Image description

দশ ভোট পেলেও একা নির্বাচন করবো, আমরা প্রয়োজনে হারবো। আমাদের যারা দশটি ভোট দিবেন তাদের সম্মান নষ্ট করবো না বলে মন্তব্য করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির (দক্ষিনাঞ্চল) মুখ্য সংগঠন হাসনাত আবদুল্লাহ।

শুক্রবার কুমিল্লা-৪ দেবিদ্বার আসনের রাজামেহার গ্রামে নির্বাচনি পদযাত্রাকালে উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, অনেক মুরুব্বি আছে যারা আমার কানের কাছে এসে জানতে চায় জোট করবো কি না। তারা জোটের জন্য বসে আছে। তারা ব্যক্তিকে পছন্দ করে না, তারা পছন্দ করে পার্টিকে। আমরা বলি যদি দশ ভোটও পাই আমরা একা দাঁড়িয়ে থাকবো।

হাসনাত বলেন, দেবিদ্বারে যারা শিক্ষিত যুবক আছে, শিক্ষার্থী আছে তারা সবাই এনসিপির সাথে আছে। তারা হাসনাত আব্দুল্লাহর পাশে আছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে আমার সাথে জনসংযোগ করে। আপনারা তরুণ যারা আছেন যাদের বিবেক বন্ধক দেওয়া নেই তারা শাপলা কলিতে আছে, নারী যারা আছেন তাদের অনেকেই শাপলা কলিতে চলে আসছে।

হাসনাত আরও বলেন, ভোটের মাঠে কেউ যদি কাউকে বলে রান্নার জন্য গ্যাস দিবে, আমি বলবো সে মিথ্যা বলে। আমি আপনাদের মিথ্যা আশ্বাস দিতে পারবো না। রান্নার গ্যাস কেউ কখনো আর দিতে পারবে না, অনেক নারী আছেন যারা পানি সিদ্ধ বসিয়ে কাপড় শুকিয়ে আগামীর ৫০ বছরের গ্যাস শেষ করে ফেলছেন। সরকার রান্নার জন্য আর গ্যাস দিবে না কারণ সরকার গ্যাস দিয়ে সরকারের কোনো লাভ হয় না সব লস। এই গ্যাস দিয়ে সার তৈরি করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।

হাসনাত আবদুল্লাহ আলেমদের নিয়ে বলেন, আমাদের আলেম ওলামারা প্রচুর নিগ্রহের শিকার হতে হয়। আমাদের ইমাম সাহেবদের বেতন ৩ থেকে ৫ হাজার কিন্তু ওনাদের চলাচল অনেক সুন্দর, ওনারা এতো অল্প বেতন পেয়েও আয়রন করা পাঞ্জাবি পড়ে চলাফেরা করেন। আমরা চাই না আলেম ওলামারা এমন অসম্মানজনক চলাফেরা করুক তা চাই না। আমরা আলেম ওলামার জন্য এমন ব্যবস্থা করবে তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে স্বল্প আয়ের ব্যবসা চালু করতে পারে। যেন আলেম ওলামারা যেন পিছিয়ে না থাকে।

হাসনাত নারীদের নিয়ে বলেন, ঘর সুন্দর রাখে একটি নারী, নারী যদি শিক্ষিত হয় তাহলে তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। দেশের জন্য, পরিবারের জন্য নারীদের শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আমরা দেবিদ্বারের নারীদের শত ভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য যা যা করার দরকার করবো। অনেক নারী আছে যারা কর্ম করতে চেয়েও কর্ম করতে পারে না, নরীদেরও কর্ম করার দরকার আছে। নারী তার কর্মের অর্থ দিয়ে পরিবারকে সাহায্য করে। আমরা দেবিদ্বারের নারীদের জন্য কর্মমুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো।

হাসনাত মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বলেন, গ্রামের যে সকল মেধাবী শিক্ষার্থীরা যে ঝড়ে না পড়ে সেজন্য আমরা উদ্যোগ নিবো। যারা ডাক্তারি, ইঞ্জিয়ারিং ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহী তাদের জন্য আমরা দুইটি সার্ভিস চালু করবো। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য মনিটরিং সার্ভিস এবং বৃত্তি সার্ভিসের ব্যবস্থা করবো।

হাসনাত প্রবাসীদের নিয়ে বলেন, প্রবাসীরা যেন প্রবাসে হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য যারা বিদেশে যাবে তারা যেন যথাযথ মর্যাদায় তার বেতন পায় সেজন্য আমরা দেবিদ্বারে আরাবিক, চাইনিজ, জাপানিজ, ভাষা শিখার জন্য আমরা প্রশিক্ষণ সেন্টারের ব্যবস্থা করবো। যারা বিদেশে যান তাদের অনেকেই প্রশিক্ষিত না তাই বিদেশে গিয়ে ভালো বেতন পান না। আমরা অদক্ষ শ্রমিকদের দক্ষ প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রবাসে পাঠাবো।