Image description

আইফোনে ঘন ঘন সফটওয়্যারজনিত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন অনেকে। বিশেষ করে আইওএস ১৮ এবং পরবর্তী সংস্করণ প্রকাশের পর থেকে আইফোনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, দামি এই স্মার্টফোনে আগের তুলনায় বেশি ত্রুটি দেখা দিচ্ছে। আইফোনের নির্ভরযোগ্যতার সুনাম নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।

বছরজুড়েই আইফোনে একাধিক সমস্যার কথা জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা। আইফোনের অ্যালার্ম ঠিক সময়মতো না বাজা, পর্দায় হঠাৎ করে কালো দাগ দেখা দেওয়ার পাশাপাশি ব্রাউজিং ইতিহাস মুছে ফেলার পরও পুরোনো অনুসন্ধান দেখা যাওয়ার মতো ত্রুটির মুখোমুখিও হয়েছেন অনেকে। এসব সমস্যার কারণে দৈনন্দিন কাজে বিঘ্ন ঘটায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকে জানিয়েছেন, তাঁরা ভবিষ্যতে অ্যাপল পণ্য ব্যবহার না–ও করতে পারেন।

আইওএস ১৮ অপারেটিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে আইফোন ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই ত্রুটির কারণে মুছে ফেলা ব্রাউজিং ইতিহাস বা ইনকগনিটো মোডে দেখা তথ্যও প্রকাশ পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা। এতে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। এসব অভিজ্ঞতার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অসন্তোষ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কেউ লিখেছেন, এত দামের ফোন কিনে বারবার রিস্টার্ট দেওয়া হতাশাজনক। আবার কেউ বলেছেন, সফটওয়্যার হালনাগাদের পর ফোন আনলক করতেও একাধিকবার চেষ্টা করতে হচ্ছে।

সফটওয়্যার ত্রুটি ও বাগ নিয়ে ব্যবহারকারীদের বাড়তে থাকা বিরক্তি আইফোনের ‘সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য স্মার্টফোন’ হিসেবে পরিচিত অবস্থানকে চাপে ফেলতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। এ বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এমএসকিউ ডিএক্সের যুক্তরাজ্য প্রধান নির্বাহী রেবেকা ক্রুক জানান, ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা ও বাস্তব অভিজ্ঞতার মধ্যে এখন স্পষ্ট ব্যবধান তৈরি হয়েছে। যখন মানুষ গড়ে এক হাজার পাউন্ডের বেশি দামে একটি ফোন কিনছে, তখন তারা নির্বিঘ্ন ও নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্সই আশা করে। তবে বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, এসব অভিযোগ সত্ত্বেও আইফোনের বাজার অবস্থান এখনো শক্ত। কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের ইউরোপীয় গবেষণা বিভাগের প্রধান জান স্ট্রিয়াক বলেন, অ্যাপলের শক্তিশালী ইকোসিস্টেমের কারণে বড় ধরনের ব্যবহারকারী হারানোর সম্ভাবনা কম।