Image description

দেশের বিভিন্ন জেলায় ওষুধের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে। কোথাও ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির কমিশনের খড়্গে এই দাম বাড়াচ্ছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। আবার কোথাও বিশেষ চক্রের কারসাজিতে বাড়ানো হচ্ছে দাম। ওষুধের বাড়তি দামের দরুন সংসারের খরচেও টান পড়ছে।

তাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হাঁপিয়ে উঠছে সাধারণ মানুষ। কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য থেকে জানা গেছে, শেরপুর জেলায় ব্যবসায়ী সমিতির কমিশনের খড়্গে সাধারণ ব্যবসায়ীরা আগের মতো বেশি কমিশনে ওষুধ বিক্রি করতে পারছেন না। তা করলে তাঁদের গুনতে হচ্ছে জরিমানা। ময়মনসিংহে এক লোশনের দাম দুই মাসেই দ্বিগুণ হয়েছে।
 
খুলনা মহানগরীতে বেশি বেড়েছে ইনসুলিনের দাম, যশোরেও জীবন রক্ষাকারী এই ওষুধের দাম হঠাৎ বাড়ানো হয়েছে। শিল্পনগরী গাজীপুরে আর্থ্রাইটিস, প্রেগন্যান্সি, নিউরো, শিশুদের নানা অসুখের প্রায় সব ওষুধের দাম এক বছরে ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে। একইভাবে নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, বরিশাল, রংপুর, মেহেরপুর, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে ওষুধের দামে পিষ্ট হচ্ছে ক্রেতারা।

গাজীপুরে রোগীরা দিশাহারা : গাজীপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক শরীফ আহমেদ শামীম জানান, গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন স্থানে ওষুধের দোকান থেকে ক্রেতারা নিয়মিতই বেশি দামে ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছে।

মহানগরীর হাঁড়িনালের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নীলিমা আক্তার উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এক বছর আগেও মাসে এসব রোগের ওষুধ কিনতে তাঁর খরচ হতো পাঁচ হাজার টাকা, আর এখন লাগছে সাড়ে ছয় হাজার টাকা। এই শিক্ষিকা বলেন, ডায়াবেটিস  গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ মিলিগ্রামের লিনাগ্লিপটিন গ্রুপের প্রতি পাতা ট্যাবলেটের দাম আগে ছিল ১৮০ টাকা, এখন এর দাম ২২০ টাকা। একই ভাবে দেশি ইনসুলিনের দাম যেখানে ২২২ টাকা, সেই একই ইনসুলিন (বিদেশি) কিনতে হচ্ছে ৫১০ টাকায়। মহানগরীর জেইল ফার্মেসির মালিক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ডায়াবেটিস, হার্ট, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির রোগের ওষুধ বেশি বিক্রি হচ্ছে।
 
এর বাইরে আর্থ্রাইটিস, প্রেগন্যান্সি, নিউরো ও শিশুদের নানা অসুখের প্রায় সব ধরনের ওষুধের দাম এক বছরের ব্যবধানে ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে।

নারায়ণগঞ্জে ওষুধের বাড়তি দামে রোগীর কষ্ট : নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলাম রাজু জানান, ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিডনি ও ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে ওষুধ কিনছে। ফার্মেসিতে ওষুধের উচ্চমূল্যের কারণে সংসারের খরচেও টান পড়ছে। মহানগরের বিভিন্ন ফার্মেসি সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাসে কিছু ওষুধের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে ললিক্স প্লাস ১১০ থেকে বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা, বিলাস্টিন ১৪০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬০ টাকা, মিনিকন ৩০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৫ টাকা, নভোমিক্স ৭১৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮১৫ টাকা, গ্যাভিফ্লাক্ম ২৫০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০০ টাকা। চিটাগাং রোড ওষুধ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মনা বলেন, কাঁচামালের দাম, পরিবহন খরচ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণেই এভাবে বিভিন্ন ওষুধের দাম বেড়েছে।

কেরানীগঞ্জেও ওষুধের দামে আগুন : কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি আলতাফ হোসেন মিন্টু জানান, কেরানীগঞ্জের সব ফার্মেসিতে জরুরি সব ওষুধের দাম বেড়েছে। জিনজিরা নামাবাড়ির মো. রুবেলের মাসিক বেতন ২০ হাজার টাকা। এর মধ্যে তাঁর বাবার জন্য উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ কিনতে ব্যয় হয় বেতনের এক-তৃতীয়াংশ। আগে যেখানে লাগত পাঁচ হাজার টাকা সেখানে এখন লাগছে আট হাজার টাকা। কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন থানা রোডের মনিকা মেডিক্যাল হল ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী সুদর্শন বর্মন জানান, বর্তমানে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এসিডিটি ও ব্যথানাশক ওষুধই বেশি বিক্রি হচ্ছে। গত চার বছরে বিভিন্ন দফায় সব কম্পানিই ওষুধের দাম বাড়িয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে নাপা-১, রোসুবা-১০, সিভিট, টোবাক্স, মেটফরমিনসহ বিভিন্ন ওষুধ।

ময়মনসিংহে এক লোশনের দামও দ্বিগুণ : ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক নিয়ামুল কবীর সজল জানান, এক বছর ধরে মহানগরীর বিভিন্ন ফার্মেসিতে বেশি বিক্রি হচ্ছে চর্মরোগের ওষুধ, মলম ও লোশন। এর মধ্যে লরিক্স প্লাস নামের একটি লোশনের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে দুই মাসের ব্যবধানে।

খুলনায় বেড়েছে ইনসুলিনের দাম : খুলনা অফিস প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন জানান, খুলনা মহানগরে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সার্জিক্যাল আইটেম ও ইনসুলিনের দাম। ওষুধের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সার্জিক্যাল আইটেমের মধ্যে যে ক্যাটগাট আগে আড়াই শ থেকে তিন শ টাকায় বিক্রি করা হতো এখন তা বিক্রি করা হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে। যে হ্যান্ড গ্লাভস আগে ৭০ টাকায় বিক্রি করা হতো তা এখন ১১০ টাকা। এভাবে যে ইনসুলিন আগে ৭২০ টাকায় বিক্রি করা হতো এখন তা বিক্রি করা হচ্ছে ৮২০ টাকায়, ৪২০ টাকার ইনসুলিন বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকায়। খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সাচিবুনিয়ার ইউসুফিয়া মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট এ টি এম এমদাদুল হক বলেন, তিনি নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন। এর মধ্যে ডায়াবেটিসের দুটি ওষুধের দাম অন্তত ২০ শতাংশ বেড়েছে।

যশোরে হঠাৎ বেড়েছে ইনসুলিনের দাম : যশোর থেকে জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আকরামুজ্জামান জানান, যশোর শহরে হঠাৎ বেড়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ইনসুলিনের দাম। বিদেশি কম্পানিগুলোর ইনসুলিন পণ্যে হঠাৎ ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়েছে। তাতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা গ্রহণে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অনেকেই বাধ্য হয়ে চিকিৎসা সীমিত করছে কিংবা অপেক্ষাকৃত সস্তা ওষুধে ঝুঁকছে, যা ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

যশোর শহরের বিভিন্ন ফার্মেসি ঘুরে দেখা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিদেশি ইনসুলিনের দাম বাড়ানো হয়েছে। মিক্সস্টাড ৩০/৭০ পেনফিলের একটি বক্স আগে ছিল ৪৬০ টাকা, এখন তা ৫১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এক্টাপিড ও এক্সাপিড পেনফিলের দামও ৫০ টাকা বেড়ে ৫১০ টাকায় পৌঁছেছে। নভোমিক্স পেনফিল-সি এখন বিক্রি করা হচ্ছে ৫২০ টাকায়, যা আগে ছিল ৪৫০ টাকা। সবচেয়ে দামি ইনসুলিন নভোরেপিডের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫০ টাকায়, যা আগে ছিল ৭৮০ টাকা।

নিয়মিত ইনসুলিন গ্রহণ করা শহরের ঝুমঝুমপুর এলাকার বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আইয়ূব হোসেন বলেন, এই ওষুধগুলো মূলত এমন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হয়, যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা সাধারণ ওষুধে নিয়ন্ত্রণে আসে না। প্রতিদিন ইনসুলিন গ্রহণ করতে হয়, দীর্ঘমেয়াদি এই ব্যয়বহুল চিকিৎসার বোঝা অনেকের পক্ষে বহন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ঝুঁকছে দেশি কম্পানির অপেক্ষাকৃত সস্তা ইনসুলিনের দিকে। এসবের মধ্যে রয়েছে ম্যাকসলিন, এ্যানসুলিন, জেনসুলিন, ইনসুলিন ও ডায়াসুলিন।

তবে চিকিৎসকদের মতে, বিদেশি ওষুধ থেকে হঠাৎ দেশীয় ওষুধে পরিবর্তন করাও সব সময় নিরাপদ নয়। রোগীর বয়স, শরীরের গঠন, শর্করার মাত্রাএই সবকিছু বিবেচনায় ওষুধ নির্বাচন করা হয়। দাম কমানোর প্রয়াসে ভুল ইনসুলিন প্রয়োগে ঘটতে পারে বিপরীত প্রতিক্রিয়া।

শেরপুরে ব্যবসায়ী সমিতির কমিশনের খড়্গ : শেরপুর প্রতিনিধি হাকিম বাবুল জানান, ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির কমিশনের খড়্গেও শেরপুরে সপ্তাহখানেক আগেই ওষুধের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা ওষুধের প্যাকেটে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা থাকলেও সমিতির ধার্য করা কমিশনের বাইরে কম দামে ওষুধ বিক্রি করতে পারছেন না। আগে ইনজেকশনের ক্ষেত্রে খুচরা দোকানগুলোয় প্যাকেটের গায়ে লেখা মূল্যের ওপর তাঁরা ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ মূল্যছাড় দিতে পারতেন ভোক্তাদের। কিন্তু এখন জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পক্ষ থেকে নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে যে কোনো ওষুধ বিক্রেতা সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশের বেশি কমিশন দিতে পারবেন না। একইভাবে অন্যান্য ওষুধের ক্ষেত্রে আগে নির্ধারিত মূল্যের ওপর যেখানে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন ছাড়ে ওষুধ বিক্রি করতে পারতেন, সেখানে এখন সমিতি থেকে নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে, খুচরা পর্যায়ে ৫ শতাংশের বেশি কোনো দোকানি ছাড় দিতে পারবেন না। বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি শেরপুর জেলা শাখার নবনির্বাচিত সভাপতি মো. রমজান আলী বলেন, আসলে এখন ব্যবসায় তেমন পোষাচ্ছে না। খরচ অনেক বেড়েছে। দোকানের ভাড়া বেড়েছে, স্টাফদের বেতন, বিদ্যুৎ বিলএই সবকিছুর মূল্য বেড়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

বরিশালেও ওষুধের দামে আগুন : বরিশাল থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক রফিকুল ইসলাম জানান, বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্থানে ওষুধের দাম বেড়েছে। বাকেরগঞ্জের কলসকাঠি গ্রামের ফার্মেসিগুলোয় দাম শুনে হতাশ হয় ক্রেতারা। জ্বর, কাশি থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস আর উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীরা প্রতিদিনই ওষুধ কিনতে যায় এসব ফার্মেসিতে। পাল ফার্মেসির মালিক অপু পাল জানান, আগে যে অ্যান্টিবায়োটিকের পাতার দাম ছিল ৫০ টাকা, এখন সেটা ৯০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। ইনসুলিনের ভায়াল যা আগে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় মিলত, এখন সেটা মিলছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। রক্তচাপ ও হার্টের ওষুধও কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। কলসকাঠির আটটি ফার্মেসির মালিকরা জানান, ইনসুলিনের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ, অ্যান্টিবায়োটিকের দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা জানায়, প্রেসক্রিপশন হাতে দিলে হাসপাতাল থেকে যে ওষুধ দেওয়া হয় তা দিয়ে কাজ হয় না, বাইরে থেকে কিনতেই হয়।

রংপুরে সাত ওষুধের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ : রংপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক রফিকুল ইসলাম জানান, মহানগরে সাত ওষুধের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বালাটারী গ্রামের আব্দুল গনিকে দিনে তিন বেলা নিতে হয় ইনসুলিন। কয়েক মাস ধরে সেই ইনসুলিনের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। তাই বিপাকে পড়েছেন তিনি। তিনি বলেন, আগে দিছিল মিস্টার্ড ৩০ পেন। সেটা কিনতাম ৪৫০ টাকায়, এখন তা কিনতে হয় ৫২০ টাকায়। ওষুধ বিক্রেতারা জানান, লরিক্স লিকুইড ১১০ থেকে বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা, টেটরাসল ৬৮ থেকে বেড়ে হয়েছে ১২৫ টাকা, টোরাক্র ট্যাবলেট ১২ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা, অ্যান্টিবায়োটিক সেফ-৩ ট্যাবলেট ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৫ টাকা।

মেহেরপুরে ৮০ শতাংশ ওষুধের দাম বেড়েছে : মেহেরপুর প্রতিনিধি ইয়াদুল মোমিন জানান, জেলায় প্রতিটি ওষুধের দাম গড়ে ৮০ শতাংশ বেড়েছে। দুস্থ রোগীরা ওষুধ কিনতে না পেরে নীরবে রোগ বহন করে বেড়াচ্ছে। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের ফার্মেসি দোকানি জিয়াউর রহমান বলেন, এজিথ্রোমাইসিন ২০০ এমজি ট্যাবলেট ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা হয়েছে। একই গ্রুপের সিরাপ ১৭০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৪০ টাকা। নাপা আট টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২ টাকা, নাপা সিরাপ ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫ টাকা হয়েছে। একইভাবে ভালো কম্পানির ৮০ শতাংশ ওষুধের দাম বেড়েছে। শহরের তাঁতীপাড়ার কিডনি রোগে আক্রান্ত জাকিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩২টি ওষুধ খেতে হচ্ছে। প্রতিদিন খরচ হচ্ছে প্রায় এক হাজার টাকা। সারা জীবনের সঞ্চয় এখন ওষুধ আর ডাক্তারের পেছনেই চলে যাচ্ছে।

চিতলমারীতেও ওষুধের দাম বেড়েছে : চিতলমারী-কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধি কপিল ঘোষ জানান, বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার ফার্মেসিগুলোয় ওষুধের দাম বেড়েছে। তাতে ক্রেতারা বিপদে আছে। উপজেলার পাটরপাড়ার বাসিন্দা কায়কোবাদ হোসেন বলেন, তাঁকে প্রতিদিন সাত-আট ধরনের ওষুধ কিনতে হয়। প্রতিটি ওষুধের দাম পাঁচ-ছয় টাকা করে বেড়েছে।