টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিখোঁজের প্রায় ৭ ঘণ্টা পর একটি বন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া শিশু শামীম (১০) মারা গেছে। উদ্ধারের তিন দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
আজ শুক্রবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সখীপুর থানা-পুলিশ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শামীম উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে ও স্থানীয় কীর্তনখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শামীম বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। দীর্ঘ সময় ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা বাড়ির আশপাশের বনাঞ্চলে অনুসন্ধান চালান। পরে রাত সাড়ে সাতটার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের একটি বন থেকে শামীমকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রাত ৯টার দিকে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়।
নিহত শামীমের মামা সাব্বির হোসেন বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলাম শিয়ালের আক্রমণে এমন হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, এটি শেয়াল-কুকুরের আক্রমণের চিহ্ন নয়। শিশুটির মাথা ও শরীরের আঘাত করা হয়েছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, নিহত শামীমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মার্ডার মামলা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আসামি ধরার জোড় তৎপরতা চলছে।