Image description

রাজবাড়ীতে সালমা বেগম (২৫) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘর থেকে টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে।আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের হাউলি জয়পুর গ্রামে স্বামীর বাড়ির ঘরের খাটের ওপর সালমার গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা

 

সালমা বেগম হাউলি জয়পুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আজাদ মল্লিকের স্ত্রী। তার সাদিক নামে ৭ বছর বয়সি এক ছেলে ও সিনহা নামে ৫ বছর বয়সি এক মেয়ে রয়েছে।

সালমার শ্বাশুড়ি লতা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে আজাদ চার বছর ঢাকার নারায়নগঞ্জে দর্জির কাজ করত। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সে নারায়ণগঞ্জে থাকত। দুই বছর আগে সে পরিবার নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। দেড় বছর আগে সে সৌদি আরব চলে যায়। সে সৌদি আরব যাওয়ার পর থেকে তার স্ত্রী সালমা দুই শিশু সন্তান নিয়ে বাড়িতে থাকত।’

লতা বেগম বলেন, ‘ঈদের দিন গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে সালমা দুই শিশু সন্তান নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। অন্য ঘরের এক কক্ষে আমি ও আমার ছোট ছেলে রাহাত ঘুমাই, অন্য কক্ষে আমার বড় ছেলে আমজাদ ও তার স্ত্রী মিম ঘুমায়। সকাল ৬টার দিকে আমি ঘুম থেকে উঠে সালমার ঘরের সামনে গিয়ে নাতি সাদিককে ডাক দেই। এ সময় সাদিক ঘরের ভেতর থেকে কান্না করে বাইরে থেকে দরজা খুলতে বলে। তখন আমি দেখি ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো। আমি দরজা খুলে ঘরের ভেতর ঢুকে দেখি সালমা খাটের ওপর চিৎ করে শোয়া অবস্থায় রয়েছে। তার শরীর কাঁথা দিয়ে ঢাকা এবং গলায় ওড়না দিয়ে টাইট করে পেঁচানো। তার দুপাশে দুই সন্তান বসে আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে ঈদের আগে সৌদি আরব থেকে এক লাখ টাকার ওপরে পাঠিয়েছে। সালমাকে হত্যা করে ঘর থেকে টাকা ও সালমার নাকের ও নাকের দুল নিয়ে গেছে।’

সালমার সাত বছর বয়সি ছেলে সাদিক বলে, ‘রাতে আমাদের ঘরে হিমায়েত এসেছিল। তার সঙ্গে মুখোশ পড়া আরও দুজন ছিল। তারা আমার আম্মুকে মেরেছে।’

হেমায়েতকে জানতে চাইলে সাদিক বলে, ‘আমরা যখন ঢাকায় থাকতাম, তখন হিমায়েত আমাদের আঙ্কেল হত।’

এদিকে, সালমার শ্বশুরবাড়ির কিংবা বাবার বাড়ির কোনো সদস্য হিমায়েত নামে কাউকে চিনেন না বলে জানিয়েছেন। আজাদ ও সালমা ঢাকায় থাকাকালে হিমায়েত নামে কারও সঙ্গে পরিচয় থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘সালমা বেগমের গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার কারণ উদঘাটন ও এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’