Image description
অস্ত্র আসছে ওপার থেকে : বছরে আড়াইশ’ কোটি টাকা চাঁদাবাজি খাগড়াছড়িতে সংঘাত অবরোধের নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড : সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

খাগড়াছড়িতে এক মারমা কিশোরীকে অপহরণ করে কথিত ধর্ষণের অভিযোগে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে পড়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট- ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। অবরোধের নামে তারা পুরো খাগড়াছড়ি জেলাকে অচল করে রেখেছে। সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর ওপর নির্বিচারে হামলা, বাঙালিদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি সংযোগ, নির্বিচারে গুলিবর্ষণসহ রক্তাক্ত সহিংস ঘটনায় জনমনে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

পাহাড়ের বাসিন্দারা বলছেন, মারমা কিশোরীকে অপহরণের ঘটনায় তাৎক্ষণিক এক অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের নির্দেশে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। ওই কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু তাকে ধর্ষণের কোনো আলমতও পাওয়া যায়নি। এরপরও অপহরণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। অথচ এ ঘটনাকে পুঁজি করে পুরো জেলায় সংঘাত ছড়িয়ে দেয় ইউপিডিএফ।

অভিযোগ রয়েছে, ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার সহযোগীরা পাহাড়ে অস্থিরতা সৃষ্টির নেপথে ভূমিকা পালন করছে। আর এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার শক্তি জুগিয়ে চলেছে প্রতিবেশী ভারত। খোদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গতকাল রাজধানী ঢাকার এক অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়িতে সংঘাতের জন্য ভারতের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলেছেন। হাসিনার পতনের পর থেকে দেশে একের পর এক অঘটন ঘটানোর অপচেষ্টা করে ভারতীয় এজেন্টরা। এ ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বেশ কয়েক দফা সংঘাত সৃষ্টি করে তারা। তারই অংশ হিসাবে খাগড়াছড়িতে এখন সহিংস ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।

খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ি এবং সাজেকের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভারত থেকে অস্ত্র আনছে এসব সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা। ইউপিডিএফের ১২’শ থেকে দেড় হাজার সদস্য তৎপর রয়েছে। চাঁদাবাজি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে হানা দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায়ের মাধ্যমে তারা বছরে শত কোটি টাকা সঞ্চয় করছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছর তারা বিভিন্ন খাত থেকে প্রায় আড়াইশ’ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছে। আর এ বিপুল অর্থ দিয়ে পাহাড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের মদদে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচন সামনে রেখে রাষ্ট্রঘাতি অপতৎপরতায় লিপ্ত হওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার মারমা সম্প্রদায়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে অপহৃত হন। তাকে উদ্ধার করা হয় এবং এ ঘটনায় জড়িত শয়ন শীলকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনার পর অপরাধীদের বিচার চাওয়ার পরিবর্তে ইউপিডিএফ পাহাড়ে বিভ্রান্তি এবং উসকানি দিয়ে নৈরাজ্য শুরু করে। তাদের উসকানিতে উখ্যানু মারমার নেতৃত্বে ‘জুম্মু ছাত্র জনতার’ ব্যানারে আন্দোলনের নামে নাশকতা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিভিন্ন গোষ্ঠী উসকানি ও মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এবং আইনশৃঙ্খল রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের উপর আক্রমণের ঘোষণা দেয়।

কথিত ধর্ষণের বিচার না চেয়ে তারা সভা সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের আবদার জানায়। অবরোধের নামে গাছ কেটে সড়কে ফেলে যানবাহন চলাচল বিঘিœত করে। সেনাবাহিনীর টহল টিমের উপর আক্রমণ করে সদস্যদের রক্তাক্ত আহত করে। রোববার গুঁইমারায় ব্যাপক তা-ব চলায় এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনজন নিহত হয়। আহত হন সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৫ জন। স্থানীয়রা জানায়, সংঘাত চলাকালে তারা বাঙালিদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেয়। আবার নিজেদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তার দায় চাপায় বাঙালিদের উপর। সেনা সদস্যরা চরম ধৈর্য্যরে সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে। কিন্তু এরপরও বিভিন্ন জায়গায় অবরোধের নামে তা-ব চলতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে চলতে থাকে অপপ্রচার। রাষ্ট্রঘাতি অপতৎপরতায় লিপ্ত এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা সশস্ত্র অবস্থায় বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে। এলাকায় এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এদিকে পাহাড়ে অশান্তির জন্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইউপিডিএফকে দায়ী করে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম পাহাড়ে রাষ্ট্রঘাতি অপতৎপরতা প্রতিরোধে সেখানে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প এবং টহল বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। ইউপিডিএফসহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে নিষিদ্ধ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবিতে রোববার রাতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে ইউপিপিএফ নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ হয়।

ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ : ১৯৯৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় একটি সম্মেলনে গঠিত হয় ইউপিডিএফ। প্রধানত পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বরে পার্বত্য চুক্তির বিরোধিতা করে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে এ সংগঠনের জন্ম। কিন্তু গঠনের পর থেকে এই সংগঠনটি অধিকারের নামে চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, হত্যা, গুম এবং সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। এর ফলে সংগঠনটি ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ থেকে ৩১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩৩২ জন অপহরণের শিকার হয়েছে, ১২৪ জন নিহত এবং ৪২ জন আহত হয়েছে, যার বেশিরভাগের সাথে ইউপিডিএফ-এর মূল দল জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর বিভিন্ন তথ্যে জানা গেছে। এছাড়া, নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে ২৬টি গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে, যা অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ইউপিডিএফের চাঁদাবাজি পাহাড়ি ও বাঙালি উভয় সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করেছে, যা প্রায়শই অপহরণ বা হত্যায় পর্যবসিত হয়।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা
২০০১ সালে রাঙামাটি নানিয়ারচরে ইউপিডিএফ তিনজন বিদেশী নাগরিককে অপহরণ করে। মুক্তিপণ হিসেবে ৩ কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদাহরণ। ২০০২ সালে রাঙ্গুনিয়ার রানিরহাটে বাঁশ ব্যবসায়ী ওমর আলী হাজিকে চাঁদা না দেয়ায় ইউপিডিএফ ১০ রাউন্ড গুলি করে হত্যা করে। এর ফলে কাউখালী-কচুখালীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়, যাতে পাহাড়ি এবং বাঙালি উভয় পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিভেদের জেরে থুইমং মারমার বাড়িতে আগুন দেয়, যা পরবর্তীতে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পাহাড়িদের একতরফা মিথ্যা মামলায় বাঙালি নর-নারী বছরের পর বছর পালিয়ে থাকতে বাধ্য হয়, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ। ২০০৩ সালে মহালছড়ি, খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ একজন বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এর ফলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়, যাতে ইউপিডিএফ এবং উপজাতীয় গোষ্ঠী সমন্বিত আক্রমণ করে। এতে শত শত মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ২০০৬ সালে রাঙামাটি নানিয়ারচর মাইসছড়িতে ইউপিডিএফ অতর্কিতভাবে সেনা ক্যাপ্টেন গাজিকে হত্যা করে।
২০১২ সালের ১৩ জুন মাটিরাঙ্গার দক্ষিণ কুমিল্লা টিলায় মো. আব্দুল মান্নানের কিশোরী মেয়ে চারজন ইউপিডিএফ সদস্য কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়। একই বছরের ২৩ জুলাই মাইসছড়ি, মহালছড়িতে একজন এবং ৯ অক্টোবর শ্মশানখোলায় অপর একজন নারী ধর্ষণের শিকার হন। ২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মাটিরাঙ্গার বাইল্যাছড়িতে চলন্ত বাস থেকে নয়ন ত্রিপুরা ওরফে ফাতেমা বেগমকে তার স্বামীর সামনে অপহরণ করা হয়। তাকে উদ্ধার করা যায়নি। লেখিকা রোকেয়া লিটার ‘ডুমুরের ফুল’ উপন্যাসে এই ধরনের ঘটনা তুলে ধরায় তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর নানিয়ারচরে চাঁদা না পেয়ে ইউপিডিএফ ১২ একর আনারস বাগান এবং ২০ হাজার সেগুন গাছের চারা ধ্বংস করে। লক্ষাধিক আনারস গাছ কেটে ফেলা হয় এবং বাঙালিদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়।

২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল দীঘিনালায় ক্ষেত্রলাল ত্রিপুরার মেয়ে দীপা ত্রিপুরাকে ইউপিডিএফ-সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) অপহরণ করে। জুম ঘরে আটকে রেখে গণধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিও করে। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে মোটরসাইকেল চালক সাদিকুল ইসলামকে ইউপিডিএফ হত্যা করে এবং লাশ মাটিতে পুঁতে রাখে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ২০১৯ সালের ৩ মে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমাকে (পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি) ইউপিডিএফ গুলি করে হত্যা করে। এসময় ৬-৭ জন নিহত হয়। ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর পানছড়ির অনিলপাড়ায় ইউপিডিএফের চার নেতা-কর্মী প্রতিপক্ষ জেএসএস সংস্কার গ্রুপ কর্তৃক নিহত হয়। পিসিপির তিনজন নিখোঁজ থাকে।

২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর নানিয়ারচরে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে গুলিবিনিময়ে একজন সেনা সদস্য আহত হয়। ২০২৩ সালের ১৫ জুলাই রাঙামাটিতে সংঘর্ষের পর কয়েকজন ইউপিডিএফ সদস্য আত্মসমর্পণ করে এবং সেনাবাহিনী জার্মান তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দীঘিনালায় গুলিবর্ষণে ইউপিডিএফ কমান্ডার জুনেল চাকমা নিহত হয়। অক্টোবরে লতিবান ইউনিয়ন, পানছড়িতে একাধিক কমান্ডার নিহত হয়। নভেম্বরে পানছড়িতে সংঘর্ষে সংগঠক মিতন চাকমা নিহত হয়।

২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চালক মামুনকে হত্যার পর দীঘিনালা এবং রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হয়, যাতে ৪ জন নিহত হয়। গত ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পথে বিঝু উৎসব শেষে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে (রিশন চাকমা, দিব্যি চাকমা, মৈত্রীময় চাকমা, লংঙি ম্রো এবং অলড্রিন ত্রিপুরা) ইউপিডিএফ অপহরণ করে। পরে সেনা অভিযানের পর মুক্তি দেওয়া হয়। গত ২৪ জুন কাউখালীর কজইছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে একজন সেনা সদস্য আহত হয়, ১৬ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়। সর্বশেষ রোববার গুইমারায় পিসিপি-এর অতর্কিত হামলায় ১১ জন সেনা সদস্য আহত হন। একই দিনে ধর্ষণ ঘটনাকে পুঁজি করে সহিংস আন্দোলন শুরু হয়, যাতে ৩ জন নিহত, ৩ জন পুলিশ আহত এবং প্রায় ৩০ জন আহত হয়।

খাগড়াছড়ির স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক পাহাড়ি ও বাঙালি মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে তাদের হাত। পার্বত্য চট্টগ্রামে ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য ইউপিডিএফ দায়ী। এ অঞ্চলে স্বায়ত্তশাসনের নামে ইউপিডিএফ বাঙালি ও সেনাবাহিনীর প্রবল বিরোধিতা করে আসছে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং অখ-তা রক্ষার স্বার্থে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।