Image description

ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল বলেছেন, জুলাই বিপ্লবে মূলত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইদ শহীদ হওয়ার পর আন্দোলন সারাছদেশে সরিয়ে পড়ে। তখন ছাত্র বৈষম্য আন্দোলন নয় দফা ঘোষণা করে। সে দফাগুলোতে কোটা সংস্কার ও মন্ত্রীদের পদত্যাগের কথা উল্লেখ থাকলেও কোথায় সরকারের পতনের কথা ছিল না।

তিনি বলেন, ১৭ আগস্টের পর যখন ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হলো তখন বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরাই আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে আসে। বৈষম্য বিরোধী নেতারা যখন আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তখন তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ ভূমিকায় তা একদফায় রূপান্তরিত হয়। আর এখন যদি কেউ এই আন্দোলনের কৃতিত্ব দাবি করেন তাহলে ভুল করবেন।

বুধবার বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার পিসি কালচার মাঠে ৩২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ।

জুয়েল বলেন, ১৬ বছর বিএনপি আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে গুম হয়েছে। এমনকি মসজিদে খুতবার আগে আওয়ামী লীগ খুতবা লিখে দিয়েছে। দাঁড়ি-টুপিওয়ালা কেউ সরকারের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলে জঙ্গি বানানো হয়েছে। তখনতো অনেক বিপ্লবীরা কোনো কথা বলেননি।

তিনি বলেন, বিএনপি এসব অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় দলটির নেতাকর্মীদের নিষ্ঠুর অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। এ থেকে রক্ষা পাননি দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানও।

যুবদলের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে জিয়া পরিবার যে ত্যাগ শিকার করেছেন তা দেশের অন্যকোনো রাজনৈতিক পরিবার করেনি। অথচ, আজ জিয়া পরিবারের আত্মত্যাগ এবং বিএনপির অবদানকে অবজ্ঞা করে অনেকে বাহবা নিচ্ছেন।

৩২ নং ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রুবেলের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার হাসান রহমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম স্বপন, তসলিম আহসান মাসুম, আবুল হাসান টিটু প্রমুখ।