
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার বাড়ির সামনে শুক্রবার সকাল থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জুমার পর মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও এপিবিএন।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দরবারে উত্তেজিত জনতার হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, হতাহত ও নুরা পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ৭ দিন পরও পরিস্হিতি স্বাভাবিক হয়নি। নতুন করে দরবারে হামলার আশঙ্কা না থাকলেও প্রশাসন স্বস্তি পাচ্ছে না।
এখন পর্যন্ত দুই মামলায় ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই আলেম রয়েছেন। এরা হলেন- গোয়ালন্দ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাইতুল মোসাদ্দেস জামে মসজিদের ইমাম মুফতি আব্দুল লতিফ ও গোয়ালন্দ বাজার বড় মসজিদের ইমাম হাফেজ আবু সাইদ। দুই আলেমের বিরুদ্ধে সৃষ্ট সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোয়ালন্দের জনমনে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্রেফতার এড়াতে উপজেলার অধিকাংশ মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষকেরা গা-ঢাকা দিয়েছেন। মসজিদগুলোতে শুক্রবার জোড়াতালি দিয়ে জুমার নামাজ আদায় করা হয়েছে। এতে জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শুক্রবার নুরাল পাগলের ভক্তদের পক্ষ হতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করা হয়। তবে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় তারা সেটা করতে পারেনি।
জুমার পর শহরে নতুন করে বিক্ষোভ কর্মসূচির আশঙ্কায় প্রশাসনের পক্ষ হতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। নুরাল পাগলার বাড়ির সামনে বিপুল পরিমাণ সেনা সদস্য, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়া গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এপিবিএনের একটি দল ছাড়া বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে পুলিশ। সব মিলিয়ে শুক্রবার নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় নুরাল পাগলার বাড়ি ও আশপাশের এলাকা।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব জানান, ৫ সেপ্টেম্বর নুরাল পাগলার দরবারে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় সেজন্য যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়।