Image description
প্রস্তুতি ছাড়া এলডিসি উত্তরণ

প্রস্তুতি ছাড়া স্বল্পোন্নত দেশ থেকে (এলডিসি) উত্তরণের পর ভয়াবহ প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে দেশের তৈরি পোশাক খাত- বিশ্লেষকরা এমন আশঙ্কা করেছেন। কারণ, ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠলে বর্তমানে প্রাপ্ত শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি যথাযথভাবে না নিলে পোশাক রপ্তানি খাত বড় ধাক্কায় পড়বে। তাই সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগে অবকাঠামো উন্নয়ন, খরচ কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে শুল্কমুক্ত সুবিধা দীর্ঘায়িত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উত্তরণের পর আরও তিন বছর অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে। এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশি পোশাকে ১২ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ, কানাডায় ১৬ দশমিক ২ শতাংশ, জাপানে ৯ শতাংশ, ভারতে ২০ শতাংশ এবং চীনে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসবে।

ইতোমধ্যেই ভিয়েতনামসহ প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো ইইউ ও কানাডার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করে নিয়েছে। ফলে ২০২৯ সালের পর ভিয়েতনামের পোশাক ইউরোপে শুল্কমুক্ত থাকবে, কিন্তু বাংলাদেশের পোশাক ১২ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়বে। রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, সময় খুবই সীমিত। আগামী ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যেই ইইউর সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। ইইউর জিএসপি প্লাসে গেলেও চুক্তিভিত্তিক বিধান থাকায় পোশাক খাত শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে না। তাই এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, আমরা অন্তত ২০৩২ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা চাই। এই সময়টা প্রস্তুতির জন্য খুবই জরুরি।