Image description

বগুড়ার কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন কবিরাজ এবং তার ছেলে একই কমিটির সহসভাপতি সুরুজ উদ্দিন কবিরাজকে দুদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সময় ৪ আগস্ট বগুড়ায় পৃথকস্থানে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রিপন ফকির নিহত হন। এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম আসামিদের অধিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। পরে বিচারক দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সময় আসামিরা রিপন ফকিরকে শহরের ২ নম্বর রেল ঘুন্টির উত্তরে ঝাউতলা এলাকায় গুরুতর আহত করে। আহত রিপন ফকিরকে মুমূর্ষু অবস্থায় রিকশায় করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।

পরে তার স্ত্রী মাবিয়া বেগম বাদী হয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহেনা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের ১০৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনের নামে মামলা করেন। আসামি হেলাল উদ্দিন কবিরাজ ও তার ছেলে সুরুজ উদ্দিন কবিরাজের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে ৯টি মামলা রয়েছে।

বগুড়া আদালতের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা বাবা ও তার ছেলের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে গত ১১ এপ্রিল ভোরে ঢাকার আদাবর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়।