘হলুদ’ মানে সংস্কার করা দরকার, ‘লাল’ মানে অবিলম্বে খালি করতে হবে। কোন ভবনগুলো কোড মেনে নির্মিত হয়েছে, কোনগুলো মেরামত দরকার, আর কোনগুলো বিপজ্জনক এটা এখনই স্পষ্ট করা জরুরি।

এদিকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম গতকাল পুরান ঢাকায় ভূমিকম্পে রেলিং ভেঙে পড়া ভবন পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, রাজধানীর পুরান ঢাকার অধিকাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে কোনো প্ল্যান ছাড়া এক কাঠার কম জমিতেও ৬ থেকে ৭ তলা বাড়ি করা হয়েছে। যারা জোর করে করছে, আমরা তাদের মিটার কেটে দিচ্ছি। তারপরও আবার চোরাই মিটার নিয়ে বা জেনারেটর দিয়ে তারা করতেছে। পুরান ঢাকার শত বছরের পুরাতন ভবনের ঐতিহ্য রক্ষা করেই নতুন পরিকল্পিত নগরায়নের উদ্যোগ নিয়েছে রাজউক। এছাড়া ভূমিকম্পে যে ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলোর তালিকা করা হবে এবং যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ: সেগুলোর তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।