Image description

পাইকগাছা পৌরসভার ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন (৪৪) দলীয় প্রতিপক্ষের হাতে মারপিটের শিকার হয়ে ক্ষোভে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মহানগরীর গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্র মতে, গত ১৮ই সেপ্টেম্বর পাইকগাছা পৌরসভা বিএনপি’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে উপজেলা বিএনপি সভাপতি ডা. আবদুল মজিদ গ্রুপের অনুসারী হিসেবে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন মিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন সেলিম রেজা লাকী। অন্যদিকে, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কৃত এনামুল হকের অনুসারী সভাপতি প্রার্থী ছিলেন আসলাম পারভেজ এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ। মোশারফ উপজেলা শাখার সভাপতি মজিদ গ্রুপের কর্মী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী লাকির সমর্থনে প্রচারণায় অংশ নেন।

গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে সেলিম রেজা লাকি বলেন, মোশারফ ছিলেন পাইকগাছা বিএনপি’র দুঃসময়ের একজন পরীক্ষিত কর্মী। আওয়ামী আমলে অনেক অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেও বিএনপি’র সঙ্গে ছিলেন। ৫ই আগস্টের আগপর্যন্ত তিনি ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপি’র আহ্বায়ক। আমরা ডাক্তার সাহেবের অনুসারী হিসেবে সম্মেলনে প্রার্থী ছিলাম। কিন্তু সম্মেলনের দিন বিকাল ৩টার দিকে পৌর বিএনপি’র নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদের ভাই রাজীব নেওয়াজ গালিগালাজ ও মারপিট করেন মোশারফকে। 

মোশারফের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এডভোকেট সাইফুদ্দিন সুমন বলেন, মোশারফ প্রচণ্ড আবেগী ছিলেন। তাকে শারীরিকভাবে মারপিট করায় অপমানিত হন। রাতেও অনেক সময় কথা হয়। কিন্তু তিনি ছিলেন নীরব। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তার মেয়ে ফোন করে জানায়, তার আব্বু বিষপান করেছে। তাকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আইসিইউ না পাওয়ায় গাজী মেডিকেলে আনা হয়েছিল। অভিযোগ প্রসঙ্গে  কামাল আহমেদ সেলিমের কাছে জানতে চাওয়া হয় মোশারফকে আপনার ভাই মারপিট করেছিলেন কিনা।  তিনি কোনো কথা না বলে উত্তেজিত হয়ে ফোনকল কেটে দেন। এদিকে রোববার নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।