
দেশের জনপ্রিয় ইলমে হাদিস বিষয়ক ইসলামিক মেগা রিয়েলিটি শো ‘হাদ্দাসানা-২' প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হক। এ সময় তাকে নগদ দুই লাখ টাকা, ক্রেস্ট, বই ও সুগন্ধিসহ নানা উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়।
মাহমুদুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
গতকাল সোমবার (৩১ মার্চ) বেসরকারি চ্যানেল এটিএন বাংলায় এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। ওয়াবিহি ক্বলা হাদ্দাসানা নামের প্রতিষ্ঠান এই রিয়েলিটি শোর আয়োজন করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়াবিহি ক্বলা হাদ্দাসানার চেয়ারম্যান শাহ মো. ওয়ালি উল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান, তানজিমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. মাও.আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাত্তার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সাত্তার খান। এ ছাড়া বিচারক ছিলেন শায়খুল হাদিস আল্লামা শফিকুল্লাহ আল-মাদানি। উপস্থানা করেছেন মুফতি হেদায়েতুল্লাহ।
মাহমুদুল হাসান যশোরের বাঘারপাড়া থানার কৃষ্ণনগরের মাওলানা আব্দুর রউফ ও মরিয়াম খাতুন দম্পতির সন্তান। তিনি জাফরিয়া জীবন্ত কোরআন বহুমুখী আদর্শ মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম সম্পন্ন করেন।
হাদ্দাসানা প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে অনুভূতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ তাআলার অসীম কৃপায় আমি প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছি। এটি শুধু আমার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার ফল নয়, বরং আমার পিতা-মাতাসহ প্রিয়জনদের দোয়া, শিক্ষকদের পরামর্শ ও সর্বোপরি মহান আল্লাহর অনুগ্রহের ফল। আল্লাহ তাআয়ালা প্রদত্ত এই সাফল্য যেন আমাকে বিনয়ী করে তোলে এবং ভবিষ্যতে আরও পরিশ্রমী হওয়ার প্রেরণা জোগায়। আল্লাহ যেন আমাকে আরও উত্তম পথে পরিচালিত করেন।
সাফল্যের পেছনের অনুপ্রেরণা সম্পর্কে মাহমুদুল বলেন, মহান আল্লাহ তাআলার অশেষ অনুগ্রহই ছিল আমার মূল পাথেয়। আমার বড় ভাই, বন্ধু ও সহপাঠীরা প্রতিযোগিতা সম্পর্কে ধারণা দিয়ে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ করে আসার বন্ধু নোমান আমাকে টিভি রাউন্ডের মতো করেই হাদিস ও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করত, যা প্রতিযোগিতার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আমার জন্য অনেক সহায়ক হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ছাড়া আরেক সহপাঠী আব্দুল করিম অনলাইন বাছাই থেকে শুরু করে চূড়ান্ত বাছাই পর্ব পর্যন্ত পুরো সময় আমাকে তত্ত্বাবধানে রেখেছেন। যখনই হাল ছেড়ে দেওয়ার উপক্রম হয়েছে, তার দেওয়া উৎসাহেই আল্লাহর রহমতে নতুন উদ্যমে আবারও নতুনভাবে শুরু করতে পেরেছিলাম।