
মানুষসহ পৃথিবীর কোনো প্রাণীই চিরকাল বেঁচে থাকে না— মৃত্যু প্রতিটি জীবের জন্য অবধারিত সত্য। তবে সেই মহাসত্য শিগগিরই পাল্টে যেতে পারে বলে দাবি করেছেন গুগলের সাবেক বিজ্ঞানী রে কার্জওয়েল। তার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ২০২৯ সালের মধ্যেই মানুষ অমরত্ব অর্জন করবে।
৭৫ বছর বয়সী এই খ্যাতিমান কম্পিউটার বিজ্ঞানী বহুদিন ধরে জেনেটিক্স, ন্যানোটেকনোলজি ও রোবোটিক্স নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছেন। তার মতে, ন্যানোপ্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) অগ্রগতির ফলে এমন এক যুগ আসছে যখন ন্যানোরোবট মানবদেহের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ ও টিস্যু মেরামত করতে পারবে। এর ফলে মানুষ মৃত্যুকেও প্রতিহত করতে সক্ষম হবে।
রে কার্জওয়েল এর আগে “The Singularity is Near” নামক গ্রন্থে এই ভবিষ্যদ্বাণী প্রকাশ করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, ২০২৯ সালেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রথমবারের মতো বৈধ টিউরিং টেস্টে উত্তীর্ণ হয়ে মানুষের সমান বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করবে। এর পর থেকেই ন্যানোপ্রযুক্তি মানুষকে মৃত্যুহীন জীবনের দিকে নিয়ে যাবে।
এই বিজ্ঞানী এ পর্যন্ত ১৪৭টি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, যার মধ্যে ৮৫ শতাংশই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি আগেই বলেছিলেন, একসময় বিশ্বের সেরা দাবাড়ুরাও কম্পিউটারের কাছে হার মানবে— যা সত্যি হয়েছিল ১৯৯৭ সালে, যখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গ্যারি কাসপারভ কম্পিউটার “ডিপ ব্লু”-এর কাছে হেরে যান।
তবে অমরত্ব নিয়ে তার এই ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে বিজ্ঞানমহলে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। অনেক বিশেষজ্ঞই একে অবাস্তব বলে মনে করছেন। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও মানুষের মৃত্যুহীন জীবনকে অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করা হয়।