Image description

দুই ওপেনারকে হারিয়ে ইনিংসের শুরুতেই চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। এরপর নড়বড়ে ভিত মেরামতের দায়িত্ব লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়ের কাঁধে এসে পড়ে। হৃদয় আশা জাগিয়ে ফিরলেও থামেননি লিটন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আস্থার পাশাপাশি তার ব্যাটে আগ্রাসী মেজাজও দেখা যায়। শামীম পাটোয়ারীও তাকে দুর্দান্ত সঙ্গ দেন। আর তাদের ব্যাটিং তাণ্ডবে সিরিজে টিকে থাকার মিশনে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।

রোববার (১৩ জুলাই) ডাম্বুলায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৫০ বলে ৫ ছক্কার আর এক চারে সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। 

ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৭ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে থুসারার বলে বোল্ড হন পারভেজ হোসেন ইমন। তিন বল মোকাবিলায়ও রানের খাতা খুলতে পারেননি এই ওপেনার।

পরের ওভারেই আরেক ওপেনার তানজিদকে হারায় সফরকারীরা। ফার্নান্দোর বলে পেরেরার তালুবন্দি হয়ে ৮ বলে ৫ রান করে ফেরেন তিনি।

দুই ওপেনার ফেরার পর লিটন-হৃদয়ের জুটিতে আশা দেখতে শুরু করছিল বাংলাদেশ। জুটির ফিফটি পেরিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু দলীয় ৭৬ রানে হৃদয়ের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। বিনুরা ফার্নান্দোর বলে কুশল পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়ে ২৫ বলে ৩১ রান করে ফেরেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার।

এরপর ক্রিজে আসা মেহেদী মিরাজও দুই বল পরই আউট হয়ে গেছেন। মাত্র ১ রান করেন এই অলরাউন্ডার।

দুই ওপেনারকে হারানোর পর ক্রিজে এসেছিলেন লিটন। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখেই দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। দেখেশুনে খেলে ১৩ ইনিংস পর পঞ্চাশও ছুঁয়ে ফেলেন টাইগার দলপতি। সবশেষ ২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিফটি পেয়েছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে তার প্রথম ফিফটি এটি। সবমিলিয়ে এই সংস্করণে তার ১২তম ফিফটি এটি।

ফিফটির পর আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। তবে ইনিংসের শেষটা করতে পারেননি, ১১ বল বাকি থাকতে আউট হয়ে যান। ৫০ বলে ৭৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।

শেষ ওভারে রান-আউট হয়ে ফেরেন ২ বলে ৩ রান করা জাকের। শামীমও রান আউট হন, এর আগে ২৭ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে ৪ হাঁকানো মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২ বলে ৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

শ্রীলঙ্কার হয়ে বিনুরা ফার্নান্দো ৩ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া মাহিশ থিকশানা এবং নুয়ান থুসারা একটি করে উইকেট নেন।