Image description
 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়াকে কৌশলগতভাবে পরাজিত করা ও দেশটিকে বিভক্ত করার পশ্চিমা প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

 

বুধবার আন্তঃজাতিগত সম্পর্ক বিষয়ক কাউন্সিলের এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠকটি জাতীয় নীতির কৌশল ও বাস্তবায়ন নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

পুতিন বলেন, রাশিয়ার বাইরে তথাকথিত আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ‘ছদ্মবেশী জাতীয় কেন্দ্রগুলো’ গড়ে তোলা হচ্ছে, যা আসলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তথ্যযুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে কাজ করছে। এই কেন্দ্রগুলো ‘রাশিয়ার উপনিবেশমুক্তকরণ’ নামে যে ধারণা প্রচার করছে, তা মূলত রুশ ফেডারেশনকে টুকরো টুকরো করা এবং দেশটিকে তথাকথিত ‘কৌশলগত পরাজয়ের’ মুখে ফেলারই প্রচেষ্টা।

রুশ প্রেসিডেন্টের ভাষায়, এসব গোষ্ঠী ‘পোস্ট-রাশিয়া’ নামের এক কল্পিত ধারণা প্রচার করছে—একটি বিভক্ত, পরাধীন ও সার্বভৌমত্বহীন ভূখণ্ড হিসেবে রাশিয়াকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে তারা।

  

তিনি সতর্ক করে বলেন, রুশ নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যেসব উস্কানি বা ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে, তা দ্রুত বন্ধ করতে হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে যারা আছে, তারা সাধারণত বিদেশে অবস্থান করে এবং বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। পুতিনের ভাষায়, তাদের লক্ষ্য রাশিয়ার ঐক্যকে দুর্বল করা।

পুতিন বলেন, রাশিয়ার প্রতিপক্ষরা নিত্যদিনের ঘটনা থেকে শুরু করে অভিবাসন সমস্যা পর্যন্ত যেকোনো ইস্যু ব্যবহার করে সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি ও সংঘাত উসকে দিতে চায়। তারা এমনকি ‘সরাসরি সন্ত্রাসী কৌশল অবলম্বনকারী চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোকেও ব্যবহার করছে।

তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো বহু শতাব্দী ধরে রাশিয়াকে বিভক্ত করার নানা রূপে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। কিন্তু প্রতিবারই তারা ব্যর্থ হয়েছে। তবুও এ প্রচেষ্টা বন্ধ হয়নি।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, এসব হুমকির বিষয়টি হালনাগাদ জাতীয় নীতির কৌশলে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করা উচিত। তিনি ২০২৬ সালকে ‘রাশিয়ার জনগণের ঐক্যের বছর’ হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাবেরও সমর্থন জানান।

এর একদিন আগে মঙ্গলবার রাশিয়ায় জাতীয় ঐক্য দিবস উদ্যাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে পুতিন রুশ জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই দিনটি রুশ জাতির দৃঢ়তা ও ঐক্যের প্রতীক।

সূত্র: আরটি