Image description
যাচাই করছে রাজউক

প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও ত্রুটির কারণ দেখিয়ে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর প্লট বাতিল করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। দীর্ঘ প্রায় এক দশক পর তিনি ফিরে পাচ্ছেন বনানী আবাসিক এলাকার ১৮ নম্বর সড়কের সেই ৫ কাঠার জায়গা।

এরই মধ্যে প্লটটি ফিরে পেতে রাজউকে আবেদন করেছে নিজামীর পরিবার। সেই আবেদন যাচাইবাছাই করছে সংস্থাটি।

রাজউক সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৩ অক্টোবর মতিউর রহমান নিজামীর পরিবার প্লটের বরাদ্দ ফিরে পেতে রাজউকে আবেদন করে। আবেদনে বলা হয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর লে-আউট প্ল্যানের আওতাধীন বনানী আবাসিক এলাকার ১৮ নম্বর সড়কের ৬০ নম্বর প্লটের ৫ কাঠা ১৫ ছটাক ১৩ বর্গফুট ভূমির প্লটের মূল বরাদ্দ প্রাপক মরহুম মতিউর রহমান নিজামীর ওয়ারিশ। ২০১৬ সালে বাতিল হওয়া প্লটটি ফিরিয়ে দিতে মতিউর রহমান নিজামীর স্ত্রী সামছুন্নাহার, ছেলে নঈমুর রহমান, নাজিবুর রহমান, নাদিমুর রহমান, মেয়ে মহসিনা ফাতেমা ও খাদিজা আক্তার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, ২০০৬ সালে ৫ কাঠা আয়তনের প্লটটি মতিউর রহমান নিজামীকে সাময়িক বরাদ্দ দেয় রাজউক। এরপর একই বছরের ১১ অক্টোবর বরাদ্দ করা টাকা এককালীন পরিশোধ করেন। ওই বছরের ২২ অক্টোবর গুলশান সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করা হয়। ওই দিনে প্লটটি মিশন ডেভেলপারকে দিয়ে অংশীদারির ভিত্তিতে সেখানে ‘মিশন নাহার’ নামের ছয় তলা ভবন নির্মাণে চুক্তি করেন। ওই বছর নকশা অনুমোদন, প্ল্যান পাস করে ভবন নির্মাণ শুরু করেন। ২০০৯ সালে কাজ শেষ করে ভবন বুঝিয়ে দেয় ডেভেলপার। চুক্তি অনুযায়ী ভবনের ছয়টি ফ্ল্যাট পান নিজামী, বাকি ছয়টি নেয় ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান। ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের পাওয়া ফ্ল্যাটগুলো বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে দেয়। পাশাপাশি নিজামীর ফ্ল্যাটগুলোও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ভাগবাঁটোয়ারা হয়ে যায়। এরপর ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট প্লটটি বরাদ্দে বিভিন্ন অনিয়ম ও ক্রুটি পাওয়ায় তা বাতিল করে রাজউক। তবে ফ্ল্যাটগুলো ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দেওয়ায় প্রতিটি ফ্ল্যাটের আলাদা দলিল হয়েছে। প্রতিটি প্লটের আলাদা মালিক রয়েছেন। তবে প্লট বাতিল হলেও দলিল বাতিল হয়নি। যেহেতু দলিলগুলো আদালত কর্তৃক বাতিল হয়নি সেজন্য বরাদ্দ বাতিল বিষয়ক চিঠি প্রত্যাহার চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। রাজউকের সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রাজউকের প্লট ফিরে পেতে মতিউর রহমান নিজামীর পরিবার আবেদন করেছে। আমরা প্লটের আইনগত দিক যাচাইবাছাই করছি। এরপর বোর্ডসভার সিদ্ধান্তের আলোকে জানানো হবে। যদিও প্লটটি এখনো তাদের দখলে রয়েছে।  প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১১ মে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেন আদালত।