
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিএনপি বাজারে মাছ কেনা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় অন্তত অর্ধশতাধিক দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
রবিবার (১৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহাদাত হোসেন নামে এক ছাত্র বাজারে মাছ কিনতে আসেন। এসময় নয়ন নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। অভিযোগ রয়েছে, দোকানদার শাহাদাতের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। প্রতিবাদ জানালে পাশের আরেক ব্যবসায়ী বাবুর সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শাহদাতের। পরে রাত ১০টার দিকে শাহাদাত ক্যাম্পাসে থেকে ৩০–৪০ জন সহপাঠী নিয়ে বাজারে ফিরে আসেন।
বাজারের মধ্যে মুদির দোকানে ভাঙচুর করে শিক্ষার্থী
এসময় শিক্ষার্থীরা মাছ দোকানী বাবুকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বাধা দেন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তখন ব্যবসায়ীদের হামলায় শাহাদাত ও আতিক নামে দুই শিক্ষার্থী আহত হন।
সংঘর্ষের সময় মাহমুদুল নামে এক শিক্ষার্থীকে বাজার সমিতির অফিস কক্ষে আটকে রাখে ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত শাহাদাতকে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর আতিক নামে আহত আরেক শিক্ষার্থীকে পঙ্গু হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এসব তথ্য জানিয়েছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ও বাজারের মাছ ব্যবসায়ী রিফাত।
বাজার সমিতির অফিস কক্ষেও ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা
পুলিশ জানায়, মাহমুদুল নামে এক শিক্ষার্থীকে আটকে রাখার সংবাদে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে বাজারের ভেতর বের করে নিয়ে আসে। পরে এমন সংবাদ ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কয়েকশো শিক্ষার্থী লাঠিসোটা নিয়ে বাজারে মাছ বাজারসহ আশপাশের মুদি দোকান ও বাজার কমিটির অফিস কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। বাজারের ব্যবসায়ীদের একাংশ অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা গণহারে দোকানপাটে ভাঙচুর করেছে।
পুলিশ বলছে, বাজারে মাছ ব্যবসায়ীদের হামলায় দুই শিক্ষার্থী আহতের ঘটনার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টরিয়াল রাত দেড়টার দিকে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।