রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. আলী রীয়াজ এবার রাজনীতি সামলাবেন। খোঁজখবর রাখাসহ নজর রাখবেন রাজনীতির গতিপথের উপর। বিশেষ করে নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতি কোন দিকে মোড় নেয়- সেদিকেই বিশেষ নজর থাকবে তার। আপাতত এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে প্রফেসর আলী রীয়াজকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর ড. রীয়াজকে এ দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর আগে ড. আলী রীয়াজ ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। কিছু সমালোচনা সত্ত্বেও দক্ষতার সঙ্গেই দায়িত্ব পালন করেছেন। উপদেষ্টা হতে হলে শপথ নিতে হয়। কিন্তু আলী রীয়াজের রয়েছে মার্কিন নাগরিকত্ব। দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে শপথ নেয়ার সুযোগ নেই। তাই তাকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্ট জমা দেয়ার পর ড. আলী রীয়াজ যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে প্রায় এক বছর অনুপস্থিত। ছুটি নিয়ে ঝামেলাও ছিল। এরমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে নতুন দায়িত্বের কথা জানানো হয়। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিস্টার সময়কাল অনুপস্থিত থাকবেন- এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর তার ছুটি মঞ্জুর হয়।
ওদিকে উপদেষ্টা পরিষদে একটা ছোটখাটো পরিবর্তন হতে পারে। দু’জন উপদেষ্টা পদত্যাগ করতে পারেন। মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নির্বাচন করবেন- এমনটাই শোনা যাচ্ছে। যদিও তারা এখন পর্যন্ত সরকারকে এ ব্যাপারে স্পষ্টভাবে কিছু বলেননি। এই দুজন ছাড়াও পরিবর্তনের সম্ভাবনার কথা সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে।