
ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় একটি অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও ডজনের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বার্তাসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইতালীর কোস্টগার্ড ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলো জানিয়েছে, প্রায় একশর কাছাকাছি অভিবাসী নৌকাটিতে ছিলেন। বুধবার এটি ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ডুবে যায়। এতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৯২ থেকে ৯৭ জন অভিবাসী লিবিয়া থেকে যাত্রা করেছিলেন দুটি নৌকায়। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের ভাষ্যমতে, যাত্রাপথে একটি নৌকায় পানি ঢুকতে শুরু করলে সব যাত্রীকে অপর একটি ফাইবারগ্লাসের নৌকায় স্থানান্তর করা হয়। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে সেই নৌকাটি ডুবে যায়।
ইতালির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে, তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনও নিখোঁজদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান চলছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের ইতালিস্থ মুখপাত্র ফিলিপ্পো উঙ্গারো জানান, উদ্ধারকৃত ৬০ জনকে লাম্পেদুসার একটি অভিবাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
লাম্পেদুসার মেয়র ফিলিপ্পো মাননিনো জানান, ভোরের দিকে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মধ্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ৬৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, গত এক দশকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রায় ২৪ হাজার ৫০০ অভিবাসী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তিউনিসিয়া ও লিবিয়া উপকূল থেকে যাত্রা করা ছোট ছোট নৌকায়।
এই ঘটনার পর ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এক বিবৃতিতে বলেন, আজকের এই মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, শুধুমাত্র উদ্ধার অভিযান যথেষ্ট নয়। মূল সমস্যা মোকাবিলার জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
তিনি জানান, তার সরকার মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে এবং অভিবাসন প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।