
ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ত্রাণবাহী জাহাজ হানজালায় থাকা ফিলিস্তিনপন্থী অধিকার কর্মীরা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। সেইসঙ্গে জোরপূর্বক বহিষ্কার সম্পর্কিত নথিপত্রে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তারা। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের সময় তাদের কয়েকজনকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নারী বন্দিরা আটককেন্দ্রের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং মৌলিক স্যানিটারি সামগ্রীর অভাব সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন।
তাদের বিবৃতি অনুসারে, জাহাজ থেকে ১৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের আটকের বিষয়ে ছয় ঘন্টার শুনানি হয়েছে।
তারা নিশ্চিত করেছে ১৪ জন বন্দী দ্রুত নির্বাসন প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং কোন স্বীকৃতিনামায় স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, তাদের লক্ষ্য মানবিক ত্রাণ পৌঁছানো এবং গাজায় অবরোধ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে লড়াই করা।
মার্কিন মানবাধিকার কর্মী ক্রিস স্মলসকে ইসরাইলি বাহিনী গুরুতর শারীরিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
অধিকার কর্মীদের কয়েকজনকে আইনি সুযোগ গ্রহণের অধিকার পরিত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল।
এরআগে গত ২৬ জুলাই গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি অবরোধ ভাঙার চেষ্টাকালে আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের ত্রাণবাহী জাহাজ ‘হানজালা’ আটক করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। পাশাপাশি জাহাজটিতে থাকা ২১ জনকেও আটক করে তারা। এদেরমধ্যে ১৯ জন মানবাধিকার কর্মী এবং দু’জন সাংবাদিক।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, ফিলিস্তিনিপন্থী সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনারা সমুদ্রপথে গাজা উপত্যকায় খাদ্য সহায়তা নেওয়ার চেষ্টাকারী একটি ছোট জাহাজে উঠে পড়ে।
গত ১৩ জুলাই আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের হানজালা ত্রাণ নিয়ে গাজা উপত্যকার দিকে যাত্রা শুরু করে। ইতালির সিরাকুসা থেকে জাহাজটি রওনা দেয়।