Image description
সিলেটের ৬টি আসন

সিলেটের বিভিন্ন আসনে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে নানাবিধ চাপে আছে বিএনপি। এর মধ্যেই জেলার বিভিন্ন আসনে জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তনের গুঞ্জনে বিএনপিতে চাপ আরও বেড়েছে। তবে জামায়াতের এই কৌশল মোকাবিলায় বিএনপিও কৌশলী অবস্থান নেবে। এক্ষেত্রে অনেক বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে দলটি।

জানা যায়, আটটি ইসলামি দলের সঙ্গে একটি বৃহত্তর নির্বাচনি সমঝোতায় পৌঁছার চেষ্টা করছে জামায়াত। সমঝোতা চূড়ান্ত হলে সিলেটের ছয়টি আসনের মধ্যে দু-একটি আসন সমমনা অন্য ইসলামি দলকে ছেড়ে দিতে পারে দলটি। এ নিয়ে জামায়াতের অভ্যন্তরে আলোচনা চলছে। সেসব আসনে সমমনা অন্য কোনো ইসলামি দলের প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা বা অবস্থান শক্তিশালী, সেসব আসন নিয়েই সিদ্ধান্ত হতে পারে।

সিলেটের ছয়টি আসনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিলেট-১ আসনে প্রথমবার প্রার্থী হয়েছেন জামায়াতের সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান। এখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। সিলেট-২ আসনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান। এই আসনে বিএনপির তাহসিনা রুশদীর লুনা এবং খেলাফত মজলিসের মুনতাসির আলী নির্বাচনি প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। সিলেট-৩ আসনে মাওলানা লোকমান আহমদ জামায়াতের শক্তিশালী প্রার্থী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালিক। সিলেট-৪ আসনে জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন প্রার্থী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী, মিফতাহ সিদ্দিকী ও আব্দুল হাকিম চৌধুরীর নাম শোনা যাচ্ছে। বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জামানও মনোনয়নপ্রত্যাশী। সিলেট-৫ আসনে জামায়াতের মাওলানা আনোয়ার হোসেন খানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে মাঠে আছেন জমিয়ত নেতা মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক। এখানে বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এ আসনে চাকসুর সাবেক নেতা মামুনুর রশীদ মামুন বিএনপির প্রার্থী হতে চান। সিলেট-৬ আসনে ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মো. সেলিম উদ্দিন জামায়াতের প্রার্থী। তাকে লড়তে হবে বিএনপির অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঙ্গে।

প্রার্থী পরিবর্তনের বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘সমঝোতা ও আসন ছাড়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ কৌশলগত ব্যাপার। সমঝোতা হলে বিষয়টি দল অবশ্যই বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, সিলেটের ১৯ আসনে প্রার্থী দিলেও এটা প্রাথমিক, চূড়ান্ত নয়। তফসিলের পরই প্রার্থী চূড়ান্ত হবে।’

এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গৌছ বলেন, ‘নির্বাচনি কৌশল যার যার মতো করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে তাদের প্রার্থী বদল বা সমঝোতায় আমাদের কোনো সমস্যা হবে বলে মনে করি না। তারা কৌশলী হলে বিএনপিও কৌশলী হবে।’

তবে জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতার ধারণা, জামায়াত বিএনপির দুর্বলতা খুঁজছে। বিএনপির প্রার্থী দেখে তারা যে কোনো মুহূর্তে তাদের প্রার্থী পরিবর্তন আনতে পারে। এমনকি সিলেট-১ আসনেও খোদ জামায়াত আমিরকে প্রার্থী করা হতে পারে।