
ঈদুল ফিতরের দিন সকাল ৭:০০ টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজ শেষে মুহতারাম আমীরে জামায়াত ৩২টি শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপন করেন। ঈদের নামাজ শেষে প্রথমে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ অফিসে আসেন। সেখানে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ, জনশক্তি ও জনসাধারণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে রমনায় শহীদ ফারহান ফাইয়াজের পরিবারে যান এবং পরিবারের লোকজনের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পরে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লগি-বইঠা দিয়ে নৃশংস হামলায় শাহাদাত বরণকারী সবুজবাগের হাফেজ গোলাম কিবরিয়া শিপন ও শহীদ সাইফুল্লাহ মোহাম্মদ মাসুমের পরিবারে যান আমীরে জামায়াত। সেখান থেকে গেন্ডারিয়ায় শহীদ শাহরিয়ার খান আনাস, শহীদ জুনায়েদ, শহীদ ইসমাইল হোসেন রাব্বির বাসায় গিয়ে খোঁজখবর নেন ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর কুতুবখালীর শহীদ আসলাম, শহীদ শাকিল, শহীদ শাহাদাত হোসেন শাওন, শহীদ জাহাঙ্গীর আলম, শহীদ আওয়াল মিয়া ও শহীদ জিহাদ হোসেনের বাসায় যান তিনি।
এরপর কাজলায় শহীদ নাঈম হাওলাদার, শহীদ নাসির হোসেন, শহীদ জসিম উদ্দিন ও শহীদ আরিফের বাসায় যান আমীরে জামায়াত। তারপর যাত্রাবাড়ী ৩ নম্বর স্পটে শহীদ রবিন মিয়া, শহীদ আহমদ আব্দুল্লাহ, শহীদ ইয়াসির সরকার, শহীদ জিহাদ, শহীদ আব্দুল হান্নান ও শহীদ ওয়াসিম শেখের পরিবারে এবং যাত্রাবাড়ী ৪ নম্বর স্পটে শহীদ নূর হোসেন, শহীদ জাহাঙ্গীর খা, শহীদ রানা, শহীদ মিসেস শাহিনুর বেগম ও শহীদ ইমন গাজীর পরিবারে যান তিনি।
পরে যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানার হাজী বাদশা মিয়া ৮ নম্বর রোডের শহীদ ইব্রাহিমের বাসায় সমবেত শহীদ মিরাজ হোসেন, শহীদ রাকিব ও শহীদ মাসুদের পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রতিটি শহীদ পরিবারের দুঃখ-কষ্ট, হাসি-কান্নার অংশীদার হতে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপন করেন। আমীরে জামায়াতের পক্ষ থেকে ঈদের আগের দিন উপরোক্ত প্রতিটি পরিবারের জন্য বিভিন্ন ঈদ উপহার সামগ্রী পাঠানো হয়।
শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপনে আমীরে জামায়াতের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদসহ মহানগরীর নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন থানা আমীর এবং সেক্রেটারিবৃন্দ।