Image description
ভূমিকম্প আতঙ্কে দিন কাটছে ঢাকাবাসীর

ছুটির দিন শুক্রবার সকালে আচমকা ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পুরো দেশ। কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে প্রাণ যায় ১০ জনের। আহত হন ছয় শতাধিক মানুষ। মুহূর্তের মধ্যে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ভীতি ও আতঙ্ক। এরপর ৩২ ঘণ্টার মধ্যে আরও তিন দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত বা মিয়ানমার নয়, প্রতিটি ভূমিকম্পেরই উৎপত্তিস্থল ছিল দেশের ভেতরে নরসিংদী, মাধবদী, সাভারের বাইপাইল ও রাজধানীর বাড্ডায়। ঢাকা এবং এর কাছাকাছি এলাকা ভূমিকম্পগুলোর উৎপত্তিস্থল হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে রাজধানীবাসীর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে নানা ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গ্যাসকূপ খনন ও ভূতাত্ত্বিক জরিপ কাজও স্থগিত রাখা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশ ও এর আশপাশে অনুভূত হওয়া একাধিক ভূমিকম্প এই অঞ্চলের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ারই ইঙ্গিত দেয়। শনিবার সকালে ৩.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সন্ধ্যায় এক সেকেন্ডের ব্যবধানে হওয়া দুই দফা ভূমিকম্পকে ‘আফটারশক’ হিসেবে উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় ধরনের ভূমিকম্পের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সাধারণত আফটারশক অনুভূত হতে পারে। শনিবারের ভূকম্পনগুলোও সেই ধারাবাহিকতার অংশ বলে জানান তারা এবং নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মোমেনুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার যে ৫.৭ মাত্রার বড় ভূমিকম্প হয়েছে, শনিবারের দুটি ভূমিকম্প সেই ঘটনার আফটারশক। সাধারণত আফটারশকের মাত্রা আগের ভূমিকম্পের তুলনায় অন্তত ১ পয়েন্ট কম থাকে। তাই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এমন ঘটনা স্বাভাবিক। আতঙ্কিত না হয়ে শকের সময় নিরাপদে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘শুক্রবার ভূমিকম্পের মাত্রা ৬-এর নিচে হলেও কম্পন কিছুটা দীর্ঘস্থায়ী ছিল এবং ঝাঁকুনিও বেশি লেগেছে। এর কারণ আমাদের অঞ্চলের মাটির গঠন তুলনামূলক দুর্বল। মাটি দুর্বল হলে ভূকম্পের স্থায়িত্বও বাড়ে।’

এদিকে, পরপর দুদিনে চার দফা ভূমিকম্পে নগরীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। বিশেষ করে পুরান ঢাকায় পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে অনেকে নিরাপদ স্থানের খোঁজ করছেন।

বংশালের গৃহিণী আসমা বেগম বলেন, ‘ভূমিকম্প শুরু হতেই আমরা বাচ্চাদের নিয়ে দৌড়ে নিচে নেমে যাই। শরীর কাঁপছিল। এই এলাকায় সব ভবন একটার সঙ্গে আরেকটা লাগানো, কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। অবস্থা এমন যে নামলেও বাঁচার উপায় নেই। ভয় পাই—যদি বড় ভূমিকম্প পুরান ঢাকায় হয়, তাহলে এখানে শুধু লাশই দেখা যাবে। কেউ জানে না কী হবে, শুধু দোয়া করছি।’

আরেক বাসিন্দা তাজুল খন্দকার বলেন, ‘ভবনে ফাটল ও টাইলস খসে পড়েছে। কী করব ভেবে উঠতে পারছি না। পুরো শহরের একই অবস্থা। ভাবছি পরিবার নিয়ে গ্রামে চলে যাব। সবকিছু মিলিয়ে নিরাপত্তা শঙ্কা সত্ত্বেও ঢাকায় থাকতে বাধ্য হচ্ছি।’

পুরান ঢাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ফেসবুকে দেখছি আবার ভূমিকম্প হতে পারে। খুব চিন্তায় আছি। আল্লাহ না করুক ঘুমের মধ্যেই যদি কিছু হয়ে যায়! ভাবছি এখানে থাকা ঠিক হবে কি না। পরিবার আর বাচ্চাদের কথা ভেবেই মনটা বেশি অস্থির লাগছে।’

চকবাজারের ব্যবসায়ী আরাফাত বলেন, ‘শুক্রবারের ভূমিকম্পে খুব ভয় পেয়ে যাই। দৌড়ে নিচে নেমে গিয়েছিলাম। সবকিছু কাঁপছিল। ভয় লাগছে, যদি আবার হয়! এখানকার ভবনগুলো সবই পুরোনো, যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। সত্যি বলতে কেউ জানে না কী হবে।’

ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় খোলা মাঠের ব্যবস্থা করা, নির্মাণ বিধিমালা মেনে ভবন নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এম সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের উত্তরে ইউরেশিয়ান প্লেট, দক্ষিণে ইন্ডিয়া প্লেট এবং পূর্বে বার্মিজ সাব-প্লেট অবস্থান করছে। এই ত্রিমুখী প্লেটের গতিশীলতার কারণেই ভূমিকম্প হয়। অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশে আগামী বহু বছর ধরে বিভিন্ন মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই ভূমিকম্প ঠেকানো যাবে না। ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য রাষ্ট্রীয়, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা থেকে ব্যক্তি পর্যায় পর্যন্ত সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে। আতঙ্কিত না হয়ে প্রস্তুতি নেওয়াই গুরুত্বপূর্ণ।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. বদরুদ্দোজা মিয়া বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। কারণ বাংলাদেশ ইউরেশিয়ান ও ইন্ডিয়া প্লেট এবং বার্মিজ সাবপ্লেট—এই তিনটি শক্তিশালী গতিশীল বেসিনের সম্মিলিত প্রভাবে গঠিত একটি ডেলটা অঞ্চল। ফলে রিখটার স্কেলের ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প এখানে স্বাভাবিক।’

তিনি বলেন, ‘শুক্রবারের ভূমিকম্প যদি মেইন শক হয়ে থাকে, তবে শনিবারের ভূমিকম্প আফটারশক। এমন আফটারশক আরও কয়েক দিন চলতে পারে। আর শুক্রবারের ভূমিকম্প যদি ফোরশক হয়, তাহলে সামনে বড় ধরনের মেইন শক আসতে পারে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবিলায় সব পর্যায়ে প্রস্তুতি নিতে হবে।’

রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘এ ভূমিকম্প আমাদের জন্য এক সতর্কবার্তা। এ বার্তা অবহেলা করলে বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠামো চিহ্নিত করে সেগুলো সিল বা অপসারণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ বিপর্যয় ঠেকাতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’

এদিকে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ইমার্জেন্সি রেসপন্স সেল গঠন এবং আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। ০২৫৮৮১১৬৫১ নম্বরে কল করলে দ্রুত সাড়া পাওয়া যাবে।

গ্যাস কূপ খনন ও ভূতাত্ত্বিক জরিপ কাজ স্থগিত: ভূমিকম্প ঝুঁকির কথা চিন্তা করে দেশের তেল ও গ্যাস কূপগুলোয় খনন কাজ ৪৮ ঘণ্টার জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তবে এ সময়ে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। বাংলাদেশে এখন ২৯টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এ মুহূর্তে খনন কাজ চলমান রয়েছে তিনটি গ্যাসকূপে।

পেট্রোবাংলার জনসংযোগ বিভাগের ডিজিএম তরিকুল ইসলাম জানান, ‘সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব গ্যাস ক্ষেত্র রয়েছে, সেগুলোর গ্যাসকূপে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত খনন কাজ ও সাইসমিক সার্ভে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: আতঙ্কের পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমে এক দিনের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত হলেও পরে চার দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সোম থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছুটি থাকার পর ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ সোমবার প্রতিটি বিভাগীয় শহরে নিজস্ব বাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ চলতি মাসের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভূমিকম্প আতঙ্কে গতকাল রোববার রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্কুলে ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। আবার কোনো কোনো স্কুলে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা এবং একাদশ শ্রেণির কুইজ পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়।

হল ছাড়লেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শনে বিশেষজ্ঞ দল:

ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) টানা ১৫ দিনের বন্ধে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই গতকাল হল ছেড়েছেন। বাকি শিক্ষার্থীরা আজকের মধ্যেই হল ছাড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল এবং বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল পরিদর্শন করে বিশেষজ্ঞ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত প্রকৌশল দল। জানা গেছে, সূর্যসেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে সংস্কারকাজ চলমান রয়েছে।

প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা তাদের মূল্যবান জিনিস-পত্র সঙ্গে নিয়ে বের হবে এবং রুমের চাবি হল প্রশাসনের কছে জমা দিয়ে যাবে। বন্ধের সময় প্রতিটি হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের বাসে করে বিভাগীয় শহরে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও অধিকাংশ শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করলেও হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে হল ত্যাগের নির্দেশনা মানতে নারাজ অনেক শিক্ষার্থী। তারা বলছেন, হুট করে হল ছাড়তে বলায় পড়েছেন সংকটে। কারও টিউশনি আছে, কেউবা আবার চাকরি করেন। হল বন্ধ থাকলে তাদের এই কয়েকদিন থাকার কোনো জায়গা নেই। নিজের যে কোনো ধরনের ক্ষতির দায় নিয়ে হলে অবস্থান করার অনুমতি চেয়ে হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করেছেন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক ও যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান শাহিদ।

সতর্ক থাকার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার: ভূমিকম্প হলে করণীয় বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ভূমিকম্পের পূর্বাভাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্প নিয়ে কোনো দেশে আর্লি ওয়ার্নিং (আগাম সতর্কতা) আছে কি না, আমার জানা নেই। কিন্তু আমাদের দেশে ওইরকম কোনো আর্লি ওয়ার্নিং দিতে পারে না। তবে অনেক দেশ কিছু অ্যাপ তৈরি করেছে যার মাধ্যমে ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার ১০ সেকেন্ড পূর্বে সতর্কতামূলক বার্তা জানানো হয়। আমাদের দেশেও এ ধরনের আগাম সতর্কতামূলক মোবাইল অ্যাপ চালু করা যায় কি না, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।

ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা: ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত না হয়ে কী করতে হবে, সে বিষয়ে আট দফা নির্দেশনা দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। ভূকম্পন অনুভূত হলে শান্ত ও স্থির থাকা এবং ভবনের নিচ তলায় থাকলে দ্রুত বাইরে বেরিয়ে খোলা জায়গায় আশ্রয় নেওয়া, বহুতল ভবনে থাকলে ড্রপ, কাভার, হোল্ড পদ্ধতি অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ প্রক্রিয়ায় ভূমিকম্প অনুভূত হলে প্রথমে নিচু হয়ে, শক্ত টেবিল বা ডেস্কের নিচে ঢুকে খুঁটি শক্ত করে ধরা অথবা কলামের পাশে, বিমের নিচে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্ম দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সম্ভব হলে বালিশ, কুশন বা এজাতীয় বস্তু দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে।

ভূমিকম্প চলাকালীন লিফট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা এবং ভূমিকম্প থামার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিক ও গ্যাস সংযোগ দ্রুত বন্ধ করার পরামর্শও দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

প্রতিবেদনটিতে তথ্য দিয়েছেন ঢাবি প্রতিনিধি