Image description

ভারত ও পাকিস্তান থেকে আরও ১ লাখ টন চাল আমদানি করছে সরকার। এছাড়া ৫টি গ্যাস কূপ খননে কাজ পেয়েছে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে ভোজ্য তেল, সার আমদানি ও অন্যান্য কেনাকাটায় ২২টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’। এতে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। 

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, দুটি পৃথক প্রস্তাবে ভারত ও পকিস্তান থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানি করা হবে। এর মধ্যে ২১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধচাল সরবরাহ করবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স পট্টভি এগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড’। আর পাকিস্তান থেকে ২৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার আতপ কেনা হবে জি-টু-জি’র আওতায়। এটি সরবরাহ করবে ‘ট্রেডিং কর্পোরেশন অব পাকিস্তান’। এর আগেও কয়েক দফায় এই দুই থেকে চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

বৈঠকে ৪টি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ (শাহবাজপুর- ৫ ও ৭, ভোলা নর্থ- ৩ ও ৪) এবং ১টি অনুসন্ধান কূপ (শাহবাজপুর নর্থ ইস্ট-১) খননে আন্তর্জাতিক ঠিকাদার নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ কাজটি করবে সিনোপেক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস কর্পোরেশন, পিআর চায়না। এতে ব্যয় হবে ৯০৭ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।

মরক্কো থেকে চারটি প্রস্তাবের বিপরীতে ১ লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিন প্রস্তাবে ৯০ লাখ টন টিএসপি সার এবং একটি প্রস্তাবে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার রয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৮৬৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে তিনটি পৃথক প্রস্তাবে ৩ কোটি ৭৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ১ কোটি লিটার রাইস ব্রান তেল কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬৪২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এছাড়া আরেকটি পৃথক প্রস্তাবে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৭২ কোটি ২০ লাখ টাকা।

বৈঠকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়।