
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হুদাপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে আলী আকবর নামের একজনকে রাইফেলের বেয়োনেট দিয়ে বেধড়ক মারধর ও নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন আলী আকবর (৫৪) সোমবার দুপুরে এ তথ্য জানান।
আহত আলী আকবর চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মাজপাড়ার মৃত নুর ইসলামের ছেলে। রোববার সকালে দামুড়হুদা উপজেলার হুদাপাড়া সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে।
আহত বৃদ্ধ আলী আকবর বলেন, রোববার সকালে উপজেলার হুদাপাড়া একটি দোকানের চা পান করে সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্তের কাছাকাছি যায়। এ সময় ভারতীয় নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর থানার হুদাপাড়া বিওপির বিএসএফের ৩ জন সদস্য আমাকে ধরে বেধড়ক পেটাতে থাকে। তাদের বলি আমি সীমান্ত অতিক্রম করিনি আমাকে ছেড়ে দেন। তবুও তারা আমাকে রাইফেলের সামনের অংশ (বেয়োনেট) দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে খোঁচাতে থাকে এবং পেটাতে থাকে। এরপর আমাকে ফেলে রেখে তারা চলে যায়।
সোমবার দুপুরে আলী আকবরের স্ত্রী ময়না খাতুন বলেন, রোববার দুপুরে হুদাপাড়া সীমান্তের পাশে একটি কৃষিজমিতে আহত অবস্থায় আমার স্বামী আলী আকবর পড়ে ছিল। স্থানীয় এক যুবক তাকে দেখে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তার শরীরের পায়ে ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় কুড়ুলগাছি গ্রামের হাসপাতালপাড়ার পারভিন ড্রাগ হাউজ ফার্মেসিতে ডা. আকরাম হোসেনের (সাবেক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার) মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এক হাত ও পায়ে ক্ষতস্থানে একাধিক সেলাই প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোববার বিকালে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সিদ্দীক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমিও ঘটনাটি শুনেছি। বিএসএফের সদস্যরা আলী আকবরকে বেধড়ক মারধর করেছে।
এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নাজমুল হাসান বলেন, আলী আকবর মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন বলে তার পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি। পরে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা এ ঘটনাটি অস্বীকার করেছে।
তিনি আরও বলেন, যদিও এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে বিএসএফ এটা ঠিক করেনি। অন্যায়ভাবে কোনো বাংলাদেশিকে মারধর করতে পারে না। কোনো কিছু ঘটলে আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে সমাধানে যাওয়া উচিত।