Image description

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাবি) নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার পদত্যাগ করার পরপরই বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের নেতা ফেরদাউসুল হাসান। আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতির পদত্যাগে তারা বলেন, ‘এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে না পেরে পদত্যাগ করেছেন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার’।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘একজন নির্বাচন কমিশনের সদস্য কখনোই দায় থেকে মুক্তি পেতে পারে না। নির্বাচনের শেষ মূহুর্তে এসে এভাবে পদত্যাগ করলেও তাকে দায় নিতে হবে। তার এ পদত্যাগের কারণ হলো, তার হীনস্বার্থ বাস্তবায়ন না করার কারণেই সে পদত্যাগ করেছেন।

শিক্ষার্থী এবার বুঝিয়ে দিয়েছে, ব্যলটের মাধ্যমে তাদের অধিকার বাস্তবায়ন করতে হয়। সে কারণেই শেষ মূহুর্তে এসে পদত্যাগ করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানায়। হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল আমরা অনানু্ষ্ঠানিকভাবে অনেকটা আমরা জেনে গেছি। এখন ৩০ ঘন্টা পর এসে তাকে কেন পদত্যাগ করতে হলো?

জানা গেছে, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি। এর আগে এদিন রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা  দেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে ১৮টি হলের ভোট গণনা শুরু হয়ে আজ সন্ধ্যার দিকে শেষ হয়েছে। পরে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা শুরু হয়। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিনেট ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে ১১ হাজার ৮৪৩ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তবে নানা অভিযোগ তুলে ছাত্রদলসহ পাঁচটি প্যানেল ও পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন।