Image description

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের নিজামপুর সরকারি কলেজ এলাকায় ছাত্রদলের দু’গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যায় কলেজ গেইট এলাকায় এ সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হন।

আহতরা হলেন—মোহাম্মদ রাশেদ, আরিফুল ইসলাম, মনির হোসেন, রুমেল এবং ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্মআহবায়ক আরিফ হোসেন। এর মধ্যে আরিফ হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার সকালে নিজামপুর কলেজের ২৪ ও ২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। দুপুরে দমদমা এলাকায় এক ছাত্রকে ধরে আনার জেরে বিকেলে ছাত্রদলের দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে সন্ধ্যায় সংঘর্ষ শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

এ সময় রকেট ল্যাঞ্চার দিয়ে হামলার অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক সালাউদ্দিন সেলিম অনুসারী, সাবেক কলেজ ছাত্রদল সভাপতি ফয়সাল চৌধুরী গ্রুপ এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন অনুসারী ছাত্রদল নেতা নাঈম সরকারের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে।

ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্মআহবায়ক ইলিয়াস হোসেন মাসুদ অভিযোগ করেন,“সকাল থেকে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার পর আমাদের গ্রুপের এক ছাত্রকে তুলে নেওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যার আগে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারী নাঈম সরকার অস্ত্রধারী লোকজন এনে হামলা চালায়। এ সময় রকেট ল্যাঞ্চারের আঘাতে যুবদল নেতা আরিফ হোসেন গুরুতর আহত হন।”

অন্যদিকে ছাত্রদল নেতা নাঈম সরকার বলেন, ২৪-২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির ঘটনায় ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন বিএনপির অনুসারীরা উসকানি দেয় এবং সাধারণ ছাত্রদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে আমাদের ওপর রকেট ল্যাঞ্চার ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়।

মিরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, নিজামপুর কলেজ ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।