Image description

নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির এই সময়ে সাধারণ মানুষের জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে ভর করেছে ওষুধের চড়া দাম। খাবারের পরই ওষুধ, মানুষের মাসিক খরচের দ্বিতীয় বড় বোঝা। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত যেমন—উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্তদের জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম লাগামছাড়া হওয়ায় তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা শোনা গেলেও তার সুফল মিলছে না।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষ, যাদের জন্য জরুরি ওষুধ কেনাটা এখন বিলাসিতা। অনেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ না কিনে রোগ পুষে রাখছে, যা তাদের স্বাস্থ্যকে আরো ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।

মূল্যবৃদ্ধির নেপথ্যে : খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) দুর্বল মনিটরিং, এবং অনৈতিক কমিশন বাণিজ্য এই সংকটকে তীব্র করেছে।

যদিও ডিজিডিএ অত্যাবশ্যকীয় ১১৭টি জেনেরিকের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে, কিন্তু বাকি ওষুধগুলোর দাম কম্পানিগুলো প্রস্তাব করে এবং ডিজিডিএ তা অনুমোদন করে। অভিযোগ রয়েছে, এই প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ নয় এবং অনেক সময় কম্পানির চাপে দাম বাড়ানো হয়। এমনকি ডিজিডিএ অনুমোদন না দিলেও বাজারে বেশ কিছু ওষুধ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ওষুধ বিক্রেতারা বলছেন, কম্পানিগুলো নিজেরাই দাম বাড়িয়ে নতুন মূল্য তালিকা পাঠিয়ে দিচ্ছে।
 
তাঁদের পক্ষে পুরনো দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে ওষুধ কম্পানিগুলোর দাবি, ডলারের দাম বৃদ্ধি, কাঁচামাল আমদানিতে খরচ বাড়া এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে তারা দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে। একসময় সরকার ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর ১১ ধারা অনুসারে ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করত। কিন্তু ১৯৯৪ সালে একটি সার্কুলারের মাধ্যমে এই ক্ষমতা সীমিত করে মাত্র ১১৭টি ওষুধের মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার সরকারের হাতে রাখা হয়। বাকিগুলোর দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে।
 
তবে সম্প্রতি হাইকোর্টের এক রায়ে ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা আশার আলো জাগাচ্ছে।

ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ভলান্টারি কনজিউমারস ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটির (ভোক্তা) নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শুধু সাধারণ ওষুধ নয়, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দামও কয়েক গুণ বেড়েছে। প্যারাসিটামল থেকে শুরু করে ইনজেকশন, অ্যান্টিবায়োটিক, গ্যাস্ট্রিক ও ডায়াবেটিসের ওষুধের দাম ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে, আর ক্যান্সারের ওষুধের ক্ষেত্রে তা ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ওষুধের উচ্চমূল্যে দরিদ্র মানুষ চিকিৎসার সুযোগ হারাচ্ছে। সরকার চাইলে ক্যান্সারসহ গুরুতর রোগের ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। দাম নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মনিটরিং এবং অনুমোদন ছাড়া দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’ ইডিসিএলের উদ্যোগ, তবু সুফল অধরা : সরকারি মালিকানাধীন এসেনশিয়াল ড্রাগস কম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) সম্প্রতি ৩৩টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম কমালেও সাধারণ মানুষ এর সুফল পাচ্ছে না। কারণ, এসব ওষুধ বেশির ভাগ ফার্মেসিতেই পাওয়া যায় না। ইডিসিএল মূলত সরকারি হাসপাতালগুলোতে ওষুধ সরবরাহ করে, খুচরা বাজারে তাদের সরবরাহ খুবই সীমিত। ফলে দাম কমানোর এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের জন্য তেমন কোনো উপকারে আসছে না। ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আ. সামাদ মৃধা বলেন, ‘একটি ওষুধ থেকে তিন টাকা লাভ করার চেয়ে একজন মানুষ যদি সুস্থ হয়, এটিই হবে ইডিসিএলের মূল লাভ।’

কোন ওষুধের দাম কত বাড়ল? : ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে অন্তত ৫০টি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম ২০ থেকে ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে হাইকোর্টে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে হাইকোর্ট সরকারকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেও বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফার্মেসি ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির তথ্য পাওয়া গেছে। দেশে সর্দি-কাশি, গ্যাস্ট্রিক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং অ্যান্টিবায়োটিকসহ প্রায় সব ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে ক্ষেত্রবিশেষে ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। গ্যাস্ট্রিকের অতি পরিচিত একটি ট্যাবলেটের প্রতি পাতার দাম ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে। উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের দাম প্রতি পাতায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। ব্যথার ওষুধ টোরাক্সের দাম ১০ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকা হয়েছে। মিক্সটার্ড, নভোমিক্স ৩০ ইনসুলিন ইনজেকশনের দাম ৪৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৫১০ টাকা এবং নভোমিক্স ফ্লিক্সপেন ৮৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০৫ টাকা হয়েছে। রাজধানীর লাজফার্মা, লিড ফার্মা,  আল শেফা ফার্মাতে বাড়তি দামে ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বাইরের চিত্রও একই। কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নোয়াখালী জেলা শহরের ফার্মেসিগুলোর দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, অ্যান্টিবায়োটিক এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ এমজি ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা এবং সেফ থ্রি সেফ্রিক্সিম ২০০ এমজি ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫ টাকা হয়েছে। ওআরএস বা খাবার স্যালাইনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দামও বেড়েছে। এসএমসির ওরাল স্যালাইন পাঁচ টাকা থেকে বেড়ে ছয় টাকা হয়েছে। গাজীপুর শহরের হাড়িনাল এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নীলিমা আক্তার উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এক বছর আগেও তাঁর প্রতি মাসে এসব রোগের ওষুধ কিনতে খরচ হতো পাঁচ হাজার টাকার মতো। ওই ওষুধ এখন কিনতে হচ্ছে সাড়ে ছয় হাজার টাকা দিয়ে।

বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি খুলনা শাখার আহ্বায়ক খান মাহাতাব আহমেদ বলেন, ‘কম্পানির পক্ষ থেকে ওষুধের দাম বাড়ানো হলে ব্যবসায়ীদের কিছু করার নেই। তবে কেউ যাতে সিন্ডিকেট করে ওষুধের দাম বৃদ্ধি করতে না পারে সেদিকে সমিতি নজর রাখবে।’

পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে তুলনাভারত ও মায়ানমার : পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল এমনকি যুদ্ধবিধ্বস্ত মায়ানমারের চেয়েও বাংলাদেশে কিছু সাধারণ ওষুধের দাম প্রায় দ্বিগুণ। ভারতে উৎপাদিত একই জেনেরিকের ওষুধের দাম বাংলাদেশের তুলনায় প্রায় অর্ধেক বা তারও কম। উদাহরণ, ভারতে যে প্যারাসিটামল ট্যাবলেটের দাম প্রতি পাতা পাঁচ রুপি, বাংলাদেশে তার জন্য গুনতে হয় ১২ থেকে ১৫ টাকা। ভারতের এক জনপ্রিয় ক্যান্সারের ওষুধ ৪০০ মিগ্রাম ইমাটিনিব, সেখানে প্রতি ট্যাবলেট মাত্র ২২ টাকা ৫০ পয়সায় পাওয়া যায়। একই জেনেরিক বাংলাদেশে কিনতে গেলে খরচ হয় ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, অর্থাৎ সাত থেকে ১০ গুণ বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে সরকারের কঠোর মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং নিজস্ব কাঁচামাল উৎপাদনের সক্ষমতা থাকায় তারা ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে।

নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স ও হাইকোর্টের রায় : ​ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই টাস্কফোর্স অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা সংশোধন এবং সব ওষুধের মূল্য নির্ধারণের একটি যৌক্তিক পদ্ধতি তৈরি করতে কাজ করবে। এর পাশাপাশি হাইকোর্টের রায় সরকারকে ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়ায় আশার আলো দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এই রায়ের কার্যকর বাস্তবায়ন হলে ওষুধের বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

​​ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) বলছে, তারা ওষুধের যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন টাস্কফোর্স এবং হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা প্রহণ করা হবে। রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম বৃদ্ধি সরাসরি মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সরকারের হাতে সীমিত করে দেওয়া নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক পরিচালক বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনার কপি পেলে আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

সরকারের পদক্ষেপ : অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা হালনাগাদ ও দাম নির্ধারণের জন্য গঠিত ১৮ সদস্যবিশিষ্ট টাস্কফোর্স প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আরো দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত ২৪ জুলাই কমিটি গঠন করলেও এত দিনে মাত্র একটি বৈঠক হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ওষুধ কম্পানি ও খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক শেষে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।  আগামী মাসের মাঝামাঝি প্রতিবেদন জমা পড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

টাস্কফোর্সের দায়িত্ব হলো অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা হালনাগাদ, তালিকাভুক্ত ওষুধের মূল্য নির্ধারণ এবং বাকি ওষুধগুলোর জন্য একটি সমন্বিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি তৈরি করা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মোজাম্মেল হোসেন খান জানিয়েছেন, উৎপাদকদের জন্য ন্যায্য মুনাফা নিশ্চিত রেখে সাধারণ মানুষের নাগালে দাম রাখাই মূল লক্ষ্য। তবে টাস্কফোর্সে প্রস্তুতকারকদের প্রতিনিধি না রাখায় তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডব্লিউএইচও ও ইউনিসেফকে এ কাজে যুক্ত করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত মুনাফা নিয়ন্ত্রণে আলাদা নীতিমালার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত মুনাফা নিয়ন্ত্রণে একটি নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টাস্কফোর্সের তিনটি মূল দায়িত্ব থাকবে—অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা হালনাগাদ করা, তালিকাভুক্ত ওষুধের মূল্য নির্ধারণ এবং বাকি ওষুধগুলোর জন্য একটি সমন্বিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি প্রণয়ন করা। প্রস্তুতকারীরা যেন নৈতিকভাবে মুনাফা করতে পারেন, সেটাও বিবেচনায় রাখা হবে।’

দাম নিয়ন্ত্রণে উপায় : ​বিশেষজ্ঞরা ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি উপায়ের কথা বলছেন। তাঁরা বলছেন, সব ওষুধের মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও যৌক্তিক করতে হবে। চিকিৎসকদের অনৈতিকভাবে প্রভাবিত করার চর্চা বন্ধে কঠোর আইন ও তার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ইডিসিএলের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে খুচরা বাজারে সুলভ মূল্যে ওষুধ সরবরাহ বাড়াতে হবে। দেশে ওষুধের কাঁচামাল বা এপিআই (অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট) পার্ক দ্রুত চালু করে আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে। চিকিৎসকদের ওষুধের ব্র্যান্ড নামের পরিবর্তে জেনেরিক নাম লেখার নির্দেশ দিলে রোগীরা নিজেদের পছন্দ ও সাধ্য অনুযায়ী ওষুধ কিনতে পারবেন।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) ডা. মোস্তাফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমদানি করা ওষুধের দাম বেড়েছে। এসব ওষুধের দাম ডিজিডিএ থেকে দাম নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। নিয়ম অনুযায়ী যাঁরা আমদানিকারক তাঁরা বিল-ভাউচার জমা দিয়ে দাম নির্ধারণ করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। কেউ বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করলে তা ডিজিডিএকে জানালে তারা ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারবে।’

ইউনিমেড ইউনিহেলথের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মোসাদ্দেক হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডলারের উচ্চমূল্যে কাঁচামাল আমদানি আগের চেয়ে ব্যয়বহুল হয়ে গেছে। এতে আমরা চাপের মধ্যে আছি। ওষুধের দাম নির্ধারণে সরকার যে টাস্কফোর্স গঠন করেছে তাতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিত্ব নেই। যাঁরা ওষুধ উৎপাদন করবেন তাঁদের কথাও শুনতে হবে।’