Image description
 

রাত পোহালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী মঙ্গলবার ডাকসু নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এটি ৩৮তম ডাকসু নির্বাচন হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষী বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব অর্জন করার পর প্রথম নির্বাচন। এর আগে ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনটি হয়েছলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছর পূর্ণ হওয়ার দুই বছর আগে।

 

ডাকসুতে কোন হলের ভোট কত

 

নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী- বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ভোটার সংখ্যা ৬৬৫ জন, কবি জসীম উদ্দীন হলে ১ হাজার ২৯৮, অমর একুশে হলে ১ হাজার ৩০০, স্যার এ এফ রহমান হলে ১ হাজার ৩৮০, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ১ হাজার ৪০৭, সূর্যসেন হলে ১ হাজার ৪৯৫, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ১ হাজার ৬০৯, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ১ হাজার ৭৫৩, ফজলুল হক মুসলিম হলে ১ হাজার ৭৭২, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ১ হাজার ৯৬৩, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ২ হাজার ৫, বিজয় একাত্তর হলে ২ হাজার ৪৩ এবং জগন্নাথ হলে ২ হাজার ২২৫টি ভোট।

ছাত্রীদের হলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট রোকেয়া হলে। হলটিতে মোট ভোটার ৫ হাজার ৬৬৫টি। এছাড়া বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ২ হাজার ১১০, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ২ হাজার ৬৪৫, শামসুন নাহার হলে ৪ হাজার ৯৬, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৪ হাজার ৪৪৩ জন ভোটার রয়েছেন।

ভোটারদের কার কোন কেন্দ্রে ভোট

ডাকসুর ইতিহাসে এবারই প্রথম আবাসিক হল থেকে ভোটকেন্দ্র সরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে নেওয়া হয়েছে। এবার আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। সেখানে কোন কেন্দ্রে কোন কোন হলের সংযুক্ত (অ্যাটাচমেন্ট) শিক্ষার্থীদের ভোট রয়েছে, তা এরই মধ্যে প্রকাশ করেছে ডাকসুর নির্বাচন কমিশন।

১. কার্জন হল কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৫ হাজার ৭৭ জন।

২. বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে ভোট দেবেন জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ভোটাররা। এ কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ৪ হাজার ৮৫৩ জন।

৩. ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ভোট দেবেন রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা। টিএসসি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ হাজার ৬৬৫ জন।

৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে যেতে হবে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ভোটারদের। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৪ হাজার ৭৫৫ জন।

৫. সিনেট ভবন কেন্দ্রে ভোট দিতে হবে স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীদের। সিনেট ভবন কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ৪ হাজার ৮৩০ জন।

৬. উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীম উদদীন হলের ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার ৬ হাজার ১৫৫ জন।

৭. ভূ-তত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্রে কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন। এ কেন্দ্রে মোট ৪ হাজার ৪৪৩ জন শিক্ষার্থী ভোট দেবেন।

৮. ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেবেন শামসুন নাহার হলের ছাত্রীরা। ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৪ হাজার ৯৬ জন।

এবারের ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে যে সব প্যানেল

ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়েছে মোট ৯টি প্যানেল। গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’, ছাত্রদলের প্যানেল, ছাত্রশিবিরের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’, উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র ঐক্যজোট’, বামপন্থি শিক্ষার্থীদের ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’, ছাত্র অধিকার পরিষদের ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকারের স্বতন্ত্র প্যানেল ‘ডিইউ ফার্স্ট’ এবং তিনটি বাম জোটের ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেলসহ অন্যান্য স্বতন্ত্র প্যানেল ও প্রার্থীরা।

আলোচিত প্যানেল

আবিদ-হামিমের নেতৃত্বে ছাত্রদলের প্যানেল

এই প্যানেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবিদুল ইসলাম খানকে সহ-সভাপতি (ভিপি), কবি জসীমউদ্‌দীন হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ তানভীর বারী হামিমকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদকে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী করা হয়েছে।

এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে এহসানুল ইসলাম, কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মেহেদী হাসান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান, ক্রীড়া সম্পাদক পদে চিম চিম্যা চাকমা, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে সাইফ উল্লাহ সাইফ, সমাজসেবা সম্পাদক পদে সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে আরকানুল ইসলাম রূপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসাইন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে মেহেদী হাসান মুন্নাকে মনোনয়ন দিয়েছে ছাত্রদল।

এ ছাড়া প্যানেলে সদস্য পদে জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, হাসিবুর রহমান সাকিব, শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, শামসুল হক আনান, নিত্যানন্দ পালকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

ডাকসুতে ২৮টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বীর সম্মানে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদটি শূন্য রেখে তাকে সমর্থন দিয়েছে ছাত্রদল।

ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ পূর্ণাঙ্গ প্যানেল

সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দিন খান।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইকবাল হায়দার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক খান জসিম, ছাত্র পরিবহণ সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসাইন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতেমা তাসনিম জুমা, কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে সালমা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম সাব্বির, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে এম এম আল মিনহাজ, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক সাখাওয়াত জাকারিয়া, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন।

এ ছাড়া ১৩টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন ও আনাস বিন মনির মনোনয়ন পেয়েছেন।

কাদের-বাকেরের নেতৃত্বে ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল

এই প্যানেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক দুই সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে এবং জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে আবু বাকের মজুমদারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কাদের বাগছাসের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ও বাকের বাগছাসের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক। এছাড়া এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে আশরেফা খাতুনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি বাগছাসের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে নাহিয়ান ফারুক, সমাজসেবা সম্পাদক পদে মহির আলম, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে মো. হাসিবুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ সাকিব, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আল আমিন সরকার, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে আনিকা তাহসিনা, কমনরুম ও ক্যাফেটরিয়া সম্পাদক পদে মিতু আক্তার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে আহাদ বিন ইসলাম শোয়েব, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে সাব্বির আহমেদ, ক্যারিয়ার ও উন্নয়ন সম্পাদক পদে রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত, ছাত্র পরিবহণ সম্পাদক পদে মো. ঈসমাইল হোসেন রুদ্রকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৫ জুলাই আহত সানজিদা আহমেদ তন্বীর প্রতি সমর্থন দিয়ে পদটি ছেড়ে দেয় বাগছাস।

অন্যদিকে ১৩টি সদস্য পদে মনোনীতরা হলেন—মো. মাসউদুজ্জামান, ফেরদৌস আইয়াম, ইসমাঈল, তাপসী রাবেয়া, মো. আরমানুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, রিফতি আল জাবেদ, আশরাফ অনিক, রওনক জাহান, মাহফুজা নওয়ার নওরীন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আরিফুর রহমান, ফেরদৌস আলম।

উমামা-সাদীর নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যে’র পূর্ণাঙ্গ প্যানেল

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সম্মুখ সারির নেত্রী উমামা ফাতেমা ডাকসুতে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে লড়বেন। যেখানে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হিসেবে মনোনীত প্রার্থী হলেন আল সাদী ভুঁইয়া।

প্যানেলের অন্যান্য পদে রয়েছেন সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) জাহেদ আহমদ, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক, নূমান আহমাদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: মমিনুল ইসলাম (বিধান), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক : নাফিজ বাশার আলিফ, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক : সুমী চাকমা, সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক: অনিদ হাসান, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক : সিয়াম ফেরদৌস ইমন, ক্রীড়া সম্পাদক : মো. সাদিকুজ্জামান সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক : মো. রাফিজ খান, সমাজসেবা সম্পাদক: তানভীর সামাদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক : রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক : ইসরাত জাহান নিঝুম, মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক : নুসরাত জাহান নিসু।

এছাড়া সদস্য পদে আছেন নওরীন সুলতানা তমা, আবিদ আব্দুলাহ, ববি বিশ্বাস, মো. শাকিল, মো. হাসান জুবায়ের (তুফান), আব্দুল্লাহ আল মুবিন (রিফাত), অর্ক বড়ুয়া, আবির হাসান, নেওয়াজ শরীফ আরমান, মো. মুকতারুল ইসলাম (রিদয়), হাসিবুর রহমান, রাফিউল হক রাফি, মো. সজিব হোসেন, সাদেকুর রহমান সানি।

ইমি ও বসুর নেতৃত্বে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’

শেখ তাসনিম আফরোজকে (ইমি) সহ-সভাপতি (ভিপি), ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একাংশের সভাপতি মেঘমল্লার বসুকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেলকে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী করা হয়েছে।

প্যানেলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে মোজাম্মেল হক, কমনরুম রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে নূজিয়া হাসিন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে আকাশ আলী, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে লিটন ত্রিপুরা, ছাত্র পরিবহণ সম্পাদক পদে নিনাদ খান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে নাঈম উদ্দীন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ফারিয়া মতিন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মালিহা তাবাসসুম, সমাজসেবা সম্পাদক পদে আবু মুজাহিদ আকাশ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে শেখ তাসনিভা সৃষ্টি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ফাতিন ইশরাক, গবেষণা ও প্রকাশনা পদে আলমগীর হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া মো. তাফসিরুল্লাহ, রাজেকুজ্জামান জুয়েল, ওয়াকার রহমান সৌরভ, মোহাম্মদ মুস্তাকিম, মিশকাতুল মাশিয়াত, আতিকা আনজুম, পৃথিং মারমা, ইসরাত জাহান ইমু, আনিয়া ফাহমিন, রাহনুমা আহমেদ, সাজিদ উল ইসলাম ও হেমা চাকমাকে সদস্যপদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

মোট প্রার্থী কত

ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ৪৭১ জন। চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সদস্য পদে। এবার ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে মোট ২১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পাশাপাশি ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ২৩৪টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন শিক্ষার্থী।

উল্লেখ্য: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে প্রথম ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালে। সে নির্বাচনে ভিপি হন এসএ বারী এবং জিএস হন জুলমত আলী খান। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ডাকসু নির্বাচন হয় ১৯৭২ সালে। সে সময় ভিপি নির্বাচিত হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং জিএস হন মাহবুবুর জামান। এরপর থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মোট সাতবার ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রায় তিন দশক পর ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। সে নির্বাচনে ভিপি হন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নুর।