
গাজা উপত্যকায় বর্তমানে দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেইজ ক্লাসিফিকেশন বা আইপিসি।
তাদের এক পর্যালোচনায় সতর্কতা উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, অসংখ্য প্রমাণে দেখা যাচ্ছে যে ব্যাপক অনাহার, অপুষ্টি ও বিভিন্ন রোগ থেকে ক্ষুধাজনিত মৃত্যুর হার বাড়ছে।
সর্বশেষ তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে গাজা উপত্যকার বেশিরভাগ অংশ দুর্ভিক্ষের সীমায় পৌঁছেছে এবং গাজা সিটিতে মারাত্মক অপুষ্টি দেখা দিয়েছে।
আইপিসি হলো দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি চিহ্নিত করার জন্য জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, সাহায্য গোষ্ঠী এবং সরকারগুলোর একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ।
গত মে মাসে আইপিসি বলেছিল যে গাজার প্রায় ২১ লাখ ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ রয়েছে এবং ‘চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার’ মুখোমুখি হয়েছে।
আইপিসি জানিয়েছে, তাদের এই সতর্কতা গাজায় দুর্ভিক্ষের আনুষ্ঠানিক নামকরণ করছে না। বরং তারা সময় ক্ষেপণ না করে এ বিষয়ে আরও বিশ্লেষণ করবে।
সম্প্রতি গাজায় খাদ্য সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে ইসরাইল উপত্যকাটিতে পুরোপুরি অবরোধ আরোপ করে, যা মে মাসে আংশিক তুলে নেওয়া হলেও এখনও সীমিত পরিমাণে ত্রাণ ঢুকছে। জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর সতর্কতা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় সাহায্য ঢুকতে পারছে না।
মঙ্গলবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৮০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া ইসরাইলি অবরোধের ফলে অনাহারে উপত্যকাটিতে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন শিশু।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর অপুষ্টিজনিত কারণে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ জনে, যাদের মধ্যে ৮৮ জনই শিশু।