Image description
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) রাজনীতির জটিলতায় স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের একান্ত বৈঠক ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক সংগঠনের সম্পৃক্ততা নিয়ে অসন্তোশ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার (৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কক্ষে শাখা ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, বাম সংগঠন এবং কয়েকজন সমন্বয়ককে নিয়ে মতামত সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সদ্য পদত্যাগ করা প্রধান নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সক্রিয় ছাত্রসংগঠন থাকলেও প্রশাসন আলোচনায় শিক্ষার্থীদের কাউকেই ডাকেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সভায় উপস্থিতদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে বলে জানা গেছে। তখন এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে নির্বাচন কমিশনার হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে সভা ত্যাগ করেন। 

নির্বাচন কমিশন বলেন, ‘আগামী ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট করে নতুন কমিশন গঠন করুন, নতুবা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।’ পরে উপাচার্যও সভা ত্যাগ করেন। ফলে কার্যত রাজনীতির বলি হয় ব্রাকসু।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ক্রিয়াশীল সংগঠনের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রশাসনের দ্বিচারিতা।

এছাড়া সভায় কোনো সাংবাদিক বা সাংবাদিক সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি—এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্যাম্পাসের সাংবাদিক নেতারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. ইলিয়াছ প্রামানিক বলেন, ‘এখন একজন অছাত্র না ডাকলেও যদি আসে, আমরা তাকে বের করে দিতে পারি না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলো অবশ্যই এসব সভায় মতামত দেওয়ার দাবিদার। পরবর্তীতে আর এমন হবে না।’

গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন, ‘এখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে, কোনো দলকে নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন আসে না, তা ছাত্র উপদেষ্টা ভালো জানেন।’

সভার বিষয়টি জানা না থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কিভাবে উপস্থিত হবে— এমন প্রশ্নে উপাচার্য বলেন, ‘এইটা তো ছাত্র উপদেষ্টা জানে, তাকেই জিজ্ঞেস করো।’