Image description

দেশের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত বরগুনা জেলায় দুটি আসন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বরগুনার দুটি আসনেই এখন সরগরম রাজনৈতিক অঙ্গন। ভোটারদের মন জেতার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। তাঁরা বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে পথসভা করছেন, আবার অনেকে ভোটারদের মন জয় করতে তাঁদের কাছে ছুটে যাচ্ছেন।

জেলাজুড়ে ঘোষিত প্রার্থী ও সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সমর্থকরা তাঁদের ব্যানার-ফেস্টুন বিভিন্ন স্থানে সাঁটিয়ে দিচ্ছেন।

দুই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপজানা গেছে, ছয়টি উপজেলা ও চারটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বরগুনায় সংসদীয় আসন দুটি। দুটি আসনেই বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন একাধিক। এরই মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিসের দুটি আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

 
মাঠে নেই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। এই সুযোগে দুটি আসনে দাপটের সঙ্গে প্রচার চালাচ্ছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিসসহ সমমনা অন্যান্য দল।

বরগুনার বিভিন্ন উপজেলার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে তাঁরা সৎ, যোগ্য ও এলাকার উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ প্রার্থীকে বেছে নিতে চান। ভোটাররা জানান, বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এমন প্রার্থীই তাঁদের পছন্দ, যিনি চিন্তা ও মননে অপরিসীম দেশপ্রেমে উজ্জীবিত, ধর্মীয় মূল্যবোধে অনুগত এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান রাখবেন।

বরগুনা-১ : সদর, আমতলী ও তালতলী উপজেলা নিয়ে গঠিত বরগুনা-১ আসন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মাঠে কাজ শুরু করেছেন। তাঁরা হলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লা, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফজলুল হক মাস্টার, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান কে এম শফিকুজ্জামান মাহফুজ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজবুল কবির, জেলা বিএনপির সহসভাপতি এ জেড এম সালেহ ফারুক, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বরগুনার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন হাসান শাহীন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গাজী তৌহিদুল ইসলাম।

প্রায় ছয় মাস আগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের জেলা আমির ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মহিবুল্লাহ হারুনকে এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী বরগুনা জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মাহমুদুল হোসাইন ওয়ালীউল্লাহ।

 
অন্যদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসাইনকে। জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণ অধিকার পরিষদের তেমন জোরালো কার্যক্রম নেই।

বরগুনা-২ : জেলার পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী উপজেলা নিয়ে গঠিত বরগুনা-২ আসন। এই আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক নেতা মো. মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের ছেলে খন্দকার সোয়াইব মাহবুব।

প্রায় ছয় মাস আগে এ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তাদের প্রার্থী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ডা. সুলতান আহমেদ। এই আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মিজানুর রহমান কাসেমী। আর খেলাফত মজলিস এই আসনে অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলামকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণ অধিকার পরিষদসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না।