Image description

ভারত যতদিন পর্যন্ত ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ‘গণহত্যাকারী ও গণহত্যার নির্দেশদাতা’ শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত না দেবে, ততদিন বাংলাদেশ বিষয়ে ভারতের মন্তব্য খুব একটা গুরুত্ব বহন করে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে ঐতিহ্যবাহী আলোয়াখোয়া রাশ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এ কথা বলেন তিনি।

সারজিস বলেন, এখন আমরা এই রায় কার্যকরের অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা আশা করি, তার রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হবে এবং একজন স্বৈরাচারকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে এগিয়ে যাব।

ভারত যত দিন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে না, তত দিন বাংলাদেশ নিয়ে তাদের মন্তব্য আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।’

তিনি আরো বলেন, সরকার এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিশ্রুতি পালন করেছে। তারা জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা অসংখ্য খুনের খুনি শেখ হাসিনার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করেছে। এটি সরকারের একটি সফলতা।

পাশাপাশি জুলাই সনদ গণভোট নোট অব ডিসেন্টের যে বিষয়গুলো পরিষ্কার করে প্রতিশ্রুতি অনেকাংশে পূরণ করেছে। আমরা জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও মৌলিক সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের পথে যেতে চাই এবং একটি সুষ্ঠু গণভোট চাই। আগামীতে বাংলাদেশে করাপটেড সিস্টেমগুলো সংস্কারের বিপক্ষে যারা থাকবে, গণভোটে যারা না এর পক্ষে থাকবে তারা বাংলাদেশপন্থী হতে পারে না।

আগামী এনসিপি তাদের সঙ্গে পথ চলতে পারে যারা আগামীতে সংস্কারের পক্ষে থাকবে উল্লেখ করে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক বলেন, গণভোটের পক্ষে থাকবে এবং বিচারিক প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের পক্ষে থাকবে।

সেই জায়গায় আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে চাইব এই নির্বাচনে যদি তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে চায় এবং ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিশ্চিত করতে চায় তাহলে বাংলাদেশে প্রশাসনকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে এবং নির্বাচনসংশ্লিষ্ট অফিসারসহ যারা থাকবেন তাদের প্রত্যেকের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। এই জায়গায় বিগত সময়ে দলান্ধ তোষামোদকারী বা দলীয় পরিচয়ে যারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও ফায়দা নিয়েছে তাদের যেন বিন্দুমাত্র স্থান না দেওয়া হয়।

আমরা মনে করি আগামীতে যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো প্রশাসনকে সহযোগিতা করে এবং প্রশাসনও যদি তাদের পেশাদারি বজায় রাখে তাহলে ইনশাআল্লাহ আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ইতিহাসের সবচেয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছে।