Image description
 

জামায়াত ইসলামীর ওপর চাপ না এলে বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করে না—এই ধরনের ধারণা বিভ্রান্তিকর ও একপেশে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থে, বিশেষ করে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন এবং বিচারপ্রক্রিয়ার প্রশ্নে জামায়াত ও বিএনপি একসঙ্গে কাজ করতে চায়। সংস্কারের প্রশ্নেও আমরা সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছি এবং জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা একত্রে এগিয়ে যেতে চাই।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. মাসুদ বলেন, মত ও পথের ভিন্নতা গণতন্ত্রের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু সেই ভিন্নমত যেন প্রতিহিংসায় রূপ না নেয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে দেশ ও রাজনীতি—দুয়োটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকতে পারে, কিন্তু তা যেন বিভাজন ও বিদ্বেষে পরিণত না হয়।

 

তিনি আরও জানান, জামায়াত আমীরের সাম্প্রতিক লন্ডন সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়া এবং একজন দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা হিসেবে সৌজন্য সাক্ষাৎ। যদিও এর আগেই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল, তবে কিছু সঙ্গত কারণে তা সম্ভব হয়নি।

 

তার ভাষ্য অনুযায়ী, আমরা একসঙ্গে রাজপথে সংগ্রাম করেছি, ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে লড়েছি, যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। তাই এমন একটি মানবিক মুহূর্তে বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে জামায়াত আমীরের সাক্ষাৎকে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বলেই আমরা দেখি।

তিনি আরও বলেন, “চায়ের দোকানে ৫-৬ জন একসাথে বসে থাকলেও রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে রাজনৈতিক সহকর্মীদের মধ্যে কিছু খোলামেলা আলাপ হওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়।”

ড. মাসুদ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, মতের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও জাতীয় ইস্যুতে আমাদের অবস্থান অভিন্ন। তাই প্রতিহিংসা নয়—সৌহার্দ্যপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ গড়তে হলে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।