গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তারিক রিফাত (৫৫) কারাগারে নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। গাইবান্ধা জেল সুপার আনোয়ার হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল চারটার দিকে জেলা কারাগারে আনা হলে কিছুক্ষণ পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানায়, তারিক রিফাত রাজাহার ইউনিয়নের প্রভুরামপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিএসএসের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের আহ্বায়ক ছিলেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, তারিক রিফাত তিনটি বিস্ফোরক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। এসব মামলা হলো: গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজাহার ইউনিয়নে ককটেল বিস্ফোরণ, এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা জামায়াত অফিস ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ। সর্বশেষ মামলায় ১৭ নভেম্বর তাকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বলমঝাড় ইউনিয়নের ঝিনেস্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অসুস্থতার কারণে তাকে পরবর্তীতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। রবিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ছুটি পেয়ে জেলা কারাগারে নেওয়া হলে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
জেল সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, ‘রোববার বিকেল চারটার দিকে আসামিকে আমাদের কাছে আনা হয়। সাড়ে চারটার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। রংপুর মেডিকেল কলেজের মেডিকেল সার্টিফিকেটে হৃদরোগসহ অন্যান্য সমস্যা উল্লেখ ছিল।’
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসিফুর রহমান জানান, ‘জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিশির চন্দ্র ঘোষ বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে রোগীকে রিসিভ করেন। তখন রোগী জীবিত ছিলেন না; তার আগেই মৃত্যু হয়।’
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘আসামি তারিক রিফাতকে জামায়াত অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় ১৭ নভেম্বর আটক করা হয়েছিল। অসুস্থতার কারণে তাকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছিল। রোববার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’