Image description

রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাওয়ার পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত চেয়েছে প্রসিকিউশন। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রসিকিউটর তামীম সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনীর আগে আইনটির নাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন হলেও সেখানে আন্তর্জাতিক আইনের কোনো প্রযোজ্যতা ছিল না। জুলাই অভ্যুত্থানের পর আইনটি সংশোধন করে রোম সংবিধিতে আন্তর্জাতিক আইনের যে সংজ্ঞা, সেই সংজ্ঞা এবং অ্যাপ্লিকেবিলিটি (প্রযোজ্যতা), সেটি এখানে প্রযোজ্য করা হয়েছে। এ ছাড়া দণ্ডের পাশাপাশি অর্থাৎ কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আরেকটি দণ্ডকে আইনে সংযোজন করা হয়েছে। সেটি হচ্ছে, আসামিদের সম্পদ

বাজেয়াপ্ত করে ভিকটিম (ভুক্তভোগী) অর্থাৎ ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের বরাবর হস্তান্তর করা।

ট্রাইব্যুনাল যে রায় ঘোষণা করবেন তা মেনে নেওয়ার জন্য প্রসিকিউশন প্রস্তুত আছে উল্লেখ করে গাজী তামীম বলেন, এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে যে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে প্রসিকিউশন। যে কারণে প্রসিকিউশন আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেছে ট্রাইব্যুনালের কাছে। শুধু তাই নয়, আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে এ মামলায় বা এ ঘটনায় যারা ভিকটিম (ভুক্তভোগী) আছেন, তাদের বরাবর হস্তান্তরের প্রার্থনা আমরা জানিয়েছিলাম।

 ট্রাইব্যুনাল ন্যায়বিচারের স্বার্থে যে আদেশ দেবেন, সেটা প্রসিকিউশন মেনে নেবে।