Image description

দৈনিক ইনকিলাবের সংবাদে ছাত্রশিবিরকে “গুপ্ত ছাত্রলীগ” আখ্যা দেওয়ায় পত্রিকার সম্পাদক এ. এম. এম. বাহাউদ্দীনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। বুধবার এ নোটিশ পাঠানো হয়।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, ২৭ আগস্ট প্রকাশিত খবরে ছাত্রশিবিরকে “শিক্ষার্থীদের ভাষায় গুপ্ত ছাত্রলীগ” বলা হলেও একজন শিক্ষার্থীর নামও উল্লেখ করা হয়নি। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হীন এজেন্ডার অংশ। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবির সভাপতি ও ডাকসু জিএস প্রার্থী এস. এম. ফরহাদকে ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদ এবং শিবির সভাপতি ফরহাদ দুইজন ভিন্ন ব্যক্তি।

নোটিশে আরও বলা হয়, ফ্যাসিস্ট আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে ছাত্রশিবির। এক দশকেরও বেশি সময় অঘোষিত নিষিদ্ধ থেকে শত শত শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে শুধুমাত্র “শিবির সন্দেহে”। এর মধ্যে শহীদ আবরার ফাহাদ অন্যতম। অথচ অন্যান্য সংগঠন যেমন ছাত্রদল, বাম সংগঠনগুলো স্বাভাবিকভাবে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করেছে।

আরও বলা হয়, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে পুনর্বাসন দিতে শিবিরকে নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে। অথচ ৯ আগস্ট ইনকিলাবেই একটি খবরে ছাত্রদলের প্যানেলে অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগ নেতার থাকার তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল। এর পরও শিবিরকে “গুপ্ত ছাত্রলীগ” আখ্যা দেওয়া সাংবাদিকতার আড়ালে হীন উদ্দেশ্যের বহিঃপ্রকাশ।

সবশেষে নোটিশে বলা হয়, ছাত্রশিবির একটি আদর্শিক ছাত্র সংগঠন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও অধিকার আদায়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে কাজ করে যাচ্ছে। গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, ভর্তি সহায়তা, চিকিৎসা সহযোগিতা, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণসহ নানা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবেও ছাত্রশিবির বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে।