
দেশের কোথাও চালের সংকট নেই । কিন্তু বাজারে মিনিকেট , নাজিরশাইলসহ বিভিন্ন ধরনের চালের দাম বাড়ছেই । তিন মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালের দাম জাতভেদে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে । সংশ্লিষ্টরা জানান , গত বছর ধান উৎপাদন হয় এমন চারটি জেলায় অতিবৃষ্টিতে ফলনের ব্যাপক ক্ষতি হয় । এ কারণে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের উৎপাদন কম হয় । এই অজুহাতে অনেকে বাড়তি দামে চাল বিক্রি করছেন । তবে বাজারে চালের সংকট নেই । কারণ খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে , চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করা হয়েছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩১ টন । আর বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা হয়েছে ২ লাখ ৮৬ হাজার ১৭ টন চাল । এ ছাড়া সরকারের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ প্রায় ৫ লাখ টন । তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ে কোনো চাল আমদানি করা হয়নি ।
বাসিন্দা মোশারফ হোসেন গতকাল শনিবার ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেট চাল কেনেন ৪ হাজার ৫০০ টাকায় । এতে প্রতি কেজি চালের দাম পড়ে ৯০ টাকা । তিন মাস আগে তিনি এই চাল কিনেছিলেন ৩ হাজার ৭০০ টাকা বা ৭৪ টাকা কেজিতে । তিনি বলেন , তিন মাসে বস্তাপ্রতি ৮০০ টাকা দাম বেড়েছে । বনশ্রী বি - ব্লকের আল্লার দান স্টোরের দোকানি নাসির উদ্দিন জানান , তিন মাস আগে প্রতি বস্তা ( ৫০ কেজি ) নাজিরশাইল চাল বিক্রি করেছিলেন ৩ হাজার ২০০ টাকা বা প্রতি কেজি ৬৪
টাকা । গতকাল তা ৩ হাজার ৭৮০ টাকা বা প্রতি কেজি ৭৫ টাকা ৬০ পয়সায় বিক্রি করেন । তবে মেসার্স সূচনা জেনারেল স্টোরে প্রতি কেজি মিনিকেট মানভেদে ৮০-৯০ এবং নাজিরশাইল ৮৫-৯২ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে । গতকাল বনশ্রী সি - ব্লকের মেসার্স মোহাম্মদীয়া জেনারেল স্টোরে প্রতি কেজি ভালো মানের নাজিরশাইল ৯৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে । আর মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায় । দোকানি ইকবাল হোসেন জানান ,
চালের সংকট নেই তবু শেষ পৃষ্ঠার পর মিনিকেট চাল আগে কেনা থাকায় তিনি ৮০ টাকায় বিক্রি করতে পেরেছেন । তবে পাইকারিতে দাম বেড়েছে । নতুন চাল আনলে বাড়িয়ে বিক্রি করতে হবে । পুরান ঢাকার বাবুবাজারের চাল ব্যবসায়ী দ্বীন মোহাম্মদ স্বপন জানান , দেশের মোকাম , আড়ত , পাইকারি বা খুচরা পর্যায়ে কোথাও চালের সংকট নেই । তবে উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে । এ ছাড়া বাংলামতি ৬০ টাকার চাল এখন ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে । পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা জানান , গতকাল প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল মানভেদে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে ; যা ৩ মাস আগে ছিল ৬৫-৭৫ টাকা । ৭৫-৭৬ টাকার মিনিকেট এখন ৮২-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । ৫৬-৫৭ টাকার বিআর -২৮ চাল এখন ৫৮-৫৯
টাকায় বিক্রি হচ্ছে । নওগাঁ জেলা ধান - চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরদ বরণ সাহা জানান , ৩ মাস আগে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল মানভেদে ৬২-৬৫ টাকায় বিক্রি করেছিলেন । বর্তমানে তা ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি করছেন । আর মিনিকেট চালের দাম ছিল ৬৩-৬৬ টাকা ; যা বর্তমানে ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । গত বছর চাল আমদানি না হওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়তে পারে কি না — এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন , বাজারে চালের কোনো সংকট নেই । গত বছর আমদানি না হলেও চলতি বছর স্থানীয়ভাবে ক্রয় ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি মিলিয়ে প্রায় ৯ লাখ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে । এখনো মজুত সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে ।
চালের সংকট নেই তবু শেষ পৃষ্ঠার পর মিনিকেট চাল আগে কেনা থাকায় তিনি ৮০ টাকায় বিক্রি করতে পেরেছেন । তবে পাইকারিতে দাম বেড়েছে । নতুন চাল আনলে বাড়িয়ে বিক্রি করতে হবে । পুরান ঢাকার বাবুবাজারের চাল ব্যবসায়ী দ্বীন মোহাম্মদ স্বপন জানান , দেশের মোকাম , আড়ত , পাইকারি বা খুচরা পর্যায়ে কোথাও চালের সংকট নেই । তবে উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে । এ ছাড়া বাংলামতি ৬০ টাকার চাল এখন ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে । পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা জানান , গতকাল প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল মানভেদে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে ; যা ৩ মাস আগে ছিল ৬৫-৭৫ টাকা । ৭৫-৭৬ টাকার মিনিকেট এখন ৮২-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । ৫৬-৫৭ টাকার বিআর -২৮ চাল এখন ৫৮-৫৯
টাকায় বিক্রি হচ্ছে । নওগাঁ জেলা ধান - চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরদ বরণ সাহা জানান , ৩ মাস আগে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল মানভেদে ৬২-৬৫ টাকায় বিক্রি করেছিলেন । বর্তমানে তা ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি করছেন । আর মিনিকেট চালের দাম ছিল ৬৩-৬৬ টাকা ; যা বর্তমানে ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । গত বছর চাল আমদানি না । হওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়তে পারে কি না — এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন , বাজারে চালের কোনো সংকট নেই । গত বছর আমদানি না হলেও চলতি বছর স্থানীয়ভাবে ক্রয় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি মিলিয়ে প্রায় ৯ লাখ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে । এখনো মজুত সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে ।