আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৬টি দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ইসি থেকে এ তথ্য জানানো হয়। আরও ১৬টি সংস্থার বিষয়ে দাবি-আপত্তি যাচাই করতে ১৫ কার্যদিবসের সময় দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন ৭৩টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে। সে সময় জানানো হয়, ওই সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে যেকোনো অভিযোগ বা আপত্তি ২০ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে ইসিতে জমা দিতে হবে এবং অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত ৯৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫–এর ধারা ১৬ অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়েছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী সংস্থাগুলোকে পুনরায় আবেদন করে নিবন্ধন নিতে বলা হয়। আগ্রহী যোগ্য বেসরকারি সংস্থাগুলোকে গত ১০ আগস্টের মধ্যে আবেদনপত্র (EO–1 ফরম) ইসিতে জমা দিতে হয়।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫, নিবন্ধন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ও আবেদন ফরম ইসি সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা (কক্ষ নং–১০৫) এবং ইসির ওয়েবসাইট www.ecs.gov.bd
থেকে পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নীতিমালা বাতিল করে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। এর ফলে পূর্বের ৯৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনও বাতিল হয়।
ইসি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রথম পর্যবেক্ষক নিবন্ধন প্রথা চালু হয় ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পায় এবং ১ লাখ ৫৯ হাজারেরও বেশি দেশি পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন।
পরবর্তীতে ২০১৪ সালের দশম নির্বাচনে ৩৫টি সংস্থার ৮ হাজার ৮৭৪ জন, ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে ৮১টি সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৮০টি সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।
বর্তমানে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী নিবন্ধিত ৬৬ সংস্থা আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৯৬টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮০টির মতো সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট দেখেছেন।