Image description

সংগঠনের মধ্যে চাঁদাবাজির সংস্কৃতি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। গতকাল রাজধানীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ছাত্রদল সভাপতি।

 

রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘সর্বশেষ রমজান মাসে আমরা অসংখ্য কর্মসূচি পালন করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটি দিন রেস্ট পাইনি। আমাদের অনেকগুলো কর্মসূচি ছিল আপনারা দেখেছেন। আমরা শেষ রমজান পর্যন্ত চেষ্টা করেছি ছাত্রসংগঠন হিসেবে, সচেতন রাজনৈতিককর্মী হিসেবে সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই অসংখ্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এবং ঈদকে কেন্দ্র করে সারা বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্যভাবে কোনো নেগেটিভ নিউজ কোনো সংবাদমাধ্যমে আসেনি। চাঁদাবাজি, বৃহৎ আকারে কোনো চাঁদাবাজি হয়নি।’

ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ‘বিগত সময়ে দেখা যেত এই দেশে যারা শীর্ষ ব্যবসায়ী, ঈদ উপলক্ষে তাদের কাছ থেকে চাঁদা আসত রাজনৈতিক দলের যারা ক্ষমতায় ছিল, তাদের নিকট। আমি ছাত্রদলের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রদলের শীর্ষ পর্যায়ে যারা রয়েছি, আমি আপনাদের চ্যালেঞ্জ করে বলছি, বাংলাদেশের একজন ব্যবসায়ী আমাদের একটি টাকাও চাঁদাবাবদ কিংবা সপ্রণোদিত হয়েও আমাদের দেয়নি। কারণ আমাদের সেই কালচার (সংস্কৃতি) বিলুপ্ত করা হয়েছে।’

ছাত্ররাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘কষ্ট করে ছাত্ররাজনীতি করতে হবে, তাহলে দেশের প্রতি মায়া, মমতা, টান থাকবে। আপনি শীর্ষ পদে যদি সৎ থাকেন, তাহলে আপনার নেতাকর্মীরাও সৎ থাকবে। সে জন্য আমরা সেই পর্যায়ে রয়েছি।’

নতুন রাজনৈতিক দলের বিষয়ে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ‘নবগঠিত রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নামে কিন্তু ইতিমধ্যে সেই অভিযোগগুলো এসেছে যে, তারা শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সাথে তাদের যোগসাজস, কিংবা তাদের নিকট থেকে আর্থিক প্রণোদনা নেওয়ার যে প্রবণতা। তো আমি মনে করি, এই কালচার বন্ধ হওয়া উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘নবগঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর নামে যে শীর্ষ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আর্থিক প্রণোদনা নেওয়ার যে একটি প্রবণতা, এগুলো বিভিন্ন সময় মিডিয়ায় ফাঁস হচ্ছে। এগুলো খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’