
৪ ঘণ্টা প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মো. রুহুল আমীন। জানাজায় অংশ নেওয়ার সময় তার হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। দাফন শেষে আবারও রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের বড়বাড়ীস্থ শীল দিঘীর পাড় জামে মসজিদ চত্বরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবার লাশ দাফন করা হয়।
সূত্র জানায়, বাবার মৃত্যুতে শেষবারের মতো দেখার অনুরোধ জানিয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাকে ৪ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। জেলা কারাগার থেকে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে কঠোর নিরাপত্তায় তাকে জানাজাস্থলে আনা হয় এবং পুরো সময়জুড়ে চারজন পুলিশ সদস্য তাকে ঘিরে রাখেন।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, ৪ ঘণ্টার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্যারোলে মুক্তিপ্রাপ্ত আসামি বাবার জানাজায় অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, প্রায় ১০ মাসের বেশি সময় ধরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ২টি মামলায় জেলহাজতে কারাবন্দি রয়েছেন যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী রুহুল আমীন। রুহুল আমীনের বাবা কর্মধা গ্রামের বাসিন্দা হাজী ইব্রাহীম আলী ১০ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার জানাজার নামাজে অংশ নেন সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট নওয়াব আলী আব্বাস খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মো. জাকির হোসেন, জামায়াত নেতা রাজানুর রহিম ইফতেখার, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।