
ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বর্জ্যকে মূল্যবান সম্পদে রূপান্তর করার লক্ষ্য নিয়ে কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা যাত্রা শুরু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রামু উপজেলার মিঠাছড়িতে স্থাপিত এই কারখানার উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বিশ্ব ব্যাংকের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত, ইউনাইটেড নেশনস অফিস অর প্রজেক্ট সার্ভিসেজ (UNOPS) বাংলাদেশের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর মেডিক্যাল ওয়েস্ট মেইসন সাল্লাম, এবং ব্র্যাকের পরিচালক ড. মোঃ লিয়াকত আলী।
সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের পর্যটন ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাসের কারণে দৈনিক প্রায় ৩৪.৫ টন প্লাস্টিক বর্জ্য যত্রতত্র ফেলা হয়। বিশেষ করে একবার ব্যবহার শেষে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক, পলিথিন, পণ্যের মোড়ক, পলিপ্রোপিলিন ও পাতলা পলিথিন পুনঃপ্রক্রিয়া করা কঠিন ও বাজারে এর মূল্য নেই।

প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানাটি ‘প্লাস্টিক ফ্রি রিভারস অ্যান্ড সিজ ফর সাউথ এশিয়া (PLEASE)’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাংক ও ইউএনওপিএসের সহযোগিতায়, সাউথ এশিয়া কোঅপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (SACEP) ও উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে।
৫২৮০ বর্গফুট আয়তনের এই কারখানায় প্রতি ঘণ্টায় ২০০ কেজি পর্যন্ত প্লাস্টিক বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করা যাবে। এটি পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ প্রযুক্তিতে নির্মিত, যেখানে রয়েছে দৈনিক ২০০০ লিটার তরল বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা (ETP), সোলার পাওয়ার সিস্টেম, ফায়ার সেফটি, ইলেকট্রিক সাবস্টেশন ও ২৪ ঘণ্টার সিসিটিভি নজরদারি।
এই কারখানাটি শুধু প্লাস্টিক দূষণ কমাবে না, পাশাপাশি নারী বর্জ্য সংগ্রাহকদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। খাল-বিল ও উপকূলীয় অঞ্চলে প্লাস্টিক দূষণ হ্রাস করে এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।