
গত এপ্রিলে ভারতের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। এমনকি ভবিষ্যতে আইসিসি টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত ম্যাচ না খেলতে চাইলে সেটিকেও সমর্থনের কথা জানান সাবেক বিসিসিআই-প্রধান। কিন্তু সেই মন্তব্যের তিন মাস পেরোনোর আগেই নিজের অবস্থান বদলালেন ‘প্রিন্স অব কলকাতা’। সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান একই গ্রুপে থাকার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের ম্যাচ নিয়ে কথা বলেছেন সৌরভ। তার নতুন ভাষ্য হচ্ছে, খেলাকে খেলার মতোই চলতে দেওয়া উচিত। অন্য কোনো কারণে খেলা বন্ধ করা উচিত নয়।
এর আগে ২৬ জুলাই (শনিবার) নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে প্রথমে এশিয়া কাপ শুরু ও শেষের দিনক্ষণ জানান এসিসির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। এরপর একই দিন সন্ধ্যায় আরেক পোস্টে বিস্তারিত সূচি প্রকাশ করেন তিনি। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এই টুর্নামেন্ট শুরু হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, ফাইনাল ২৮ সেপ্টেম্বর। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে মোট আটটি দল অংশ নেবে এবারের এশিয়া কাপে- ‘এ’ গ্রুপে ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে অন্য দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। সূচি অনুযায়ী ১৪ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি হওয়ার কথা দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তানের।
পেহেলগাম ঘটনার জেরে গত মে মাসে প্রতিবেশী দুই দেশের সামরিক সংঘাতে জড়ানোর পর এটিই ক্রিকেটে প্রথম লড়াই। এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানকে একই গ্রুপে রেখে হঝচি প্রকাশের পর এ নিয়ে আলোচনা আবারও গতি পেয়েছে। রাজনৈতিক ও নিরাপত্তার কারণে এই ম্যাচের ভবিষ্যৎ নিয়েও উঠে নানা প্রশ্ন, যা নিয়ে কথা বলেছেন সৌরভও। গতপরশু কলকাতায় বার্তা সংস্থা এএনআইকে সৌরভ বলেন, ‘আমার এ নিয়ে (ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ) কোনো সমস্যা নেই। খেলাধুলা চলতেই থাকবে। সন্ত্রাসবাদ বা পেহেলগাম হামলার মতো ঘটনা কখনোই ঘটানো উচিত নয়, কিন্তু তার মানে এই নয় যে ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাবে।’ এ সময় অতীতে যা হয়েছে, সেসব ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে চাওয়ার কথাই বলেছেন সৌরভ, ‘যা কিছু ঘটেছে, তা এখন অতীত। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কোনো পরিস্থিতিতেই খেলাধুলা থেমে থাকা উচিত নয়।
ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে, কিন্তু ক্রিকেট চলতে থাকা উচিত।’
দু’দিন আগে ‘মন চাইলে খেলবো, নাইলে খেলবে না’ নিজ দেশের এমন দ্বিচারিতায় ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ‘খোঁচা’ দিয়ে প্রশ্ন রেখেছিলেন, দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি না হলে মহাদেশীয় ও বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে খেলে কেন?