
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি (বিএপিআই) ও বাংলাদেশ হেলথ জার্নালিস্ট ফোরামের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘জার্নি অব বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিকেল ইন্ডাস্ট্রির’ কর্মশালায় সমিতির মহাসচিব ড. মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন (উত্তরণ) হলে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, বাংলাদেশের ওষুধ বিশ্বের বিশ্বের বড় কোম্পানির সাথে প্রতিযোগিতায় যেতে হবে। তখন বাংলাদেশকে নতুন নতুন সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে।
এখন থেকেই ভবিষ্যৎ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে না পারলে অনেক ওষুধ কোম্পানি বিপদে পড়বে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) তেজগাও, গুলশান লিঙ্করোডস্থ বাংলাদেশ শিল্প সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মশালায় ওষুধ শিল্প সম্বন্ধে বিস্তারিত তুলে ধরেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির কোষাধ্যক্ষ মো. হালিুমুজ্জামান। বক্তব্য প্রদান করেন হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। মো. হালিমুজ্জামান বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশন হয়ে গেলে বাংলাদেশ ওষুধের কাঁচামাল (এপিআই) সমস্যায় ভুগবে। এখন থেকেই প্রয়োজনীয় কাঁচামাল তৈরি করার চেষ্টা করতে হবে। ওষুধ তৈরি করতে হলে আমাদের ৪০০ ধরনের কাঁচামাল লাগবে। ইতোমধ্যে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় ২০০ একর জায়গা জুড়ে এপিআই পার্ক তৈরি করা হয়েছে।
আমরা ইতোমধ্যে ২১টি কোম্পানি ৪১ ধরনের এপিআই তৈরি করছি। একেক কোম্পানি একেক ধরনের কাঁচামাল তৈরির ব্যবস্থা করতে পারলে আমরা নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হবো। এছাড়া প্যাটেন্টেড ওষুধ তৈরি করতে হলে এখন থেকে ওষুধগুলোর রেজিস্ট্রেশন বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে (ডিজিডিএ) করিয়ে নিতে হবে।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন মার্কে ৩০০ কোটি ডলারের ওষুধ বাজারজাত করা হচ্ছে। আগামী ২০২৯ সালের মধ্যে তা ৬০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের ওষুধের বাজারেও ওষুধ বিক্রি করছে। কারণ বাংলাদেশের ওষুধ মানসম্মত। বাংলাদেশের কমপক্ষে ১৫টি ওষুধ কোম্পানি আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, ব্রাজিলের ওষুধ পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট পেয়েছে।